লেখার শেষ হয় না
আবারও আলিঙ্গন করি
আবারও
আবারও আলিঙ্গন করি
আবারও –
লেখার শেষ হয় না
চুম্বনে চুম্বনে পড়ে ডাঁড়ই আর কমা।
মানুষ চলে গেলে ওই স্থানে পড়ে থাকে পঙ্ক্তিমালা
কিছুই পোড়ে না তাঁর অবয়ব ছাড়া
কিছু বুঝে লিখি, কিছু না-বুঝে।
পড়ে দেখি – দু’জনে লিখেছি
দু-রকম ছায়া।
চারপাশ ঘুরে ঘুরে খুঁজি – কে সে!
কবিতা নয় যেন জলাশয় – নাভিকুণ্ডে মায়া
ঘুরে ঘুরে খুঁজি – খুঁজি
ঘুরে ঘুরে –
লেখার শেষ হয় না।
ঢেউ সরে গেলে স্বর ওঠে –
পঞ্চত্ব পেলে অশেষ সবই।
এই কথাটিও লিখে রাখি মনে মনে।
লেখার শেষ হয় না
কামনা
এসো আলো এসো বায়ু
অনন্ত সম্ভোগে
দৃশ্যতঃ রং-রূপ স্বপ্ন ও রেণু
ধারণ করেছি সব সবুজ বৃন্তে।
সুগন্ধ-গুহাময় শ্বেত অন্ধকার
হাপড়ে দুলছে দেহ – অগ্নিশিখা
এই দেহ সুরাময় মধুর ভাণ্ডার
এসো প্রজাপতি এসো বুকের সমীপে
আমার ভাষায় লেখা যত আলপথ
ঘুরে ঘুরে এসো কালো ভ্রমরার মায়া
ছায়া ছায়া পত্রালাপ ধ্বনির বিকার
উড়ে এসে অরূপের নেভাও উত্তাপ।
চৌহদ্দি
এটুকুই আসি। প্রলাপ করি।
তারপর ভাঙা পুকুরের পাড়
ডুবন্ত মহাকাশ।
বহু আলোকবর্ষ দূরে আমি
পাশে গ্রহ, মৃতপ্রায় নক্ষত্র
ওরাও বুঝি স্বপ্রাণ এসেছিল আমার আগেই
ধুলি ঝরে গেলে কোথায় যাবে কে জানে!
মনেতে এখনো তুমি, ঢেউ রাশি রাশি
নতুন বাড়ির ছাদ, ভেজা শাড়ি, শ্রমের দাগ
কেন ঠেলছো মেঘ! কিছু কি ঢাকা যায়!
ওদিকে পাহাড়, চাপে জল গলতে পারে
নদীর বড়ো আশা, ঝরুক ভালবাসা
বেঁচে থাক একমুঠো ধুলোসর্বস্ব প্রাণ।
তাই এটুকুই আসি
তারপর ভাঙা পুকুরের পাড়
ডুবন্ত মহাকাশ –
এই লেখাটা শেয়ার করুন