কবিতা

ঈশানকোণ একটি সাহিত্যের ওয়েবজিন বইমেলা সংখ্যা ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ইং 

[ঈশানকোণ নতুন সংখ্যা দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]

অপাংশু দেবনাথের কবিতা 

বেনে ও বাজার


মাঝে মাঝে ভাবি, প্রকৌশলী নই, ছলচাতুরী, বাজাররহস্য অজানা সবই। 


সমবেত বয়কট হয়না জেনেই কেউ কেউ অপেক্ষা করে শৈত্যঘোরে দাঁড়িয়ে।

বঙ্কিম সরণি বেয়ে তুমিই একদিন মাখবে রকমারি প্রসাধনী।


তির ফসকে গেলে পাখির চোখ দেখো, বুকে জাগা প্রাণ দেখো,

আমিও তাই চেয়েছি বলেই কেউ কেউ ছবি হয়, আড়ালে চিমটি কাটে,

এতোটা ধারালো হয়নি নখ কারো, যাতে ক্ষত করা যাবে আমার পাঁজর।


ভাবি, কতোটা কাল বণিকেরা বেনেই থেকে গেলো, রক্তে বহন করে বাজার।



ছত্রিশ পংক্তিমালা


বিবাদে বিনয় বাড়ে, খুলে দেখে করতল কেউ,

কিছুই নেই সঞ্চিত অবশেষে অশ্রুচিহ্ন স্পষ্ট।


খুব বেশি ঝুঁকে গেলে লিগামেন্টে টান পড়ে জানি,

জেনেশুনে ফুল তুলি, হাতে এসে কাঁটা হয়ে যায়।


ফুল ও কণ্টক তার মধ্যিখানে গরল ও সুগন্ধিতে

ভ্রমর আসে, মৌমাছি কম্পিত পাখায় ধরে রাখে সময়।


শব্দকে সত্য মেনেই বিশ্বাসে নদী অঙ্কন করি বুকে,

তুমি তাতে ছিপ ফেলে ঢেউয়ে ঢেউয়ে লিখো ব্রহ্মলিপি। 


শিমূলরঙা ভুল ওড়িয়েছি আকাশে। 

তুমি ছুঁয়েছো বলেই উড়লো নি:শব্দ পাখা মেলে। 


পরম আভা আমাকে জড়ায়।

অবিকল হিমশৈল ফুঁড়ে আসা উজ্জ্বল ছায়াতে।


সন্ধ্যায় পাহাড়ে পরাগরেণু ঝরাও,

নেমে এসে ভোরে নদী হলে এপারে।



কিছুতেই কিছু নয় হবার তার

যার অন্তর বাহির ঈশ্বরময়।



সব জ্বালানি মজুত রেখো

যজ্ঞ সাজাতে হবে একদিন।


১০

বাঁ-দিকে যে চিকন বিষাদ ভেতরে ভেতরে চিবিয়ে সে 

বন্ধ দরোজার খিলিঘরে অহোরাত বেঁধে রাখে শেষে।


১১

বিবাহের মরসুমে শূন্য মাঠে বিরহ কঙ্কণ বাজে

নাড়া তুলে বিকল্পবিকেলে ভিনগাঁয়ের প্রেমিকেরা আসে।


১২

পথে হেঁটে যেতে দেখি ওড়ে আঁচল কার নদী গহ্বরে

পাখি ঠোঁটে লেগে আছে সেই রাত্রির নীরব অবসাদ।


১৩

মন আমার তোমার সাথে বিন্দু বিন্দু কুয়াশা কঠিন

জল ছুঁয়ে ধোঁয়া ধোঁয়াভোর কে যেন উপনিষদ পড়ে!


১৪

চিৎমুদ্রায় জাগি বিছানায় এপাশ ওপাশে পূর্ণচন্দ্র

আলো ফেলে ধীরে যেন আমি আহত হই চাঁদলাগা ঘোরে।


১৫

নিজেকে বিজ্ঞাপিত করিনি কখনোই

বিজ্ঞাপন আমাকেই পণ্য করে তোলে।  


১৬

পথে এসে সব কুয়াশারা আজকাল পেখম মেলে বসে

আলো জ্বালি মনোপাখা এসে আমাকেই জড়ায় নীরবে।


১৭

অবস্থান জেনে নিয়ে সন্ধ্যাতারা জ্বালে কেউ

দেশান্তরে ছড়ায় সে ভালোলাগা মন্ত্ররূপে।


১৮

ধুলো ধোঁয়া ছুঁয়ে হাঁটে এতো এতো চলমান অদ্ভুত সব পা।

আমি সে চরণ খুঁজি যাতে স্পর্ধায় রাখা যাবে নির্মাণ পুষ্প।


HOME

SHARE THIS PAGE!