যতটা দৃশ্যমান
অসাবধানী পথঘাট অগোছালো
উঠান পর্যন্ত প্রতিবিম্ব,
দলীয় বিবশতা রাতচরা কীট
চেতনার লক্ষ্যে বিষ বাচালতা
যে অবধি দৃশ্যমান নগ্ন নির্লজ্জতা,
শোভিত চিৎকার আনমনে
আরো কঠোর আত্মপ্রতিফলন খোঁজে।
সেদিন এদিন একাকার মসনদে
মন্দির মসজিদ তুলাযন্ত্রের অবয়ব
আত্মহারা আমি দিনপঞ্জির পাতা নাড়ি।
লালসা মাখা সতর্কতা অথর্ব চৈতন্যে
খানিক মাখামাখি রঙশালায়
অভব্য রক্তখোর চুষে নিচ্ছে প্রগতি
সাদা জীবনীর পরিমিত কাপড়ে টান পড়ে
কপট রঙমাখা দূর্যোধনেরা উল্লাসে
শালীনতার কথা বলে পাটাতনে,
রঙিন স্রোতে নিজের প্রকৃতি খুঁজে পায়
অন্ধকার আরো অন্ধ হয়ে ওঠে
কোন প্রগলভ আলো জ্বরে পোড়ে
বন্দিত বাতাস নাক ঢেকে চলে যায়
যতদূর দেখি বিলাপ ধুলোয় দিগন্ত ম্লান।
খুঁজে চলেছি
কতগুলি শিউলি কচুপাতায়
বাতাস পচাপাটের সুগন্ধে ঘনীভুত,
রাতজাগা শিশু শিশিরগুলি
ওপাড়ার রমাদের আলতায় খেলে
আসা যাওয়ার পথে পুকুর পাড়ে
নিঃশব্দ প্রহরী হয়ে কাশফুলগুলি।
শরৎ স্তবকের নধর বুকে
সারা মাঠ রাতভর স্তন্যপান করে
লালিত্য বৈভবে নিদ্রাবিভোর,
একদার ঝড়বৈশাখী আমবনে
মৃদু শীতলতা অস্তমিত গন্তব্যে।
নীল সামিয়ানায় কাঁচাহাতের আল্পনা
সবুজ প্রেমের দিকে চেয়ে -
ধীর লয়ে ভাসমান পরদেশী মেঘেরা,
পাঠশালা চাতালে মায়ের প্রথম মাটি
ষষ্ঠীতলায় গোল্লাছুট আর চুরির নাড়ু।
অঘোষিত ডাক বাড়ি ফেরা চুপিসারে
এক বিছানায় ধূসর চাদরে ভাইয়েরা
আধখানা জানালায় ম্লান চাঁদ
মুক্তমনা ঝিঁঝিরা কাজলা দিদির বাঁশবাগানে ঘুমপাড়ানি ভৌতিক ছোঁয়া,
আমিতে অজস্র আমি এখনো খুঁজি।
এই লেখাটা শেয়ার করুন