তোমাকেই
তোমাকেই ভালোবেসেছিল কবি
‘শবদে শবদে’ বিবাহের কথা
বলেছিল। চুপিচুপি বলেছিল –
‘যদিদং হৃদয়ং তব
তদিদং হৃদয়ং মম –’
তুমি কি শুনেছিলে তা ? কখন
যে চিত্রকল্পের মায়ায় জড়িয়ে
গেলে, আর সোনালি চাঁদ
নেমে এসে আমাকে জড়ালো
কামরাঙা গাছের তলায়। বরং
যাকে ঘৃণা কর, তাকেই কবিতার
গূহ্য কথা শোনাও। যাকে
ভালোবাস, তার হাতে তুলে দাও
‘শাহ্রিয়ার-এর শ্রেষ্ঠ কবিতা’।
জানালার শার্সিতে দেখো দ্বিতীয়ার চাঁদ।
শেষ রাতে ভুল করে ডেকেছিল এক কালো কাক।
অনুরাগিণী
যে শুকনো ডাল, কালো কাকটি
বসে বৃষ্টির জলে ভিজেছিল।
পরকীয়া-প্রবণ কোকিল বসন্তর
কথা বলছে না এখুনি। এখন কবিরা
সন্ত্রাসের কথা বলছে বৈশাখী মেলায়।
সুন্দরীর দিকে মুখ ফেরালেন না
যে রাগী কবি, তার বয়সের
হিসেব জানে রাধিকা।
সীমানা পেরিয়ে গেলে
তীব্র বেগে চলে যাও
নবীনগরের দিকে, সবুজ
প্রান্তরে অপেক্ষায় আছে
নীলাম্বরী এক নীলাক্ষী।
সে শুকনো ডালে সবুজ
পাতার উল্লাস দেখেছে
কবির অনুরাগিণীরা।
SHARE THIS PAGE!