উদ্ভিন্ন
পুরোহিত পাড়ার মেয়েটা যেদিন জামালের সঙ্গে পালালো
আমি প্রথম সত্যিকারের তরোয়াল দেখলাম
চতুর্দশীর রাতে পাড়া জুড়ে অসংখ্য চকচকে তরোয়ালের মাঝে
নিজেকে সিরাজ মনে হচ্ছিল...
কালীপূজোর পরদিন ভোরে দেখলাম সত্যিকারের লাশ
মা বলল – “বাগদি পাড়ার মেয়েটা মুখ পুড়িয়েছে”
তার ঠেলে আসা চোখে, যন্ত্রণাকাতর ঠাণ্ডা মুখে
আমি কোনও পোড়া দাগ দেখিনি...
ইটভাটায় খেলতে গিয়ে দেখলাম -
দুটো শরীর ছটফট করতে করতে মিশে গেল
ভয়ঙ্কর দৌড়ে সেই যে খিড়কির পাড়ে গিয়ে বসলাম
রাতে বাবা আমার ঘুমন্ত শরীর ঘরে নিয়ে যায়...
ঘুড়িটা রোজ অল্প বেড়ে গোঁত্তা খাইয়ে
শান্তাদের ছাদে ফেলি। বলি – “ধরতাই দে”
ও রেগে বলল – “তোর মাকে বলে দেব”
এখন শুধু চিলেকোঠার ঘর থেকে ওদের ছাদ দেখি...
মাধ্যমিকের ঠিক আগের দিন গুরু’দা খুন হল
দুটো ছেলে বাইক থেকে নেমে ভরা বাজারে
ওর খুলি উড়িয়ে দিল। আমার চোখ একটুও কাঁপেনি
তিনটে লেটার নিয়ে পাশ করে আমি বড় হয়ে গেলাম...
SHARE THIS PAGE!