নিবন্ধ

ঈশানকোণ একটি সাহিত্যের ওয়েবজিন বইমেলা সংখ্যা ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ইং 

[ঈশানকোণ নতুন সংখ্যা দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]
ত্রিপুরার লোককাহিনিঃ মৌখিক প্রত্নকথার বিশ্বজনীন রূপ
অশোকানন্দ রায়বর্ধন


(তিন)
ত্রিপুরার লোককাহিনিগুলোর বিশ্বজনীন রূপ পর্যবেক্ষণ করতে হলে কাহিনিগুলোর মটিফ বিচার-বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। স্টিফ থমসন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগৃহীত কাহিনি টাইপ থেকে মটিফ সূচি তৈরি করেছেন। ইংরেজি বর্ণমালার আদ্যক্ষর দিয়ে তিনি মটিফগুলো চিহ্নিত করেছেন। মটিফসূচিতে পুরাণ কাহিনি থেকে শুরু করে অতীন্দ্রিয় কাহিনি পর্যন্ত উল্লিখিত হয়েছে। সেই ত্রিপুরার লোককাহিনিগুলোতেও পৌরাণিকতামূলক (A); জীবজন্তুবিষয়ক (B); আনুষ্ঠানিক নিষেধ সম্পর্কিত (C); ভয়ংকর বিষয়ক (G); পরীক্ষাসংক্রান্ত (H); চালাক ও মূর্খ সংক্রান্ত (j); ভাগ্যবিপর্যয়মূলক (l); পুরস্কার ও শান্তি বিষয়ক (Q); যৌনসংক্রান্ত (T); ধর্ম-উপদেশমূলক (V); বিবিধ বিষয়ক(Z) এইসমস্ত মটিফ লক্ষ্য করা যায়। এখানে ত্রিপুরার দুটি লোককাহিনির মটিফ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।
১ বীর জামিছলঙ
কাহিনি সংক্ষেপঃ জামিছলঙ পাহাড়ি ত্রিপুরার একজন বীর। তার গায়ে ভীষণ জোর। সে বনে গিয়ে ঘর তৈরি করার জন্য একঝাড় বাঁশ কেটে ঘাড়ে করে আনতে পারে। এক ঘরের যত খুঁটি লাগে, একসঙ্গে সব আনতে পারে। একটা আস্ত শূকর খেয়ে ফেলতে পারে। তার একদিন দুনিয়া ঘুরে দেখার সাধ হল। সে বেরিয়ে পড়ল। অনেকদূরে সে দেখল নির্জন জায়গায় একটা লোক খুব ছোটো ছোটো পাহাড়ি মাছির পেট চিরে নাড়িভুঁড়ি বের করছে। জামিছলঙ অবাক হলে লোকটা জানায়, তার চেয়ে আরও বড়ো বীর জামিছলঙ। জামিছলঙ নিজের পরিচয় গোপন করে। দুজনে জামিছলঙের খুঁজে বেরিয়ে পড়ে। অনেক পথ যাওয়ার পর দুজনে পাহাড়ের উপর থেকে একটা নদী দেখতে পায়। নদীর কাছে গিয়ে তারা দেখতে পায়, একজন লোক নিজের শরীর দিয়ে পাহাড়ি নদীর জল আটকাচ্ছে। সেও বলে যে তার চেয়ে বড়ো বীর জামিছলঙ। এবার তিনজনই একত্রে জামিছলঙকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে।
হাঁটতে হাঁটতে তারা পৌঁছে যায় একটা টিলার ওপর। টিলার ওপর একটা সুন্দর বাড়ি দেখতে পায়। কিন্তু ঘরে কেউ নেই। তাদের খিদে পায়। জামিছলঙ রান্নার আয়োজন করে। অন্য দুজন বনমোরগ ধরে আনতে বেরিয়ে যায়। এমন সময় মায়াবিনী রাক্ষসী আসে। এটা তার বাড়ি। অনুমতি ছাড়া বাড়িতে ঢুকে পড়ায় রাক্ষসী তাকে আক্রমণ করে। রাক্ষসী তার মাথায় গদা দিয়ে আক্রমণ করে, কিন্তু তার উপলব্ধিই হয় না। রাক্ষসী আরও রেগে যায়। দুজনের মধ্যে লড়াই চলতে থাকে। রাক্ষসী গদা ছেড়ে গাছ উপড়ে আক্রমণ করে। জামিছলঙও আরেকটা গাছ উপড়ে আক্রমণ করে। এমন সময় জামিছলঙের সঙ্গীরা বনমোরগ নিয়ে বন থেকে ফেরে। তারা ভীষণ লড়াই দেখে অবাক হয়। জামিছলঙ রাক্ষসীকে মেরে ফেলে। সঙ্গী দুজন জামিছলঙের পরিচয় জানতে চায়। জামিছলঙ তার পরিচয় দেয়। তখন সবাই মিলে আনন্দ করে।
কাহিনিতে উপস্থিত বিভিন্ন মটিফ। স্টিথ টমসন কৃত মটিফ ইন্ডেন্স অনুযায়ী তার মূল বিভাগগুলো নিচে উল্লিখিত হল। সহায়ক তথ্যের অভাবে প্রতিটি বিভাগের সঠিক উপবিভাগ বিশ্লেষণ করা সম্ভব হল না। তবুও এ থেকে কাহিনিতে প্রবাহিত মূল মটিফগুলোর পরিচয় পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।

