মায়া
দেখলাম দু'টি পা
পৃথিবীর ধুলিমাখা
এখন আলতা রঙে
চলে যাচ্ছে চুল্লির ভেতরে
দেখলাম যারা এতদিন
দেখেনি ডাকেনি
আজ প্রণাম করছে
আজ আমার জন্য তাদের
ব্যাকুলতর কোনো অভিমান
দাঁড়িয়ে আছে গাড়ি
যেন বিবাহের আয়োজন
ফুলে মালায় এমন সাজ
সাজিনি কখনই
এসেছে সবাই
সম্পত্তির হিসেব নিয়ে ভাইয়েরাও
মুখাগ্নির জন্য ছেলে
চারদিকে শুনসান
খই ছড়াতে ছড়াতে চলেছে সময়
আমার শরীর লম্বা হতে হতে দিগন্ত
ঢেউ উঠছে
দেখলাম দু'টি পা
তবু ছেড়ে যাচ্ছে না উঠোন
খেলা
আর ঝুঁকে আসা মেঘ আমার না জানি তবু
মন বলে অই ওড়ো মেঘখণ্ড ভেসে যায়
শুধু আমার বেদনা আছে বলে, শুধু তাপ-
জীবনের খরবায়ু- জলে শান্তি দেবে বলে
অই মেঘখণ্ড থাকে, মাথার উপর একা
যেখানেই যাই স্বল্প দাঁড়াই, অলক্ষ্যে আসে
ধীরে সারাটা আকাশ ছেয়ে ফেলে, কালো কালো
ভয় আর নেই ভয়- আর বুঝিনা এমন
বজ্র নিয়ে ঘর করি বন্যা নিয়ে শান্তি খুঁজি
যেন কিছুই হয়নি আগের মতই গান
গুনগুন করে যায় ভ্রমর বালক বেলা
আমার পাপের ভারে বুঝি এই গ্রহভার
ত্রাণ নিয়ে টানাটানি, খেলা আর খেলা
কবিতা লেখার জন্য
কবিতা লিখার জন্য নীরবতা চাই
এমনই নিবিড় যেন কেউ নেই পাশে
কেউ নেই পাশে একা মৃতেরই দেশে
কবিতার ফুল যেন ফুটে থাকে হাসে
মৃত্যু তবে কবিতার বিষণ্ণ সানাই
হাড়হিম ক্লাইম্যাক্স শীতের নীলাভ
এমনই রহস্যময় শুরুয়াৎ চাই
যা আসলে মৃত্যুরই ভেতরে গোপন
কবি ছাড়া কতজন ছুঁয়ে যায় ঘুম
লেখার ভেতরে ডুবে কবি কী যে দেখে
দেখে জন্ম পার করা দেহ স্রোতে ভাসে
স্মৃতির গভীর নুন রক্তাভ বিকাল
পরাজয়ে ম্লান মুখ বিধ্বস্ত কুসুম
দেখে থ্যাঁতলানো প্রজাপতি খোলা পাতা
দেখে স্মৃতিরই শোক বেদনা
এই লেখাটা শেয়ার করুন