মুহূর্ত
কৃত্তিবাস চক্রবর্তী
প্রতিটি খণ্ড মুহূর্ত জুড়ে তুমি তৈরি করো এক বিরাট মুহূর্তের
প্রতিটি খণ্ডকাব্য জুড়ে এক অনন্ত কবিতার মালা
আমি একটি মুহূর্তের রূপ দিতে গিয়ে
সৃষ্টি থেকে মরছি মাথা খুঁড়ে
অথৈ মায়ায় মগ্ন এই আশীর্ষপদ
কোনমতে ভাসিয়ে দেখলাম
আমার অসহায় দৃষ্টির দুনিয়া
কেমন দূর শূন্যে বিন্দু হ’য়ে যায়
অন্য এক শুরু থেকে
কৃত্তিবাস চক্রবর্তী
ঠিক কোথায় শুরু, খুঁজে পাচ্ছিলাম না সেটাই
আমি শুরু খুঁজতে গিয়ে পৌঁছে গেছি আরম্ভের অনেক আগে
বোবা, বিহ্বল। পিছোতে গিয়েও অনেক হোঁচট
অনেক যুদ্ধের পর
আমি অন্য এক শুরু থেকে হাঁটছি
জোড়াতালির এই জীবনে ছন্দ ছেঁড়াখোঁড়া কত যে ধন্দ
বন্ধদুয়ার খুলে ভগ্ন-পদ্যে জ্বালছি আলো।
তোমার শ্রীমুখ অন্তত একবার তো ভাস্বর হবেই।
আজ
কৃত্তিবাস চক্রবর্তী
অপেক্ষায় আছি কখন কাগজ উপচে খৈ ফুটবে অক্ষরের
আমি কুড়িয়ে জমা করবো আর বাছাই শব্দে ফোটাবো তোমাকে
এদিকে সূর্যালোক পুড়িয়ে দিলো গারদের লোহা
জ্বালিয়ে দিলো মনপবনের নাও
খিড়কিতে আকাশ উপুড় হ’য়ে তুলে ধরলো বুকের অঙ্গার
অথচ এখনও মুখ ফুটে বলতে পারিনি আমার কথা
আমি পল্লব তুলে দেখলাম কতো আলোর জ্যামিতি কতো বিজ্ঞাপন
কতো সাজ কতো সজ্জা আমার অস্থিমজ্জায় ছিল। টানটান
আজ সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে তোমাকে ফোটাবার দিন
সমস্ত অক্ষমতার দিকে ছোড়ার দিন তূণীরের যত তীর
প্রচার-মুগ্ধ
কৃত্তিবাস চক্রবর্তী
সবইতো বিজ্ঞাপনের গান, বান ডাকা এই ভুবনবিলাসী গল্প
ছড়ায় শেকড়, প্রচার শুনে প্রচার দেখে
বাজারমুখো পিলপিল ভিখারি সমাজ
বশীকরণের পাঁকে আকণ্ঠ ডুবে হো হো ক্লাউন
এইতো এই নির্বাচনের ঋতু পতাকায় তোরণে বর্ণিল
বৃক্ষ তার ভুলে গেছে রং আকাশ দিয়েছে মুছে নীল
অসম্ভব শোর শুনে শুনে
তোমার তো ব্ল্যাকবক্স অবধি দৌড় হে মোল্লা হে সাধারণ
আজও তুমি সেই ভাঙা কুলো ভরা বুকে ভস্ম স্তূপাকার
কেউ কেউ ঘি ঢেলে যজ্ঞের স্বপ্ন দেখে আজও।
অখণ্ড
কৃত্তিবাস চক্রবর্তী
তুমি রাতকে খণ্ডন করতে চাওনা
চাওনা দিন খণ্ডিত হ’য়ে আসুক তোমার জীবনে
দিনের মধ্যে তুমি রাতকে গু’লে দিতে চাও
আর ডুবে থাকতে চাও এক ঘোলাটে সময়ের ভেতর
তাহলে বৃথাই কি আমার উজ্জ্বল দিন
বৃথাই কি ফোটা যামিনীর স্বপ্ন!
এই লেখাটা শেয়ার করুন