বসন্তে
এক
মনে হয় রোজ তোমাকে লিখি
জড়ায়ে জড়ায়ে ফুরিয়ে যাচ্ছে আমার রবিবার, সোমবারের করতল, সুরভিত খাদ
প্রতিদিন গাছ যেন পুরুষ অনিন্দ্য, রূপময়,
বিরহিত ঝরা ফুলদল শিকড় স্নাত, নতুন হয়ে ফুটে থাকি প্রশাখাময়
নখ, দাঁত, হাড়... গলে যায় শক্ত কাঠামো
গাছের সঙ্গে না মিশে গেলে
কেমন করে উত্তর গোলার্ধে বসন্ত আসবে বলো!
দুই
বার বার ভালোবাসার কবিতা লিখতে ভালো লাগে
কারণ তারপর আমি মরে যাই, ব্যাকুল অহংকারী মৃত্যু
ভালোবাসা, তোমাকে অহংকার ছাড়া মানায় না
পরী হুঁ ম্যায়... পরী হুঁ ম্যায়... সব মুহূর্ত বেসামাল
অনন্ত মরণ শুধুই কেনো দরজা খোল
তিন
জানেমন্ ফেব্রুয়ারি
গভীরে তোমাকে আমি সাঁওতাল তরুণ ভাবি
দীর্ঘ এক শাল্মলি তরু, পাহাড় চুড়োতে দাঁড়িয়ে
আছো একা,
আমিও সেজেছি বনজ্যোৎস্নায়
কালো রঙে ছেয়ে আছি, কি রূপ আমার!
তোমার কাছে যাবো বলে,
ধূসর হরিণশিশুর সাথে সারা রাত পথ হারালাম
দেখেছিলাম তোমাকে, তবুও ফিরে এলাম একা একা,
ঠিক কতটা ভালোবাসলে, যেতে হয় কাছে, জানা নেই এখনো আমার।
নির্বাচনী
শীর্ণ হাতের নখে এক ফোটা কালি, কী জখম, ইস
কাজ করে বাড়ি ফিরে যায় যে রবিনা, সবিতা, ফুলনবালা
আজ রাতে মার খেলে, এক ফোঁটা কালিতে ঘটবে দারুণ বিস্ফোরণ, হচ্ছে এখন নারীর ক্ষমতায়ন।
এই লেখাটা শেয়ার করুন