চৌবাচ্চা
তুষ্টি ভট্টাচার্য
পাটিগণিতের চৌবাচ্চা থেকে মাথা তুললে
ধারণার বাইরে থেকে যায় জল।
জল মানে খলবল
জল মানে ছলাৎ
জল মানে আকন্ঠ ডুবে যেতে যেতে
এক আঙুলের জেগে থাকা
আর ঘুমের পাইপ বেয়ে নেমে আসা
চৌবাচ্চার ভেতরে -
আর নিয়তি নির্ধারিত পাইপ বেয়ে যাওয়া ……
রকিং
তুষ্টি ভট্টাচার্য
যতটা জল হলে সাঁতার হয়
নৌকোয় তত ঢেউ ছিল না।
জিব্রাল্টার পাথর জেগে ছিল
ছইয়ের ভেতরে মাঝিও
ফেরি পারাপার হবে কি হবে না
এ সংশয় নিয়ে আসে নি কোন যাত্রী
ফলে মাঝি আর জিব্রাল্টার রকিং -
দৃশ্যত এদের কোন ভূমিকা রইল না।
কিছু অন্তত থাক
তুষ্টি ভট্টাচার্য
কোথাও কিছু একটা নেই –
এমন কিছু একটা, যার
নেই হয়ে যাওয়ার ফাঁকে
যেটুকু স্পেস ছিল, বা আছে
তেমনই কিছু একটা নেই।
একটা মুহূর্তর নেই হতে
এক মুহূর্তই লাগে।
অনেক স্পেস আর মুহূর্তর
পিঠে কিছু একটা থাকে।
কিছু একটা থাকার মত থাক অন্তত
না থাকার চেয়ে কিছু অন্তত থাক –
ওই জানলার চেয়েও ভারী কোন ফ্রেম
ওই আকাশের চেয়েও হালকা কিছু মেঘ
এই বৃষ্টির চেয়েও বেশি কিছু রিমঝিম -
থাক অন্তত কিছু।
মল্লার
তুষ্টি ভট্টাচার্য
এই বৃষ্টিতেই সব পাওনা বুঝে নিতে হবে
কোথায় মল্লার বিঁধে গেছে, কোথায় তেমন অবশ......
বৃষ্টিমাখা ছুরির যে টুকরো গিঁথে আছে
উপড়ে দিয়ে চলে যাব আজ ভিজে ভিজে
পাওনা বুঝে নিতে হবে যে করেই হোক
একটা আধখাওয়া আপেল থেকে দূরে
যে গান পড়ে আছে
ফিরে যাব সেই সুরেলা সফরে
গেও না শ্রাবণ
গেও না এতবার গানের মত
শুনতে শুনতে গান হয়ে যাব
কিছু গল্প রেখে দিয়ে আষাঢ়ে মেঘ চলে গেছে
গান নেই, ছিল না কখনও।
এই লেখাটা শেয়ার করুন