মটিফসূচি
১. পাহাড়ি ত্রিপুরায় জামিছলঙ ছিল একজন বীর – বীর (Z)
২. একঝাড় বাঁশ কাটতে পারা; এক ঘরের প্রয়োজনীয় খুঁটি বইতে পারা; একটা আস্ত শূয়োর খেয়ে ফেলতে পারা – চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য (W)
৩. ‘ইয়ংখা’ (এক রকমের বুনো মাছি) মাছির পেট চিরে নাড়িভুঁড়ি বের করা – অপূর্ব পারদর্শিতা (H)
৪. শরীর দিয়ে পাহাড়ি নদীর জল আটকানো – অপূর্ব পারদর্শিতা (H)
৫. গভীর জঙ্গলে টিলার ঊপর বাড়ি – অত্যদ্ভুত ঘটনা (F)
৬. রাক্ষসী – ভয়ঙ্কর প্রাণী (G)
৭. মায়াবিনী – ঐন্দ্রজালিকতা (D)
৮. গদার আঘাতে যন্ত্রণা বোধ করা – পৌরুষের পরীক্ষা (H)
৯. জামিছলঙ-এর শক্তিমত্তার পরিচয় – অসম শক্তিশালী পুরুষ (F)


2 ভাইবোন হাতি হয়ে গেল

কাহিনি সংক্ষেপঃ ত্রিপুরার পাহাড়ি জুমিয়া পরিবার। দুই ভাইবোন। দুজনের বিয়ের বয়স হয়েছে। গ্রামের যুবক-যুবতীদের বিবাহ সংক্রান্ত আলোচনা করে জুমে মা-বাবাকে সাহায্য করতে যায়। ধানের বোঝা নিয়ে বাড়ির পথ ধরে। মা সাবধান করে, বাড়ি যেতে যেতে দুপুর হবে; টিলার নিচে যে দুটো কুয়ো আছে, তার বামদিকেরটায় যেন স্নান না করে, ডানদিকেরটায় করে। ওরা কুয়োর কাছে এসে পড়ে। পরিশ্রান্ত হয়ে বিশ্রাম করে। স্নানের ইচ্ছে হয় ওদের। ছোটোবোন বাঁদিকের কুয়োয় স্নান করতে যায়। দাদা বারণ করে। শেষপর্যন্ত সেখানেই স্নান করে দুজনে। শরীর অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। হাতি হয়ে যায় দুজনে। সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরে মা তাদের দেখতে না পেয়ে কুয়োর পাশে আসে। জঙ্গলে হাতিরূপী ভাইবোনদের দেখতে পায়। বাড়ি নিয়ে যায়। সবাই তাদের জড়িয়ে ধরে শোক করে। পরদিন তাদের বিদায় জানানো হয়। মা তাদের বলে, আগুনকে তোমরা ভয় কোরো, তীরকে তোমরা ভয় কোরো, কলাগাছ বেছে বেছে ছাড়িয়ে নিয়ে খেয়ো। ওরা চোখের জল ফেলতে ফেলতে জঙ্গলে যায়। কথিত আছে, সেইদিন থেকে হাতি আগুন, তীরকে ভয় পায়। কলাগাছ বেছে বেছে আছড়ে খায়।

