বসন্তের বেরং ও রঙ্গোলি
১১.
বৌকথা কও বন্ধ ঘর জানে। তবুও
গোলাপ গান গায় এমনই হাতের
মহিমা। মান সিংহের সন্ধি প্রস্তাব
কোনই কাজ দেয় না। যোধা বাঈয়ের গোসলখানায় আয়না
ভেঙে গেলে কাটা কাটা প্রতিচ্ছবি
ওঠে স্তনের। সনেট কবির হারিয়ে
গেলে ডুকরে কেঁদে ওঠে দেয়াল।
আলের শরীরে জল নেই মফস্বল
কলের মতো লাইন ক্রমশ সিরিয়ালের গল্প হয়ে যায়
১২.
জলের আল্পনায় পাঠিয়ে দিচ্ছি চোখ। ছোট্ট ছোট্ট ঢেউ হাওয়া সরিয়ে দিলে পড়ে থাকে পলিথিন দানবের
মুখ আর কিছু পচা ফুলের লাশ।
তুমুলে বেঁধেছি চোখ আর কানা মাছি খেলায় খেলায় রাষ্ট্র হাততালি। স্নানগুলি ময়লা ধুতে না পারায় ক্রমশ ফতুর হয়ে সরু গলির আশ্রয়ে যায়। চোঙায় চোঙায়
যেখানে দেবতা বসেছে উল্লাসের ঠেকে সেখানে প্রেম প্রস্তাবটি শ্রুত
নয় নীরব পিঁপড়েও জানে
১৩.
কথাকে কথা দিয়েছিলাম কথায় কথায় কোথায় তুলে রেখেছি মনই
জানে। জান কয়লা হলে জানুর
সামনে দাঁড়াতে পারি না। দুর্যোধন
মেদিনী দেয় না আর আমার সুঁচ
ঢোকানো হয় না গ্লকোমা চোখে।
গ্রীন রুমের ভিতর চপলকুমারী
খুলে রাখতে রাখতে অন্তর্বাস
আয়নায় খোঁজে এক পুরুষ শরীর।
কর্ণ লাল হয়ে গেলে রথের চাকার
নীচে একটি অব্যবহৃত সাদা বেলুনে ফেলে রাখে শরীরের নিষিক্ত প্রেম
১৪.
কিছু পড়ে থাকা পাতা ব্লাউজ পরে গাছ বসন্তের চুমু প্রার্থনায়। দিল্লির কুয়াশা হারেমের জানালায় চোখ ভরে দেয় জাহাঙ্গীরের প্রেমের। হাতড়ে হাতড়ে সে খোঁজে রঙিন চুড়ির গজল। জল তুমি এতটাই
মিশে মিশকালো বাঁদিটিও জানে
ফর্সা পাখিটি গায় বেশি শীৎকারে
ভালোবাসা ভোগে চলে গেছে
১৫.
বসন তো নেই দেশে বসন তো নেই
এক অর্ধনারীশ্বর নাচে। চেহারায় ধূলি মলিনতা। তার বেরং দৃশ্যে রাসায়নিক রঙের আবির কারা ছুঁড়ে ফাগুয়া ডাকে। কিরিটির কাছে হেরে লজ্জিত অর্জুন বৃহন্নলা। সেই রূপেরও ভিখারি অনেক। কষ বেয়ে লালা ঝরে। রে ছড়িয়ে
জ্বলে যায় যুবতীর খেত আর নির্বীর্য
যুবক ছোঁড়ে স্টিকার গোলাপের
মুখবইয়ের ডাকঘরে
এই লেখাটা শেয়ার করুন