কিছু রূপকথা ব্যক্তিগত
জমতে জমতে বেশ মেঘ হয়ে গেলাম,
সকালবেলা গালগলা ফুলিয়ে বললাম,
আজ তোমাকে আমার সমস্ত শব্দ-অক্ষর কুড়িয়ে,
সাজিয়ে দিতে হবেই আমার মনের মতো করে।
বললে, 'এই আমি বরং গাছ হয়ে থাকি,
তুমি ছায়ায় বসে সাজাও নিজের রাজ্যপাট।'
ঠিক তখনই ঝিরঝিরে জ্যোৎস্নায় ভরে গেল চোখের ওপরপাতা।
মাথার ওপর জ্বলন্ত আগুনকালেও
কি করে বিছিয়ে দিলে এক আকাশ প্রেম,
প্রশ্ন করার কথা সবেই এসেছে ভূর্জপত্রের আয়নায়,
তুমি এগিয়ে দিয়েছো শাখাকলম।
এ ভারি স্বার্থপরের মতো চাওয়া তোমার,
রোদবৃষ্টিঝড়বজ্রপাত, কেন শুধুই একা নেবে?
ভাগ চাই, ভাগ দাও বলতে বলতে
ভাগচাষী হয়ে ফলন দেখতে বিভোর হয়ে যাওয়া...
সাদা-পাটকিলে ম্যাঁওটা মুচকি হেসে পাঁচিল টপকে
চলে গেল ওপাশের আয়নায়।
অ্যালোভেরা গাছেরও এখন কি দুঃসাহস,
তোমার আশকারায় আমায় 'পাগলী' বলে টুকি দেয়!
বাড়াবাড়ি করছো ইদানীং...
গোনাগুনতি নাক মুখ চোখ ঠোঁট হাত পা
আর কিছু মেয়েলি পার্টস ছাড়া কি এমন দেখতে পাও জানি না,
শুধু বলো আমার ভেতরে পরী আছে বরাবর জানতে!
পরীরা এমন বদমেজাজি ঝগড়াটি হয় কিনা শুধোতেই
তুমিগাছে কোকিল ডেকে উঠেছে;
বালিঘড়ির ঝরে পড়া সময়ের হিসেব মিলিয়ে
একসাথে গেয়ে উঠেছে মন্দির-মসজিদ-গির্জা।
ফাল্গুনের সুবাসে তাণ্ডবঠোঁটে
দিশাহারা চলেছি তোমার সাথে...
কি ভাবে তুমি এতো ভালোবাসো, আলোকিত আশ্রয়!
এই লেখাটা শেয়ার করুন