মটিফসূচি

১ ভাইবোন দুজনের বিয়ের বয়স হয়েছে। গ্রামের কোন ছেলে-মেয়ের বিয়ে হবে আলোচনা – যৌনসংক্রান্ত (T)
২ দুটো কুয়োর মধ্যে বামেরটায় স্নান না করার মায়ের নিষেধ – বাধানিষেধ (C)
৩ মায়ের নিষেধ না মেনে বাম কুয়োয় স্নান – ট্যাবু ভাঙা (C)
৪ ভাইবোনের হাতিতে রূপান্তর – ট্যাবু ভাঙার জন্যে রূপান্তর (D)
৫ হাতিরূপী ভাইবোনকে জড়িয়ে ধরে কান্না – মানুষের সঙ্গে জীবজন্তুর সম্পর্ক (B)
৬ বিদায়ী ভাইবোনদের (রূপান্তরিত হাতিদের) চোখ দিয়ে জল পড়া – মানবিক গুণসম্পন্ন জীবজন্তু (B)
৭ কথিত আছে সেইদিন থেকে হাতি আগুন, আগ্নেয়াস্ত্র, তীরকে ভয় পায় আর কলাগাছ বেছে বেছে আছড়ে খায় – জীবজন্তুর বৈশিষ্ট্য। লোকপুরাণ (A)

