--- আশুতোষ, তুমি কি ভাবছ ?
--- হ্যাঁ ভাবছি।
--- কী ভাবছ ?
--- ভাবছি অনেক কিছুই। ভাবছি এই আকাশ, এই বাতাস, এই পৃথিবী -- ।
--- আর ?
--- আর ? ভাবতে চাই অনেক কিছু। কিন্তু সব থমকে যাচ্ছে।
--- তাহলে স্বীকার করছ, থমকে একসময় যেতে হয়।
--- তাতে তোমার কী ? তুমিও তো থমকে গেছ।
--- আমার কথা বাদ দাও। তুমি শিল্পী, তোমার কথা আলাদা।
--- আরে আমিও তো মানুষ। তোমার শরীরে যে রক্ত, আমার শরীরেও একই রক্ত।
--- তা ঠিক। তবে তোমার যে ভাবনা সে তো আমার মত নয়। দেখো, আমি এখন আমার স্ত্রীর কথা ভাবছি। তুমি ভাবছ পৃথিবীর কথা--।
--- ঠিক আছে। আমিও এখন স্ত্রীর কথা ভাববো।
--- তারপর ?
--- তারপর আবার পৃথিবীর কথা ভাববো।
--- তার মানে তুমি আধা সাংসারিক আর আধা শিল্পী ! তোমার একূল না ওকূল তা তুমি বুঝতে পারছ কি ?
--- তুমি কী যা তা বলছ! আমাকে আমার মত থাকতে দাও। আর বিরক্ত করো না।
--- জানতাম, এসব প্রশ্ন তোমার ভাল লাগবে না।
--- যদি জানতে তবে এসব অবান্তর প্রশ্ন কেন আমাকে করছ ? তুমি কি আমার শত্তুর ? শোনো, শুনে রাখো। আমার ক্ষমতা অসীম নয়। সীমিত। আমি আমার সীমিত ক্ষমতার শেষ সীমানায় যাবার পর আবার আরেক সীমানার সন্ধান করি। সে সীমানার শেষপ্রান্তে যাই। আবার আরেক সীমানার সন্ধান করি। এভাবেই আমি বেঁচে থাকতে চাই। সংসারের ভেতরে। দয়া করে আমাকে বাঁচতে দাও। প্লিজ।
আশুতোষ চোখ বন্ধ করে দুহাত আকাশের দিকে বাড়িয়ে দেয়। বুক ভরে নিঃশ্বাস টানে।
HOME
এই লেখাটা শেয়ার করুন