নিবন্ধ

ঈশানকোণ একটি সাহিত্যের ওয়েবজিন গ্রীষ্ম সংখ্যা মে ২০১৭ ইং 

[ঈশানকোণ নতুন সংখ্যা দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]
মগজাতি ও দক্ষিণ ত্রিপুরার জনসংস্কৃতিতে তার প্রভাব
অশোকানন্দ রায়বর্ধন


দক্ষিণ ত্রিপুরার যে প্রাচীন জনগোষ্ঠী বৌদ্ধধর্মধারার সঙ্গে যুক্ত তাদের মধ্যে প্রধান হল – মগ, চাকমা ও বড়ুয়া জনগোষ্ঠী। এরাই আবার এ দেশের সন্নিহিত বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামেও বসবাস করছেন। আমাদের প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে ‘মগ’ নামে একদল ভয়ংকর জলদস্যুর উল্লেখ আছে। যারা আরাকান প্রদেশ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সমুদ্র ও নদীতীরবর্তী জনপদসমূহে অত্যাচার, লুণ্ঠন, অপহরণ, হত্যা ইত্যাদি অপকর্মের জন্যে কুখ্যাত হয়ে আছে। কিন্তু এখানে যাঁদের ‘মগ’ বলে অভিহিত করা হয় তাঁরা কিন্তু নিজেদের ‘মগ’ নামে পরিচয় দিতেও অস্বীকার করেন। প্রসঙ্গত, এখানে একটি সত্য কথা অবশ্য উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ ত্রিপুরা ও ত্রিপুরার অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসকারী যে জনজাতিকে আমরা ‘মগ’ নামে আখ্যায়িত করি, তাদের মধ্যে ইতিহাসকথিত মগ জলদস্যুদের মতো কোনও হিংস্রতার লক্ষণই দেখা যায়না। বরং ভগবান তথাগত বুদ্ধের শান্তি, মৈত্রী ও করুণার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে তারা অত্যন্ত সরল সাদাসিধে ও নিরীহ জীবনযাত্রা অতিবাহিত করেন। এই জনজাতিগোষ্ঠী যেখানেই বাস করছেন সেখানেই অন্য আরও কয়েকটি জনজাতিগোষ্ঠীর জনগণ পাশাপাশি বসবাস করতে আজো দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন জনজাতিগোষ্ঠীর পাশাপাশি অবস্থানের এই ইতিহাস ত্রিপুরাতে ঐতিহ্যগতভাবেই প্রাচীন। সম্ভবত, আরাকানি জলদস্যুদের সঙ্গে দৈহিক সাযুজ্য লক্ষ করেই এই জনজাতিয় গোষ্ঠীকে সমতল অংশের মানুষেরা ‘মগ’ বলে আভিহিত করে গুলিয়ে ফেলেছেন। অথবা এই জনগোষ্ঠীর লোকেরাও আরাকান থেকে এসেছেন বলে এবং ‘মগ’ জলদস্যুদের সঙ্গে এদের ভাষাগত সামঞ্জস্য থাকার কারণেও তাঁদের ‘মগ’ অভিহিত করা হয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয়ভাবে যাদের ‘মগ’ বলা হয় তারা নিজেদের আরাকানি বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এতে তাঁরা গর্ববোধ করে থাকেন। এই আরাকানিদের বিভিন্ন গোত্র আছে। তার মধ্যে মূল আরাকানে যারা বাস করেন, তারা নিজেদের ‘রখইঙসা’ বা ‘রখইঁসা’ বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এই রখইঙ বা রখইঁ থেকেই রোসাঙ (রখইঁ>রখঙ>রাহাঙ>রোহাঙ>রোসাঙ) শব্দের উৎপত্তি। এছাড়া তাদের আর একটি গোত্রের নাম ‘খিয়ংসা’ বা ‘খ্যংসা’। ‘খিয়ং’ বা ‘খ্যং’ শব্দের অর্থ হল নদী এবং ‘সা’ শব্দের অর্থ সন্তান। অর্থাৎ এই গোত্রের লোকেরা নদীতীরবর্তী জনপদবাসী। এরকমভাবে তারা বিভিন্ন পর্বত, নদী ইত্যাদির নামে তাদের গোত্রের নাম রাখেন। এই গোত্রসমূহের মধ্যে ‘প্লেংসা’, ‘ক্যেয়ফ্রিয়াসা’, ‘রেংব্রিসা’, ‘প্লেংযিসা’ ইত্যাদি আরো নানা গোত্রের নাম পাওয়া যায়। দক্ষিণ ত্রিপুরার পার্বত্য চট্টগ্রাম সীমান্ত সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই জনগোষ্ঠীর লোকেরা বহু প্রাচীন কাল থেকে বাস করে আসছেন। পূর্বকথিত ‘মগ’ জলদস্যুদের সঙ্গে এদের এক করে না দেখলে তাদের এ রাজ্যে আগমন ঘটে আরো প্রাচীনকালে। একটি ঐতিহাসিক মত থেকে জানা যায় যে, প্রাচীন চট্টগ্রাম-ত্রিপুরার চন্দ্রবংশীয় রাজারা আরাকানের ‘চেন্দ্রা’ রাজবংশের সঙ্গে সম্পর্কিত। ১৯৫৪ সালে কুমিল্লার চারপত্রমুড়াতে চন্দ্ররাজাদের তিনটি তাম্রশাসন পাওয়া যায়। তা থেকে চন্দ্রবংশীয় নৃপতিদের পরিচয়ও জানা যায়। এ বংশের সাতজন নৃপতি দশম শতক থেকে একাদশ শতক পর্যন্ত সমতটে রাজত্ব করে গেছেন। তাদেরই কোনও গোষ্ঠী ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তে তাদের রাজ্যপাট বিস্তার করে থাকতেও পারেন। সাব্রুম ও বিলোনীয়া মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বহু প্রাচীনকাল থেকেই এই জাতিগোষ্ঠীর বাস। অনেক প্রাচীন জনপদ তাদের হাতেই গড়ে উঠেছে। আবার অনেক জনপদ থেকে তাঁরা সরে গিয়ে সেই জনপদকে শূন্য করে দিয়েছেন বা সে স্থান নতুন জনগোষ্ঠীর আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।
সাব্রুম-বিলোনীয়া-শান্তিরবাজারের ছোটোখিল, দৌলবাড়ি, হরিণা, চালিতাছড়ি, বৈষ্ণবপুর, বিজয়পুর, ঘোড়াকাপ্পা, শিলাছড়ি, দেবদারু, জোলাইবাড়ি, পিলাক, বাইখোরা, লাউগাঙ, বীরচন্দ্রমনু এমন কি ধলাই জেলার কুলাই প্রভৃতি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মগদের ব্যাপক বসবাস লক্ষ করা যায়। এইসব অঞ্চলের প্রাকৃতিক গঠন সর্বত্রই সুউচ্চ পাহাড়বেষ্টিত উপত্যকার মতো। এই উপত্যকার মধ্য দিয়ে অবশ্যই একটি বা একাধিক জলধারা প্রবহমান থাকে। ত্রিপুরার প্রতিটি মগ অধ্যুষিত পল্লিতে এই সাদৃশ্য চোখে পড়ে। উর্বরা উপত্যকাভূমিতেই তাঁরা কৃষিজীবনের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করে থাকেন। সমগ্র পল্লীপ্রকৃতিতে একটি শান্ত, সমাহিত নীরব পরিমণ্ডল বিরাজ করে থাকে।
ত্রিপুরা রাজ্যে মগরা যে বড়োদের অনেক আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন তার নিদর্শন রাজমালাতেই পাওয়া যায়। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর দিকে ‘হিমতি ফা’ বা ‘যুঝার ফা’-এর নেতৃত্বে ত্রিপুরীগণ বড়ো-কাছাড় এলাকা থেকে পার্বত্য ত্রিপুরায় প্রবেশ করেন। এইসময় রাঙ্গামাটিতে ‘লিকা’ নামে একজন রাজা রাজত্ব করতেন। তিনি মগ জাতিগোষ্ঠীর বলে জানা যায়। যুঝার ফা রাঙ্গামাটি আক্রমণ করে মগরাজাকে পর্যুদস্ত করে সেখানে রাজ্যপাট স্থাপন করেন। রাজমালা গ্রন্থে আছে—

