ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে পাখির ডানায় মনটাকে দিই জুড়ে –
মুক্তি সুখে বুকটি ভরে বেড়াই ঘুরে ঘুরে।
সূয্যি হাসে সকাল আসে ফুলের রঙিন নিয়ে –
ইচ্ছে করে একটু দাঁড়াই ওদের পাশে গিয়ে।
পড়ায় পড়ায় গড়ায় বেলা যায়না দেওয়া ফাঁকি –
বইয়ের পাতার যাঁতায় কেবল পিষ্ট হতে থাকি।
ইস্কুলেতে যাবার আগে ইচ্ছে – ঝাঁপাই জলে –
ভাল্লাগে না করতে সিনান বাথরুমের ওই কলে।
মনটা তো চায় বিকেলবেলায় কাটাই খেলার মাঠে –
হয়না সে আর – আসেন টিচার, সূয্যিটা যায় পাটে।
ইচ্ছে জাগে যাই ঘুমিয়ে – স্বপ্নপুরী ভেসে –
কিন্তু আসে পরীক্ষা-ভূত ভয়াল বিকট বেশে।
ইচ্ছেগুলো কাঁদছে ধুলোয় – আসছে তেড়ে ভীতি-
নষ্ট সুখের কষ্ট বয়ে মরছি ধুঁকে নিতি।
ইচ্ছে আমার
ইচ্ছে আমার ছড়ার খামার
বানাই বুকের ক্ষেতে –
চাষির হাসির আনন্দে রই
ফলন সুখে মেতে।
সেই খামারের সবুজ গাছে
ফুটবে ছড়ার ফুল –
জুটবে এসে মুগ্ধ হেসে
রঙিন অলিকুল।
চাঁদের প্রাণের আদর মেখে
ঘ্রাণের চাদর গায়ে –
ফুলপরীরা খেলবে এসে
নুপুর পরা পায়ে।
ছড়ার গাছের শাখায় শাখায়
বসবে পাখির মেলা –
সুজন সখার কূজন শুনে
কাটবে সারাবেলা।
শিশুর হাসির বাজবে বাঁশি –
কী সুর মাখা ভাষা।
স্বপ্ন এসে বসবে ঘেঁষে
বাঁধবে ডালে বাসা।
ইচ্ছে আমার ছড়ার খামার
বানাই মনের মত –
ছন্দে গন্ধে ’নন্দে ফলাই
ফসল অবিরত।
SHARE THIS PAGE!