নীলাচল
নিজের ভেবে যাঁরাই আসেন কিছুটা আলাদা ব্যবস্থা তাঁদের জন্য;
যেমন সামনে বেরিয়েই অটো সোজা মহাযান স্টেশানের দিকে যাবে,
আর সেখানেও বিশাল গোল ঘড়ি, সন্দীপন তাঁতঘরে স্বনামে
লিখেছেন, বিখ্যাত হবার আগে সবাই একবার অন্তত এখানে আসেন।
আপনি নিজেও রেঁধে খেতে পারেন, পেছনেই সমুদ্র ঝাউবীথি
শাঁখের দোকান; দেখেটেখে যান ভালো, দাঁড়াবেন না, অতিরিক্ত
কৌতূহল নয়, যদি কেঊ গান করে করুক না
সামনেই নীলাচল, আমি আমি গন্ধ ফেলে যাওয়া।
অনাদি হে যাত্রীদল
অপরিমেয় মৃত্যু ও পতন সঙ্গে করে যে নেমেছিল যাত্রাপথে
সেই কেবল লিখে চলেছে অচঞ্চল মহাজীবনের কথা
কখন সকাল হবে, হয়েছিল কোন্ কালে
মনে করে কেউ বসে থাকেনি, কেন যাওয়া
চলেছি কোন কালপুরুষের কাছে, এ বৃত্তান্ত কার মনে আছে?
যেতে হবে, শুধু এই কথা জেনে অযুত মানবযাত্রী
এগিয়েছে রাত্রিদিন বীজ থেকে ব্রহ্মাণ্ড অবধি;
সুনামি তো উপলক্ষ, কত ঢেউ, কতশত ধ্বংস ও মরণ
মরুঝড়, কালান্তর উচ্ছ্বসিত
ব্যথিত বন্দনা মানুষ পেয়েছে বলে
দিনরাত্রি ইতিহাস লিখে ক্রমাগত;
অনাদি হে অপরাজেয়, তোমার যাত্রার পথে
আমাদের ভূমিষ্ঠপ্রণাম।
এই লেখাটা শেয়ার করুন