ঘোড়ার ঘা-এর ওপর মাছিদের ভবিষ্যৎ
আস্তাবল থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিয়েছি, কারণ প্রতিশোধ জানা
ছিলো – ঘা যখন ক্রমশ মাথার দিকে, পাড়াগরম ঘোড়াটি অপূর্ব
দে ছুট দিগ্বিদিক, আমরা তখনো জলমগ্নতার স্বভাব ভুলিনি,
হয়তো ভেবেছি ঘোড়া মুখপোড়াটি জলে ডুবে মরেছে নিশ্চিত
হৃদয়ের অকূলস্থল জেনেও আমাদের ব্যভিচারী-হাত ছুরিতে শান দেয়
মদের দানে লিভারটাকে করেছি আত্মহত্যার কালোদান, মানুষের
ভারসাম্যহীন প্রণয় নেকড়ের ক্ষুধা নিয়ে ভরেছি – দু’বেলা সময় মিলিয়ে
জেনেছি ঘড়িসভ্যতার দাম, ভূত আমি, আমার ভৌতিক কথাবার্তা
গাছেরা টেপ ক’রে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বংশানুক্রমে, বৃক্ষের পত্রগুচ্ছ
আর প্রতিশ্রুতিময় পত্রাবলী কোনোটাই এমন বিচ্ছিন্ন দেখানো যায় না,
শেয়ারমার্কেটিং-সভ্যতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে ঝলসানো বুলি, কুলকুচি
করে ফেলে ফের ধরেছি তারই কুচক্রী হাত, সিগারেট বিনিময়ের বন্ধুত্ব
আমাদের বিবাহ উৎসবে, ঝানু ব্যবসায়ীর শবদেহ কাঁধে তুলে নিই
দাসরক্তের প্রথাবিনিময়ে, যথাবিহিতসম্মান লেখা থাকে বৈবাহিক ফর্মে
দুর্নীতির দামে নবনীতা সেজে বসে আছি মধ্য আসরে, বৈকালিক ভ্রমণে
বেরুলাম আমরা টিটকিরির পোশাক খুলে – নোংরা কান্নার
পেছনে ফিটকিরি দানখয়রাতি আর কদ্দিন মানুষের থাকে, সবই
যখন কোমরবাঁধা বুনোবেড়াল নয় – গৃহস্থ বেড়ালেও ইঁদুরে অপরাগ
আর কোনো মাঠময়দানে শ্রাদ্ধসভা সাস্কৃতিক কোলাকুলি, চোখের
ওপর ঝুলিয়ে নাও ‘চক্ষুলজ্জা-চশমা’ শাদাদাঁতের অর্থ বাড়াও বিনাকায়
এই লেখাটা শেয়ার করুন