অহল্যা
রামেশ্বর ভট্টাচার্য
তুলো বীজের মতো ছড়িয়ে পড়ছে
যে মৃদু হাওয়ায়, কানাকানি হলে
তার কথাও শোনা যায়। হিরণ্ময়
গর্ভ থেকে যে উঠে এসেছে, তার হাতে
গুঁজে দাও স্বপ্নের শোকগাথা।
অনন্ত নক্ষত্রের পথে হাঁটতে হাঁটতে
তোমার কাছ থেকে শুনে নেবো ইদিপস।
সে সিঁড়ি নেমে গেছে কৃষ্ণপক্ষের
দিকে, সে-দিকে প্রতিরোধের ছায়া
ফেলেছে মণিপুরের দ্রোহী রমণীরা
তুলোবীজের মতো ছড়িয়ে পড়ছে
চারিদিকে, হে প্রেম, হে দ্রোহ
লোকটাক জলের গভীর থেকে
উঠে আসছে সব মীনকেতন
চতুর্থীর চুম্বন
রামেশ্বর ভট্টাচার্য
যদিও আমার সব জারিজুরি জেনেছে
প্রহেলিকাময় শীতল টিকটিকি, তবু
চতুর্থী তিথিতে চুম্বন শুধু চিবুকেই
মানায়, যে নেই কাছে তার কথাই শুধু
ভাবছি অবিরাম, যে দুগ্ধবতী, পৃথুল
হবার ভয়ে সে গেছে হার্বেল ম্যাসেজে,
ফ্যাশন টিভির সামনে বসে আছে এক
কবি, পোস্টমডার্ন, কালিদাসের মতো
শিবের সম্ভোগে পার্বতীর স্তনন
মহিমা সে শুধু করেছে ক্ষুণ্ণ প্রতিরাত
কবিতা উইন্ডোজ খুললেই এমন
সুমিত গরিমার কথা জানা যায়
রি-সাইকেল বিন থেকে উঠে আসেন
কবি, কহেন তিনি, এই সব সমাচার
শোনো পুণ্যবান, অহো, অবোধ বালকেরা
এই লেখাটা শেয়ার করুন