প্রবাহ
কাত হয়ে শু’লে আর বসন্ত পাই না
মেঘ জমে বুকের কাছে
এখন চিৎ হয়ে শোয়ার সময়
চিৎ হলে দু-দিকে পাড় ভাঙে
ভাবি, উপুড় হয়ে দেখি –
উপুড় হলে শূন্য হয়ে যাই
যত স্বপ্ন বরাদ্দ ছিল জীবনের
নদী হয়ে যায় –
ধর্ম-অধর্ম
পথের বাঁকে ছিল যত ঢেউ
বুকে করে নিয়ে চলা বন্ধ্যা ভালবাসা
স্বচ্ছ হতে হতে, হে রূপান্ধবতী
তোমার জঠরে এল অলৌকিক শিলা
কে নেবে দায়ভার তার
কে দেবে উন্মত্ত যৌবন তারে
বলো, কে তার পিতা
কোন্ সে দেবতা!
প্রেমকথা
তাকে যখন দেখি অন্য কোনো প্রচ্ছদ তলে
অন্য কোনো ভাষায়
অন্য আঙ্গিকে
তখন কি আর পাতা না উল্টিয়ে পারি পালাতে!
ওল্টাতে ওল্টাতে খালবিল জনপদ
সন্ধ্যার আকাশে ভেসে যায় বলাকা আর উলুধ্বনি
এখানেই শেষ নয়
তমসা মুছে দিতে পারে না স্মৃতি
আগামীর কথাগুলি এসে বসে অতীতের পাশে
জন্ম-জন্মান্তরের মাঝে ছোট্ট হাইফেন—
ডিঙিয়ে যেতে চাই
বিবেক হেসে ওঠে।
অবশেষে ঝরাশস্য কুড়োতে চলি –
রাজার কাহিনি থেকে দূর ফুটিফাটা মাঠে।
এইখানে সবেমাত্র জীবনের শেষ –
এই কথা বলিলেও – শেষ হয় নাই
ভালবাসা এমনই অনন্ত –
অনন্ত
আমার সামনে কোনো দিকচিহ্ন নেই
একটি শস্যদানার পেছনে এত শিশুমন
মাটির সীমানা শেষে এই ডোবে, এই ভাসে
শস্য ও শিশুজীবন
যত যায় আকাশ লাগে না গায়
প্যানোরমা সরে যায় আরো আরো দূর
আমার সামনে কোনো দিকচিহ্ন নেই
ক্ষুধার দিগন্ত নেই
শূন্য জঠর।
এই লেখাটা শেয়ার করুন