মুদ্রাদোষ
ভাঙা রাস্তার ধুলো উড়ে পঞ্চভূতে মিলিয়ে যায়। গাছে গাছে কুসুমের হোর্ডিং শেষ হলেই নামে অশালীন ঝড়। বসন্ত চলে গেলে রুক্ষ মাটি ও আকাশ। নতুন উড়ালপুল চিৎ হয়ে শুয়ে আছে আগরফার কাঁধে। শববাহকেরা হরিধ্বনি দেবার আগে যেমন তুলে নেয়। সবুজ হারানো পুরবাসীগণ শেষযাত্রায় সামিল। খই আর শোক ছড়িয়ে পড়ে শহরময়। পৌরাণিক শোক ভুলে নাগরিকবৃন্দ ভরিয়ে তোলে মুদ্রাকলস। ধীরে
ধীরে জিগির এগিয়ে যায় শ্মশানের দিকে। পেছনে কলস থেকে মুদ্রা পড়ে। শবযাত্রা হলেও লাঠি মেরে ধর্মমুদ্রা লুঠ হয়। দূরদর্শনের টাওয়ারের মাথায় বসে যুগলবন্দি ধুন ধরেছে নগদবণিক আর বিমুদ্রাকৈতর – আর কটা দিন সবুর করো। স্মৃতিময় কদমডাল নুয়ে পড়েছে জনপদের উপর। কেন যে বসন্ত এলেই যাদবকিশোরীরা জেগে ওঠে জাদুউল্লাসে। তাদের কোমরের ভাঁজে ছয়রিপু হেলে পড়ে। সুনামি এসে ধুয়ে নিয়ে যায় সমস্ত সফলমুদ্রা।
এই লেখাটা শেয়ার করুন