সাঁঝচুল্লি
রাত্রির পরীক্ষাগুলো কীভাবে উতরে যায়
কালো মেঘে ভরে আসা চোখ।
কীভাবে সবার সব জানাজানি হয়ে যায়
ঘরের সীমান্তে থাকা ছোটো এক উঁকির গহ্বরে!
আমি তো ছিলাম ভালো, নিরুপদ্রব, সকলের খোঁজের অতীতে
অতীত আমাকে খেল, বিপন্নতায় ভাসছে দেহস্রোত
মন্থনবেলার শেষে এক ফালি মুচকি রোদ আকাশের পশ্চিম কোণে
বহুদিন সঙ্গে ছিল যারা তারা যে ভালোই আছে
দেহে ও আমোদে, নিত্যদিন খুঁজে নিয়ে গুহার ঠিকানা
সে খবর কানে আসে; অন্তিমের পাখি কিছু কষ্টের গান গায় ডালে।
ভিনদেশি পথিকের গানে বাস্তুহারা পৃথিবীর মানচিত্র মেলে
পাশ ফিরে শোয় গুরুজন, নীরবে প্রস্থান করে বালিশের আশা
রক্তের কাঁচাদাগে কবেকার সাঁঝচুল্লি বিষতীরে উত্তাপ মাখে।
ভগ্নমান কবিতার শব্দগুলো
ফিরিয়ো না বিনা দামে পাওয়া উপলব্ধির অমোঘ কাজল,
হাতে রেখো, নিদেন রাখবার চেষ্টায় থেকো,
অপচয় থেকে পাওয়া কিছু উদ্বৃত্ত ফসিল।
কপালে ঘাম জমে দুর্বাশার বুজকুড়ি জন্ম নেয়
জন্ম হয় কার্তিকের সূর্যবীজে মনে ও জঙ্গলে,
শত্রুনিধনের জন্যে তৈরি হয় যারা
তারা অকারণ হানাহানি করে মরে।
হাতে রেখো, নিদেন রাখবার চেষ্টায় থেকো,
কিছুটা বিফল সময় ---
বেজন্মা নদীর ফালি ঝিরিজলে
খলসে মাছের খুঁজে হাঁটু মুড়ে বসি।
আমার তিনটি দশক এক বৃহৎ খামের পেটে পুরে
চালান করেছে এক কৃষ্ণকায়
প্রস্তরবক্ষ ডাকহরকরার হাতে
পথের দুধারে যত কৃষ্ণচূড়ার ফুলে
নিদ্রার শিশির ঝেড়ে যেতে যেতে যে দেখে যেতে লাগলো
তিন দশক আগেকার
ভগ্নমান কবিতার শব্দগুলোকে।
SHARE THIS PAGE!