এক-একটি লোককথাকে বিশ্লেষণ করলে এরকমভাবে তার মধ্যে এক বা একাধিক কাহিনি বা অণুকাহিনি পাওয়া যায়। এগুলিই হল মটিফ। এই মটিফসূচিকরণের মধ্য দিয়েই একটি কাহিনির মধ্যে সর্বজনীন বা বিশ্বজনীন অভিপ্রায়টি জেগে উঠে। ত্রিপুরার লোককাহিনি সমূহকেও এরকমভাবে বিশ্লেষণ করলে তার মধ্যে বিশ্বের লোককথার অন্তর্নিহিত অভিন্নতার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। সেদিক দিয়ে বিশ্লেষণ করলে ত্রিপুরার লোককথা সমূহও একাধারে আঞ্চলিক অন্যদিকে বিশ্বজনীন। প্রমাণিত হয় যে লোকসমাজের মন ভৌগোলিক রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে রাখা যায় না। কালের প্রবাহে তা একস্থান থেকে অন্যস্থানে লোকসমাজের মনের গভীরে প্রবেশ করে।
লোককথাসমূহ যেহেতু প্রাচীন, সে কারণে লোককাহিনিতে প্রাচীন মানবজীবন, সামাজিক রীতিনীতি ইত্যাদি বিবিধ বিষয় সম্বন্ধে প্রচ্ছন্ন তথ্য থাকে। একটা জাতির অনেক অজানা ইতিহাস লোককাহিনি থেকে উদঘাটিত হয়। ত্রিপুরার লোককথা সমূহকে বিশ্লেষণ করলেও এই ধরণের অজানা অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে। প্রাচীন ত্রিপুরার জীবনযাত্রা যে জুমকেন্দ্রিক ছিল তার বিশদ বিবরণ বিভিন্ন লোককাহিনিতে রয়েছে। ফসল উৎপাদন করতে যে পরিশ্রম হত, তাও এই লোককথাসমূহ থেকে জানা যায়। উৎসব অনুষ্ঠানে মদ্যপানের রেওয়াজ ছিল। সমাজে মহিলাদের প্রাধান্য ছিল বা প্রাচীন ত্রিপুরা সমাজে মাতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু ছিল। তারও বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়, যখন দেখি বিভিন্ন লোককাহিনিতে সামাজিক দায়িত্ব বা নির্দেশ দানের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে মেয়েরা। ‘কলম্পাকন্যা’, ‘খুমবারতি’, ‘ছেলেরছা’ গল্পে প্রধান পুরুষটিকে মহিলারাই বিভিন্ন নির্দেশ দিয়ে সমস্যা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেকালের নারীদের প্রখর বুদ্ধিমত্তার কাহিনিও এথেকে প্রকাশ পায়। তখনকার সময়ে যে বহূবিবাহের প্রচলন ছিল, সে তথ্য জানতে পারা যায় ‘ইঁদুরসর্দার’ গল্পে ইঁদুরের চার পত্নী গ্রহণের মাধ্যমে। এ গল্পে সগোত্রের বাইরেও যে অনেক জীবিকা নির্বাহ করত, তার বর্ণনাও আছে ‘জামিছলঙ’ এবং ‘সোনার পাখি’ গল্পে। ‘সোনার পাখি’ গল্পে আদিবাসী নিয়ম-কানুনের কথা বলতে গিয়ে বলা হয়েছে, গ্রামের সর্দারের আদেশে ‘ছুকাল’ বা ডাইনি সন্দেহে অনেককেই মেরে ফেলা হয়েছে। ‘ছেলেরছা’-এর মাও অলৌকিক কান্ডকারখানা দেখে সন্দেহ করেছে কলসির মাছটা বুঝি ডাইনি। অর্থাৎ সেকালে ত্রিপুরী জনজীবনে ডাইনিচর্চচাও যে ছিল, তারও একটা খন্ডচিত্র এইসব লোককাহিনিতে পাওয়া যায়। রাজপুরুষদের পরনারীর প্রতি লোভ এবং দরিদ্র প্রজার দুর্ভোগের কাহিনিও জানতে পারা যায় ত্রিপুরী লোককথা অবলম্বনে। ‘খুমবারতি’-কে রাজার ‘বিনন্দিয়ারা’ জোর করে হাতির পিঠে তুলে নিয়ে গিয়ে রাজার সঙ্গে বিয়ে দেয়। বৃদ্ধ পিতা পথে পথে ঘোরে। ঠিক তেমনি ‘ছেলেরছা’-র বউয়ের প্রতি আকৃষ্ট হলে রাজা এবং রাজার ‘বিনন্দিয়া’রা অর্থাৎ রাজকর্মচারীরা বিভিন্ন কৌশল করে ছেলেরছা-কে বাজিতে পরাজিত করে তার স্ত্রীকে দখল করতে চায়। বউয়ের বুদ্ধিমত্তাই ছেলেরছাকে রক্ষা করে।
সামাজিক জীবনে দারিদ্র্যের ছাপই প্রকট হয়ে ওঠে বিভিন্ন লোককাহিনিতে। বেশির ভাগ আদিবাসী
জুমিয়া বনের বাঁশ বেতের উপর নির্ভর করত। সে হিসেবে বাঁশ ব্যাপারীও ত্রিপুরী লোকগল্পের চরিত্র হিসেবে দেখা দিয়েছে (বিগ্রাছা)। সৎমার ঈর্ষাকাতরতাও লোককাহিনির একটি প্রধান মটিফ। ত্রিপুরার লোককাহিনিতেও এই চিত্র বর্তমান। ‘বাতাসনামা’-তে সৎমায়ের যন্ত্রণা এবং সতীনকন্যার ভাগ্য পরিবর্তনে ঈর্ষাকাতরতা লক্ষণীয়।
পৃথিবীর সকল লোককাহিনিতে পশুর উপস্থিতি আমরা লক্ষ্য করি। আসলে পশুর চরিত্রগুলি মানব চরিত্রেরই প্রকাশ। সামাজিক শালীনতা বা অনুশাসনের কারণে সরাসরি লোকচরিত্র উদঘাটন না করে তখনকার দিনে পশুকে রূপক করে কাহিনিসমূহ প্রকাশ করা হত। পশুচরিত্রগুলি মূলত মানবিক গুণ সম্পন্ন। কুমুদ কুণ্ডু চৌধুরী মহাশয়ের সংগৃহীত ‘ভাইবোন হাতি হয়ে গেল’; ‘বাঘ ও শিয়ালের গল্প’; ‘নুয়াই রাজা’;’মুরগীর পিঠে বানানোর গল্প’; ‘ইঁদুর সর্দার’ ইত্যাদি গল্পের পশুপাখির চরিত্র মানবিক গুণসম্পন্ন। প্রাচীনকালে পশুকাহিনির মাধ্যমে লোকশিক্ষা প্রদানের উদাহারণ আমরা পঞ্চতন্ত্র, জাতক ইত্যাদিতে পাই। ত্রিপুরার লোককাহিনিতেও এরূপ কাহিনি লোকশিক্ষারই বাহন।
ত্রিপুরার লোককাহিনির উপর বিস্তৃত গবেষণা আজও হয়নি। যদি এই ক্ষেত্রে যথাযথ মনোনিবেশ করা যায়, তাহলে এই লোককাহিনিসমূহ বিশ্লেষণ করে ত্রিপুরী জাতির অনেক অবলুপ্ত ইতিহাস এবং হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের পুনর্নির্মান করা সম্ভব হবে। যে জাতির অল্প সংখ্যক প্রাপ্ত লোককথায় এতসমস্ত বৈচিত্র্যের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়, সে জাতি যে একসময় গৌরবোজ্জ্বল জীবন অতিক্রম করেছে সে কথা অনস্বীকার্য। কালস্রোতে তা হারিয়ে যাওয়ার আজ প্রমাণসাপেক্ষ।
                                                                                                                  [সমাপ্ত]

