তর্ক
আলোচনা থাক। সামনে খাবার, খিদেও আছে অনাবশ্যক কথার চালাচালি। আসুন বসি, খাবার গ্রহন করি।
বলুনতো কি নিয়ে কথা বলবেন। প্রশ্ন নয় অনুরোধ। আমরা সম্ভবত জানতে চাইছি বিষয় আর দেখতে চাইছি ওই বিষয়ের ভেতর নিজেকে। যদি নিজের সাথে দেখা না হয় আমরা অন্য কোথাও উপস্থিত আছি জানবেন।
সেবা আর সেবা-নিবৃত যারা দুইজনই আমাদের মঙ্গলকারী। এইভাবে যারা আজ কথা বলছেন, গতকাল যারা কথা বলে গেছেন নিঃসংশয়, তারা পৃথিবীর কথক।
ভালো লাগছেনা কথা বলতে। মানুষের ভিতর আছে মানুষ চিরকাল। তর্ক নয়।
অফুরান
কখনো কি খিদে টা মরে গেছে মনে হয়, অনেকেই বলবেন বয়স হয়েছে চাগিয়ে উঠছেনা যন্ত্রের দাপাদাপি, রোগ ব্যথা ও স্থিমিত করেছে পাকস্থলীর মনোবেদনা।
মনটাও মরে গেছে বলবেনতো, কি আশ্চর্য পাখি ডাকল ডোপিং এর কাজ করলো বৃষ্টি, এল সেই উত্তেজক। খুকি আসলো মলিন বা উজ্জ্বল পোশাক চোখ দুটো জোড়া নক্ষত্রবিভা (সৌন্দর্য চুম্বক দেখেনি দেখেছে প্রজাপতির ওড়া যার ডানা ভাঙলে কোমায় চলে যান তিনি )।
ভাবছিলেন শক থেরাপি। সহ্য করা গ্রাহ্য এইসব, প্রকৃতি শুধু নারী নয় পুরুষও।
এমনকি যে জড় সেও শক্তি, মহামায়া।
হার কখনও ব্যক্তিগত নয় পদার্থের ধর্ম লুকায়িত রসায়নের জারণ সেইখানে উপস্থিত আর জীবন নাটকটির ওই পর্যায়, কুশ লব একটি সুখী গৃহকোণের ছবি আঁকছে।
বেতার
আজকাল হৃদয় কথা বলেনা, পরান ভোমরাও যথাযত সংবেদনশীল নয়, তাহলে কে সে সংযোগরক্ষাকারী তাহার সাথে বহির্বিশ্বের সাথে যার আছে নিত্য যোগাযোগ।
স্তিফেন হকিন্স ও অনেকের অভিমত নিকট কালে ছোট ছোট বিদ্যুৎ প্রবাহী তরঙ্গ আকাশে খুব দ্রুত সঞ্চারমান থাকবে আলোকবর্ষ থেকে আলোকবর্ষে তার পদপাত ঘটবে।
আমার অভিমত প্রাণীর মস্তিষ্কে উদ্ভিদের কোষে এমনকি জড় চেতনায়ও অনেক অনেক বিদ্যুৎ তরঙ্গ খেলা করে যা প্রতিনিয়ত তাঁদেরকে ব্রহ্মাণ্ডের সাথে সংযোগ ঘটিয়ে চলে ও দূর ও নিকট একই সাথে, বুকে বসবাস করে। মনে হয় ইহাই আত্মা, প্রাণের গতি।
সম্পদ
সম্পদের সাথে ভাবাবেগের সম্পর্কটি নেই। প্রয়োজন, উপযোগিতা এইসব আছে। সম্পদ একটি চলমান বস্তু। পরিবর্তিত হয়, বিস্ফার এবং লয়ের মত তার নিত্যতা আছে।
অভিমুখ যদি বলা হয় মঙ্গলকারী তাহাতেই সম্পদ তার শক্তি ধরে রাখতে পারে।
প্রাণের উদ্ভব বিকাশ আজীবনের সদস্যপদ পাওয়া সব সম্পদ হতে আহরিত। ইহা পঞ্চভূতেরও অতিরিক্ত, শূন্যতা তার আর একটি আকর যাহা অনেকসময়ই দৃষ্টি বহির্ভূত।
জন্ম
অনিবার্য ঘটনাটি ঘটিয়া গেলে স্রোতের পক্ষেই সাঁতারটি চালাইয়া যান সকলে। অন্তরীক্ষের নিয়ম আর ঘাস কোনটাই তার ব্যতিক্রম নয়।
মূর্তটিতে হতচকিত হয় ভূমিষ্ঠ তারপরই মুঠোবন্ধ করে দৃঢ় হয় ইচ্ছা।
ইহা একটি যৌন ত্বরণ।
ছড়াইয়া পড়ে জন্ম পরিবারে যূথ আনন্দে।
রস
বস্তুবিন্যাস পদার্থবিদ্যা তাহার বন্ধন অনেক রস সমূহের অবস্থান। রস শুকাইয়া গেলে ঝর ঝর করিয়া কাঠামো ভাঙিয়া যায়। সেই মাত্রা যাহা এককে তাহা সমষ্টিতে।
এই রসের পরিমাণ গঠন বিশ্লেষণ কাঠামোটিকে বা কাঠামোসমূহকেও বন্ধন শেখায়। ইহা রসায়নবিদ্যা।
যদি বলেন রসের জীবন শুরু তাহা জীববিদ্যার বিষয়। সকল তারা তাহার মায়া স্নেহ।
একটু হাসিলে আয়ু বৃদ্ধি হল, রসের ধারা বহিল।
HOME
এই লেখাটা শেয়ার করুন