চাকা
এইসব লেখা কান্নাভেজা
দাবদাহে শুকলো না একটি শব্দও।
একফোঁটা জল টুপ করে নদী হয়ে যায়।
এতদিন নদীর উৎসে ছিল পাহাড়
আজ থেকে তুমিও-আমিও।
এত জল বসতি কি টের পেয়েছিল!
বাঁকে বাঁকে দেখা
বাঁকে বাঁকে কথা
নিঃশব্দে মেঘ হয়ে গেল।
পাহাড়ের হাসি – সে কী ভয়ঙ্কর!
দেহ ভাঙে, হস্ত-পদ, অস্ত্রের ভাণ্ডার সমেত
কামনা ঝনঝন।
বজ্রপাতের আগুন ভস্ম করে গেল অভিসন্ধির
নতুন বিছানা।
কিছু নেই আর
শুধু ওইসব লেখা জল হয়ে ফিরে ফিরে আসে
পুনর্বার
সুকান্ত
শেষ আঘাতটি যে করেছিল সে-ই ঈশ্বর
বাকীসব তেত্রিশ কোটির জনাকয়।
আমি এক বুদবুদ মাত্র।
এই চোখ খুলি। এই ফেটে যাই।
আবার জীবন নাড়ি – জেগে ওঠে
ফেনা-ফেনা সহস্রলোচন।
তক্ষুনি কারা যেনো বের করে দেয়
ভেতরের বাতাস।
এরাই ঈশ্বর।
এরা ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়-বৈশ্য-শূদ্র-আর্য-অনার্য
তেত্রিশ কোটির কেউ না কেউ অধরা-অদৃশ্য
ঈশ্বরকে ধরতে গেলে নৈবেদ্য জ্বলে ওঠে
ফুল-বেলপাতা জ্বলে ওঠে
লাল হয়ে ওঠে পূজাপ্রাঙ্গন
কাঁপে জুনমাস, পরিত্যক্ত ইতিহাস,
ফিরে আসে শান্তি রক্ষক।
আগুন থেকে কেউ দূরে থাকে
কেউ ডাকে কাছে
প্রাণভিক্ষা চেয়ে চেয়ে সুকান্ত
ঢলে পড়ে ত্রিতাল রোদের বুকে।
এই লেখাটা শেয়ার করুন