কবিতা

ঈশানকোণ একটি সাহিত্যের ওয়েবজিন বইমেলা সংখ্যা ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ইং 

[ঈশানকোণ নতুন সংখ্যা দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]

লক্ষ্মণ বণিকের দু'টি কবিতা 

ফুলচন্দন


সকাল ছড়িয়েছে আলো, সে আলোয় প্রতিভাসিত তোমার অনুভূতিমালা; আমি প্রাকৃতিক আলোতে আর তোমার শরীরী বিভঙ্গের কোরাসে জারিত হতে হতে কোন্সময় চোখের মাথা খেয়ে নিজেকে হারিয়ে বসি জানি না। একসময় সম্বিৎ ফেরে, সে তোমার তদারকির গুণ। যে চোখের মাথা খায়, সে চারপাশকে খুব কমই তোয়াক্কা করে। দায় সব তোমার ঘাড়ে বর্তায় বলেই সংসারের পাঁচ কর্ম ফেলে পড়িমরি ছুটে এসে আমাকে তরিপদ করার ভার আপন কাঁধে তুলে নাও; অশ্লীলতা দোষে দুষ্ট হতে দাও না এ তো সেই আপ্তবাক্যেরই দ্বারস্থ হওয়া – স্থানকাল পাত্রপাত্রী নির্বিশেষে কাপড় তুলে যে বসে পড়ে চরম প্রাকৃতিক ডাকে ওর রাজ্যের বাজপাখির মতো উড়ে গিয়ে বসে পড়ে সাতসমুদ্রতেরনদীর পারে ওদেরই মাথার ওপর। তোমার ভূমিকার গুরুত্ব ন্যায়সঙ্গত কিছুটা থাকলেও আমার অবস্থান স্রেফ উপলক্ষ মাত্র। যেমন সুসজ্জিত মঞ্চের উপস্থিতি ভুলিয়ে দর্শকশ্রোতার মন টেনে নেয় দক্ষ পাত্রপাত্রী আপন আপন অভিনয় গুণে। এই পরম্পরার মুখে ফুলচন্দন। 



দৃষ্টিবিভ্রমের ফাঁকে


গড়া না-গড়া নির্বিশেষে সম্পর্ক এক জায়গায় নিজে-নিজেই পৌঁছে যায়

এই যাত্রাপথ পেরিয়ে আসায় নিজে কারো তোয়াক্কা করে না বরং

তুমি আমি আমরা সকলে ওকে ঘিরে বসবাস করি, ঘিরে রাখে

জ্বালানি কাঠ প্রজ্জ্বলিত শিখা যেমন


শিখরে বোধগম্যের বাইরে

সে কতটুকু বাড়বে না কমবে 

সে কেবল প্রাকৃতিক এক টানে আলো তাপ বিকিরণ উৎসুক


মগ্নতার কাছে, উৎসুকতার কাছে মাথা নত করে নিজেকে দাঁড় করার সময়

জল, হাওয়া


HOME

SHARE THIS PAGE!