কবি কেনারাম
শঙ্কর দেবনাথ
কেনারাম কবি – তার কবিতার অঙ্গে –
ভয় নাড়া গয়নারা দোলে নানা রঙ্গে।
শব্দের শবদেহে তা তা থৈ চিত্তে –
বর্ণের বর-বউ মাতে রাতে নৃত্যে।
ছন্দেরা সন্দেহে বোল তোলে ধিন্ তা –
মিল এসে ঢিল ছোঁড়ে – নেই কোন চিন্তা।
হাব-ভাব বুঝে ভাব ড্যাবডেবে চোক্ষে-
ভাবে বস–যাবে গো সে কোন গোবি-মোক্ষে।
মাথা ভরা – খাতা ভরা গিজগিজে কাব্য-
পলি খেলে হোলি আর নদী হয় নাব্য।
কেনারাম কবি-কে না মানে এই বাক্যি!
কবিতার আদালতে দাদারাই সাক্ষী।
একটি না ছড়া
শঙ্কর দেবনাথ
যার চোখে চাঁদ ছিল বাঁধভাঙা কিরণের-
তার চোখে পোড়ে আজ আগুনের পীড়নেই।
যার মনে পাখা ছিল, আঁকা ছিল কল্পনা
তার মনে হানা দেয় ডানাভাঙা গল্পরা।
যার বুকে নদী ছিল – যতি ছিল না ধারায়
তার বুকে নাচে সুখে অবিনাশী বাঁধারাই।
যার মুখে হাসি ছিল- বাঁশি ছিল সুস্বরের
তার মুখ দুখ দুখ তাঁতে মরু ঊষরেই।
যার ঘর ভরা ছিল জ্বরাহীন ফুলে ফুলে
তার ঘর জর্জর মৃত্যুর হুলে হুলে।
যে বায়ুতে প্রাণ ছিল – ঘ্রাণ ছিল পরাগের
সেই বায়ু আয়ু গিলে খায় ক্ষোভে ও রাগে।
এই লেখাটা শেয়ার করুন