কবি সব দুঃখ টুঃখ
কবি সব দুঃখ টুঃখ জানে আর বুকে চেপে রাখে
হাত ধরে যেদিকেই টানো সেদিকেই যায় হিহি করে হাসে
অথচ দাঁড়িয়ে সভ্যতার খানাখন্দে রীতিমতো হিসি করে
শোকতাপের মহাবটের নিচে মৃত্যু মানে রূপান্তর জানে
জলের ছবিটা অনায়াসে ফেলে দেয় জলে
জীবন তরল করে বিশেষ তরলে ভূগর্ভ রেলের মাটিচাপা কংক্রিটের মতো
সহজ সুন্দর করে সভ্যতার গমনাগমন
একদিন যুদ্ধ হবে প্রতীক্ষায় কবি সব দুঃখ বুকে চেপে রাখে
আততায়ী ঘাতক বিমান তাড়া করে গাইডেড মিশাইল
ককপিটের সংখ্যাতীত গ্যানেটের কারুকার্যে নিরুদ্বিগ্ন বসে থাকে একা
ইচ্ছা যদি হয় ছত্রহীন লাফ মারে বইয়ের হারিয়ে যাওয়া
পাতার শূন্যতার মতন শূন্যতায় হায় ঈশ্বরের মতো একা সে এখন
পায়ের তলায় মৃত্যুর অজস্র নুড়ি উপেক্ষায় পড়ে থাকে
সকলের সামনে নগ্ন কিশোরী ভেনাস বুকে তুলে নেয়
স্বাগতম তোরণের পাতা ছিঁড়ে স্তমবৃন্ত দুটি নাকি কবিতাকুসুম ঢেকে রাখে
ঊর্বশীর নিটোল পাছায় তিন লাথি মারে একমাত্র কবি
বস্তিতে ভাগাড়ে সভ্যতার শ্মশানে নির্জনে কবি যেতে পারে
এসব বানানো কথা তিনি কিছুই পারেননা তাঁর স্ত্রী রেঁধে দেন
তিনি খান এবং সব দুঃখ টুঃখ বুকে চেপে রাখেন
তাঁর গলা দিয়ে একটি কথাও উচ্চারিত হয়না প্রতিবাদে
গা বাঁচিয়ে লিটল ম্যাগের পাতায় কিছু কথা অক্ষমের কিছু ইচ্ছা
প্রকাশিত করে আত্মতৃপ্তি পান মহাব্যস্ত হাওয়া নিঃসরণে
এই লেখাটা শেয়ার করুন