রূপকথার তীরে
রাত পেরোলেই নদীটা রুপোলি রঙ ধরে
সব কালো মুছে দিয়ে সূর্যস্নানে
মুখ গুঁজে থাকে বালিশের ফাঁকে দুঃখ স্বপ্নগুলো
তখনো নিজের মত করেই
ভেসে আসে বাঁধভাঙার আওয়াজ ঐদিক থেকেই
নেমে আসে এক এক করে সৈনিকেরা
ঘোড়ার খুরে ধুলোঝড় তুলে
মাঠ ভরে যায় গন্ধে
রুপোর জলে মিশতে থাকে সোনার ধুলো
দুই পাড়ে ঢেউ তোলে ছলাৎ ছল্ !
ভেসে যাওয়া খড়কুটো জাপটে ধরে
জেগে থাকে কিছু পরজীবী-মুহূর্ত
আর সাতরঙের আঁচড় কেটে
ফুটফুটে দিনগুলো -
জল গড়িয়ে পলি জমে প্রতিটি বর্ষা শেষেই
উঠে আসে ডুবে থাকা সম্ভাবনার সবুজ
মেতে ওঠে রৌদ্রস্নানে আবারো।
বাহারি চোখের ঘোড়াগুলো তখনো আসে
দলবেধে ঘাসের সন্ধানে সঙ্গে ঘরমুখো সৈনিক
ভরাট মাঠে ঢেউ লাগে নতুন করে - সবুজে হলুদে
ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘে ঘোমটা টেনে
গাংচিলগুলো আছড়ে পড়ে নীরব পেলেই
দিনদুপুরে - সুযোগ বুঝে
শীতল জলে বড় তৃষ্ণা তাদের!
শুধু রাজকন্যার ঘুম নেই -
নিদ্রাহীন আলুথালু চোখ দুটো খুঁজতে থাকে
রুপোর কাঠি সোনার কাঠি।
SHARE THIS PAGE!