শেষ বসন্ত
উৎসব শেষ, চলে গেছে সব বসন্তের অতিথি
যারা এসেছিলো, কিংবা যারা আসার অধিক গিয়েছে থেকে গভীরে…
আসা আর যাওয়া,কতই না দাগ রেখে যায়
চিহ্ন শ্লোকের দেহে রেখে যায় কতো নির্বাক যন্ত্রণা,
সে আর কে বোঝে বলো ?
হয়তো জানে, বা বোঝে, কিংবা বোঝার অধিক না বুঝেই
যায় চলে অন্য কোনো সূর্যাস্তের দেশে!
আসলে ধুলোয় যার জন্ম, ধুলোর পথেই তো তার মৃত্যু
সময় শুধু বয়ে যায়, যায় বয়ে, মুহূর্তের হাতে
নীরব স্পর্শ বন্ধন সাজিয়ে।
ভাঙন
কিছু ভাঙলো বোধহয়, ভাঙুক!
খুলে দাও বরং ওই পশ্চিমের জানলাকে
আসুক কিছু আলোকশ্লোক, আর কিছু মথ
কিংবা প্রজাপতির রঙিন দেশ,
ভাঙন সুরে সুর মিলিয়ে
বাজুক আবার যজ্ঞ-সানাই
শোনোনি তুমি মধুমন্তীর সুরশ্লোক স্বর!
কোথাও কোনো এক মিলন যজ্ঞমঞ্চ …
দূর থেকে আসে, দ্যাখো ওই হলুদ সান্ধ্য আলোক মালা
---ভাঙুক, আরো ভাঙুক …
শব্দের পথে নিঃশব্দ উন্মোচনে মুক্ত হয়ে
আসবে মেঘজল, আসবে অনন্ত উৎসব…
আসলে জানোতো, সব ভাঙনেই বিচ্ছেদ সুর বাজেনা কখনো কখনও
কিছু ভাঙন যে আসে দীর্ঘ শীত ঋতুর পথে
আবার বসন্ত ঋতু রঙ মাখবে বলে।
SHARE THIS PAGE!