ক্ষুদ্রাভাব
আঙিনায়, ঠেলে সরিয়ে দেওয়া পলতের শীত
নিখোঁজের দোয়াতে, খাগের কলম, দূর চন্দন
বন।
পেটে পড়ে থাকে ট্রামের তার, এগারশো বাইশ
কেটে কেটে ক্ষুদ্রাভাব করেছে যারা
তোমার টেলিফোন।
ঠিক হয়েছে আলোর দিশায়, আরও বিভীষিকাময়
ফুলের টুকরো কুড়িয়ে, তির কাঠির কোন এক
কোণে,
বলে রাখবে, আবারও গিঁঠবে তুমি বেলপাতায়
বেলপাতায়
ময়ূরের ডাককে যেন কী বলে?
কিছুতেই আসবে
না মনে।
তখনই তোমার অপ্রসন্নতায় জ্বলবে পারাপারের বর্ণ
লগ্নক্ষয় হয়ে এলে রাশিফলের মৃত্যু ঘোষণা করে
কাগজে কাগজে ওঠো...
যেন শুধুই আলো নয়, রাত কাটিয়ে আসা ভালো নয়
তুমি ঠেলছ সাক্ষরতা, আমি ঠেলছি কাঁচের ঢেউয়ে,
সমদ্র ছোট ছোট...
সতেরো ফেলে, আরও দশ যাওয়ার পর
আঁখের রস থেকে চিনি শুষে খায় পৌষের রোদ
গেলাশের মানুষ কাগজ বিছিয়ে, ক্ষুদ্র বেঁচে থাকা
মোছে।
চকের শরীর বেয়ে, ধুলোয় পৌঁছে যাওয়ার আগেই
বর্ণ চটানো বাড়ির জানলায়, কেউ নতুন রঙের,
মর্ম বোঝে।
শুধু আমিই বুঝি না, তালিমে এত ব্যথা কেন হয়
যতটুকু বাতাসে হলে, গান হয়ে যায়, তপ্ত বিদ্যুতের
চিড়িক করে আলো কেন এখনও এতটাই ঝলসে দেয়
নতুন হওয়া ময়ূর পালকে, গুটিয়ে রাখা বর্ষা ছুটে
লোহার গায়ে আছড়ে পড়ে
পড়ে আমার পেড়ে খাওয়া আকাশ থেকে অনেক লাইন
সবাইকে তাই সাবধানেতে নিজের থেকে,
কাছে দূরে
লুকিয়ে রাখি।
যাতে তারা বুঝতে পারে, সময় মত খুঁজতে পারে,
ব্যথা আমি করি নি তোমায়,
ব্যথাতে তুমি এমন করলে,
আমিও তখন সবই ভুলে
এরূপ, আচরণ করতে থাকি।
এই লেখাটা শেয়ার করুন