অন্ততঃ এবার
সন্জিৎ বণিক
শুরু করা যাক মাঝখান থেকেই,
চুপচাপ যাঁরা এখনো বসে
এগিয়ে এসে বলুন দু’চার কথা,
স্বাভাবিক পরিস্থিতি জরুরি।
ভালমন্দের বেড়াজালে জড়িয়ে ফেলতে
সময় লাগে না বেশি,
আকাশের কথা ভেবে
মনের মাধুর্যের কথা ভেবে
যেসব ইচ্ছেনদী বহমান
তার দিকেই সবার ন'জর
সময়টা ভাল হয়ে উঠুক
হাতের স্পর্শে অন্ততঃ এবার।
ছাই
সন্জিৎ বণিক
ছাই ওড়িয়ে দেখো,
ভেতরে আগুনের গুঞ্জন, নীরব বিশ্বাস উত্তপ্ত।
ছাই ওড়িয়ে দেখো,
ছাইয়ের শূন্যবলয় কেমন জেগে রয় দিনরাত,
জ্যান্ত পোকামাকড়ের মতো।
কখনও জ্বলে ওঠে ভয়ের সাতলক্ষ ফণা,
কেমন উর্বশী চোখ টান্ টান্ প্রাণের প্রতিমা,
তোমার বুকের ভেতর জেগে রয়;
গাছে গাছে তখন পলাশের নেশা, রক্ত ভৈরবী
এক দুন্দুভী বাজিয়ে পা রাখে তোমার বুকের 'পর,
এর নামই ভালবাসা!
ছাই উড়িয়ে দেখো,
আর লিখে যাও ইতিহাসের কথা,
মানব জাতির ইতিহাস,
যাঁরা হাজার বছর শাসন করে এ জগৎ,
জংগল তছনছ করে ধ্বংস করে প্রাণবায়ু,
আর লিখে রাখে মিথ্যে সারাংশ এ পৃথিবীর!
এ দুঃখের দিন বদলে দেবার নামই কবিতা।
দীর্ঘজীবি প্রাণীদের কথা
সন্জিৎ বণিক
বিবেকের কথা ভুললে চলে ন,
চালিত শক্তির ভেতর এতো ঘুম,
সহ্য হয় না আর।
বারবার
উচ্চারণ করেছি দূর হ, দূর হ এ পথ থেকে,
শুনে নি তোর কা,
কেবল জড়িয়ে রেখেছিস গানের শিস।
গাছের পাতা ও সবুজ ঘাসেরা সূর্যতাপে আনন্দিত
উল্লসিত এই শীতঘুমের ভেতর,
সারাদিন শিরদাঁড়া সোজা রেখে করেছি প্রার্থনা
বিবেকের জানালায় রেখেছি চোখ,
হাজার শব্দের ভেতর কান জব্দ হতে হতে সেজেছে কালা,
এই পথে কন্টকাকীর্ণ দারুণ সময়;
অতিক্রম করে রেখেছি আমার বন্দনা,
মন্দ না এই সময়!
এই বালক
রোজ ভোরে দৌড়ে হাঁটে দিগন্তের দিকে,
সূর্য ওঠার আগেই
পথ শেষ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠে,
জল খায়।
বিবেকের কথা মেনে চললে
জীবন যৌবন দীর্ঘজীবি হয়, বুঝেছি।
এই লেখাটা শেয়ার করুন