গ্রন্থঋণ
১ ফোকলোর চর্চার রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি – মহারুল ইসলাম। লোক-লৌকিক প্রকাশনী, কোলকাতা।
২ পুরাকথার স্বরূপ – শংকর বসুমল্লিক ও গৌরী ভট্টাচার্য। বেস্ট বুকস, কোলকাতা।
৩ আদিবাসী লোককথা – দিব্যজ্যোতি মজুমদার। লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র, কোলকাতা।
৪ লোকপুরাণ ও সংস্কৃতি – ডঃ পল্লব সেনগুপ্ত সম্পাদিত। পুস্তক বিপণি, কোলকাতা।
৫ লোকসমাজ ও পশুকথা – দিব্যজ্যোতি মজুমদার। লোক-লৌকিক প্রকাশনী, কোলকাতা।
৬ লোক ঐতিহ্যের দর্পণে – মানস মজুমদার। দে’জ পাবলিশিং, কোলকাতা।
৭ লোকসাহিত্য (দ্বিতীয় খন্ড) – আশরাফ সিদ্দিকী। মুক্তাধারা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
৮ বিশ্ব লোককথার রূপরেখা – সুধীরকুমার করণ। পুনশ্চ, কোলকাতা।
৯ বাংলার লোকসংস্কৃতি – ওয়াকিল আহমেদ। বাংলা একাডেমি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১০ কেরেঙকথমা – কুমুদ কুণ্ডু চৌধুরী। অক্ষর প্রকাশনী, আগরতলা।
                                                                                                                                     HOME

SHARE THIS PAGE!