একা বিনোদিনী
চিরশ্রী দেবনাথ
বিহারি, মহেন্দ্র কাহাকেও আশেপাশে
দেখিতে পাইলাম না, তাহারা কেহই আমার নয়
আমি একা বিনোদিনী
সকালখানি দুইহাজার ষোল,
প্রায় একশত ষোল বছর আগেকার বালি মেয়ে এই শ্রী
ল্যাপটপ থেকে বেরোতে থাকে শুধু নিখাদ মধ্যরাত
বিষাদের মধু আমার শরীরে ফুটিয়ে দেয়
রোজকার অবাধ ঘাসবন
চারপাশে অশরীরী আমৃত্যু রবি
কতবার প্ল্যানচেটে ডেকেছি তোমায়
ধূপের ধোঁয়া, ফুলসাজ, পাতা খোলা সঞ্চয়িতা
কিশোরী মধ্যাহ্নের রবি বিলাস
পেন্সিলের সরু আঁচড়ে অস্পষ্ট হয়ে যে নাম
লিখিয়ে যেতো আঙুল
শিউরে ভাবি এ কি সত্যিই আমার রবি
সব মূহূর্তে আমি শুধুই বিনোদিনী
বিরহস্বাদ কিছুতেই মেটে না
প্রেম আমার বিলাসী শবগল্প, অহল্যা সময় ....
কালো পাথুরে মেয়ে
ওপর দিয়ে গড়িয়ে যায় তোমার শুষ্ক খোয়াই
গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে প্রবল পদাবলী হয়ে কেবলি আমার জেগে থাকা,
এতো সব অপূর্ণতা তবু ভরে ওঠে রক্তের আনাচকানাচ
তীব্র ভাবে তাকিয়ে থাকা এক জোড়া সমুদ্র..
শীর্ণ খসখসে আঙুলে আঁকতে থাকি ঝাউবন
মাঝে মাঝে কেউ যেন বলে যেতে থাকে
টপোলজির জটিল সূত্র প্রমাণ, মেলাতে চাই না আর ...
সাদা নোটবুকে তারা এঁকে দিয়ে যাক
অ্যামিবা বিভাজন, দুফোঁটা হাসনুহানার বাতায়ন
আচ্ছন্ন ঘুমে অলিন্দ জুড়ে হাঁটতে থাকে বিনোদিনী
ঠোঁট কামড়ে থাকা কালবৈশাখীর গয়না মেয়ে ..
নাভি আর হৃদয়ের মাঝে যে জন্ম বেঁচে আছে
আমার সব স্নান সেখানেই ......
এ ঘোরের মতো সুখ আর নাই রবিকবি .....
এই লেখাটা শেয়ার করুন