পলাশপ্রহরী
রং মেখে রং ঝেড়ে গুহার দিকে যাত্রা করল কুশীলব
নিশ্ছিদ্র প্রহরা ভেঙে আসেনি গণিকা-রাখাল-মহারাজ
বাউল অবশ্য ছিল সঙ্গে কিছু নকল সন্ন্যাসী
যারা বলল খাদ্যে কিছু ছলনা দেখেছে তারা হিতৈষী ছিল না ?
দুই পথ তো মিলেছে কোথাও কিছু আগে অথবা দেরিতে
সেদিকেই সকলের আগ্রহ নজর সকলেই চায় স্বাদসুখ
এ বছর শিমুলের ঘ্রাণহীন বর্ণ নির্বাচন করে কোনো কী বার্তা পাঠালে ?
ইতিউতি প্রেম হল বিনিয়োগ সম্ভাবনা হল ততোধিক
ফেসবুক পর্দা থেকে ভুইফোঁড় বন্ধু বশংবদ
গ্রহণ বর্জনে সব শর্তশপথ অনুচ্চার
তরলের প্রয়োজনে জগৎ পালটায় ঘর সংসার আতঙ্কে অস্থির
উৎসব ভালো যদি জটা থেকে নদী না পিছলোয়।
দুরন্ত এক্সপ্রেস
এই প্রথম সাক্ষীবঞ্চিত আমি
যাত্রাশুরু...ওহে কর্ণধার
ঘরমুখো গোরুর খুরে যেমন সন্ধে ও ধুলোবিষাদ
অদয়াল চেকারের টোকায় খোলে চোখ
ভেসে যাচ্ছি হিমস্রোতে নিদ্রাউদার
রঙ্গমঞ্চ ছেড়ে গোপনাঙ্গ বেশ যাত্রাবিহ্বল
নুনসাগরের জলে এখনো আড়ষ্ট চোখ
না নীলিম মাটির সাগর কিছু মৃত্তিকাকাতর
এসেছ গোপনে বৃতা সুখে সম্মোহনে
উড়েছে চাদর তাই নিশ্চিত চাবিকাঠি খোলে
ঘরে শঙ্খ দ্বারে পল্লব বিশ্ব বলে আসি
উড়ন্ত খনিজ খুঁজে বস্তুবর্তী হওয়া
কথামালা না ফুরোতে
দূরের রাস্তায় শুধু চোখের পাহারা ,
চোখের কাজলে লুকোনো অশ্রুর বাষ্পগন্ধ রাত ;
রাত কি কখনো গোনে তারাদের শ্রেণিভাগরেখা ?
অমূল্য আসর যায় অকারণে ভেসে ।
যত কথা পরিকল্পিত আসরে বলা যায়
তার অর্ধেক রাস্তার বর্ষায় ডুবে যায় ;
মিছিলনগরী আনে গভীরতাহীন এক প্রগাঢ় অসুখ ।
কথামালা না ফুরোতে সবাইকে ডেকে আনা
দুঃস্বপ্নের ইশারা হয়ে ইঙ্গিতরমণীর
কৃত্রিম আঁচল ঘিরে ঘুরতেই থাকে ।
না-বলা প্রতিধ্বনি
দূরতম বৃক্ষের আড়াল থেকে
কার হাতছানি এসে বদলে দেয়
জীবনের মানে ।
জীবন নদীর মতো যারা বলে
তাদের গোপনে ডেকে
কত কী বলার থাকে ;
সব কথা নীরবেই না-বলা
প্রতিধ্বনি হয়ে
পাহাড়ের খাঁজে আর
সর্পিল বালিয়াড়ি ধরে
জন্ম থেকে জন্মান্তরে
পথ ভেঙ্গে রাস্তা করে নেয় ।
এই লেখাটা শেয়ার করুন