এপাশের বাড়ি ওপাশের বাড়ি
এপাশের বাড়ি ওপাশের বাড়ি কেউ কারো সাথে কথা বলে না।
তবে মাঝখানে একটা ম্যাস্টিক লেন।
একটা দুটো গাড়ি হঠাৎ হঠাৎ বেগে ছুটে যায়।
বিশ্বাসটা কোথাও ভেঙে গেছে, ভেঙে গেছে জীবনবোধ।
এবাড়ির আমপাতা রাস্তায় পড়ে কখনো
ওবাড়ির শিমুলপাতা মাঝে মাঝেই রাস্তায় পড়ে।
দু-বাড়ির হাসি কান্নার গল্প ওরা রাস্তায় করে।
ওদের গল্প রাত ধরে চলে কখনো কখনো।
এবাড়ির লোক কখনো ছাদে আসে।
ওবাড়ির ছাদ ফাঁকাই পড়ে থাকে।
এ ছাদে প্রায়ই একটা সাদা শাড়ির আঁচল ওড়ে।
ও ছাদে বিশ বছর কোনো আঁচল ওড়েনি।
রাস্তাটা সেদিনও ছিল
তবে রাস্তাটা সেদিন ম্যাস্টিক লেন ছিল না।
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি
পৃথিবী তুমি কান্না মুছে ফেলো।
সূর্য আমাদের পাশে আছে।
দেখো কতো আলো চারিদিকে।
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, ধর্মং শরণং গচ্ছামি, সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি।
কী শান্তির বাণী! জীবন জুড়িয়ে গেলো।
যে শান্তি মগধ, কোশল, বৎস পেয়েছিল
আমরাও পাবো সে শান্তি।
হয়তো যিশু নয়, মহাবীর নয়, বুদ্ধ নয়
তবে কেউতো নিশ্চয়ই।
আমাদের প্রার্থনা দূর্বল নয়।
অনেক কান্নার পরও আমরা বেঁচে উঠি।
পৃথিবী তুমি দেখে নিয়ো
একদিন প্রার্থনা বলে কেউ তো জন্ম নেবে।
আমার নদী
আমার নদী ভালো আছে।
কেমন আছে তোমার নদী?
বর্ষা এসেছে, শ্রাবণ এখনো আসেনি।
তবে নদীতে এখনো অনেক জল।
ভাসিয়ে নেবে দুরন্ত গতি ওর শরীরে।
আমার নদী বড়ই গুণী আর শান্ত।
জীবনের চড়াই উৎরাইটাও অনেক।
নদী আমার ভূগোল পড়েনি।
ইতিহাসটা খুব ভালো জানে।
ওর জীবনের বিবর্তনটাও অনেক।
আমার নদী তোমার নদী কেউ কারোকে চেনে না।
তবে মোহনায় ওরা ঠিক একে অপরকে চিনে নেবে।
এই লেখাটা শেয়ার করুন