কবিতা

ঈশানকোণ একটি সাহিত্যের ওয়েবজিন বইমেলা সংখ্যা ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ইং 

[ঈশানকোণ নতুন সংখ্যা দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কবিতা 

চিত্রলিপি 


পায়ের কাছে পড়ে আছে পাকা পেয়ারা 

মেয়েটির স্তন লজ্জা পাচ্ছে 

আর বৃষ্টি ততোই ফুটিয়ে তুলছে

২.

পানপাতা নিয়ে কথা হচ্ছে বৃদ্ধা ও কুমারীর 

বাথরুমের আয়না নগ্ন হলে 

তারা দুজনেই হেসে ওঠে 

ফোয়ারা উপভোগ করে

৩.

জোছনায় লাউলতা কখন নারী 

নাচের মুদ্রায় 

সুরাপাত্র এগিয়ে সে ডাকে 

মেহেবুবা 

আজ তবে মেহেফিল হোক

৪.

ফুলের উপরে স্বাভাবিক প্রজাপতি 

ছাত্র দেখাচ্ছে দিদিমণিকে 

তবুও গালে রঙ লাগে 

নেমে যায় চোখ 

প্রজাপতি ও ছাত্র কারণ বোঝে না



শীতরচনা ১


কখন ডিসেম্বর হয়ে পড়ি 

কুয়াশা ডেকে নেয় 

কফির কাপের পাশে 

খোলা পড়ে থাকে লেখা 

নতুন শব্দের অভাবে

বেশ আদ্রর্তাহীন 

গাছেরা পাতা ঝরিয়ে 

অপেক্ষায় ক্রিসমাস ট্রি হবে 

পরিযায়ী ডানায় 

এক পেরেক বিদ্ধ ঈশ্বর 

বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে যায় 

অন্তর্বাস আর জন্মনিরোধক পিলের

খোলস ছেড়ে গেছে যে

সে শীতঘুমে 

অনিবার্য তার এই যাওয়া 

তবুও খেজুর গাছের কাছে 

গুড়ের গন্ধ 

বড়দিনের কেককে টেক্কা দিয়ে 

গরম চাদর 

আর একটু আদর 

কিন্তু তুমি হারালে বাকি সব

নিতান্তই শব

জানুয়ারী এক নয়া জীবন চাহিদায় 



২.

শীত রচনা ২


সকাল হারমোনিয়াম হলে 

একটু রোদ পোহাই 

কাগজের অক্ষরের থেকে সরে 

রিডে কান ফেলি 

কার্নিশে পাখিদের ভীড় 

ডানাকাটা পরি চলে গেলে 

সুনসান মাঠ

চোখকে জ্বালাতন করে 

তবলার বোলে নি কিছুটা আরাম

হাওয়ায় হাওয়ায় শীত 

তুমি জড়িয়ে ওম 

রান্নাঘর মটরশুঁটি বেছে রাখে

মাংসের নতুন রেসিপি 

প্রস্তুত 

কখনো অপ্রস্তুত করে 

টেবিল ম্যানার্স ভুলে 

জিভের দাঁতে তুলে নি

সেই পুরনো প্রেম পর্যায়


৩.

শীত রচনা 

  ৩.

দুজনে

শীতের ঘর হয়ে আছি 

কাটা টমেটো 

ছুরি 

গোয়েন্দা সিরিয়াল 

কেউ মটরশুঁটির কথা বলছে না 

জামা খুলছি

৪.

মেথিশাক

তিক্ততার মধ্যে রেখো না

মোলায়েম লেখো 

সাদা ভাতের উপর 

শীতকাল 

ধনেপাতাও 

সুবাসিত

৫.

চড়ুইভাতি

কিশোর দেখছে কিশোরীকে 

উথলে উঠছে মাংস 

নদী 

পায়ের পাতার শব্দ 

ডানার অস্থিরতা

নীরব সূর্য নেমে এলে 

চোখ নিয়ে বাড়ি ফেরা 

কেউ কিছু কি হারালো !


৬.

শীতরচনা ৭


মেঘ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না

পাথর পাথর নয়

আমাদের নরম অভ্যাসগুলি 

বাউল

উলের সময় এসে গেলে কাঁটা

সমস্ত যন্ত্রণা উপড়ে গলায় গলায় 

হাতে হাতে ভাব 

সরোদে

নৌকা চলে যাওয়া পর বাতাসের 

ভিতর শরীরে কান্না 

নদী জানে 

আমরা শুধু চড়ুইভাতির শেষে

ফেলে আসি এঁটো থার্মোকল

আর কিছু হাড়গোড় 

ভবিষ্যতের জিম্মায়


HOME

SHARE THIS PAGE!