‘এই মতে রাঙ্গামাটি ত্রিপুরে লইল।
নৃপতি যুঝার পাট তথাতে করিল।।‘
(শ্রীরাজমালা – ১ম লহর)

এরপর মগরা আরো দক্ষিণে পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে সরে যান। পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙ্গামাটি বলে একটা স্থান এখনো আছে। সম্ভবত এই নামটি ত্রিপুরা থেকে বিতাড়িত মগগণ নতুন রাজ্যপাট স্থাপন করে অতীত স্মৃতিকে মনে রাখার জন্যই রাখেন।
যুঝার ফা-র আক্রমণে যে মগের পিছু হটে দক্ষিণ দিকে সরে গিয়েছিল, তারা ধন্যমাণিক্যের পর বিভিন্ন সময়ে বারবার স্বীয় রাজ্য ত্রিপুরা পুনরুদ্ধারের জন্য আক্রমণ করেছে। অমরমাণিক্যের আমলে মগরা ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরার তদানীন্তন রাজধানী উদয়পুর দখল করে নেয়। মগ সৈন্য উদয়পুরে পৌঁছে অবাধে লুটতরাজ শরু করে দেয়। মগসৈন্যরা উদয়পুর বিধ্বস্ত করে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের সুউচ্চ চূড়াটি ভেঙ্গে ফেলে। এ প্রসঙ্গে ব্রজেন্দ্র দত্ত তাঁর ‘উদয়পুর বিবরণ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন—
যা রাজমালা থেকে উদ্ধৃত –

‘সর্বকালে ত্রিপুরা যে মগেরে জিনিল।
অমরমাণিক্য কালে ত্রিপুর হারিল।।‘
(রাজমালা)

পরবর্তী সময়ে কল্যাণমাণিক্য (১৬২৬ খ্রিঃ – ১৬৬০ খ্রিঃ) ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরটি সংস্কার করেন। এ প্রসঙ্গে রাজমালায় উল্লেখ আছে –

‘কালিকার মঠচূড়া মঘে ভাঙিয়াছিল।
পুনর্বার মহারাজা নির্মাণ করিল।।‘

অমরমাণিক্যের পলায়নের পর মগরা সমগ্র দক্ষিণ ত্রিপুরা অঞ্চলে তাদের রাজত্ব কায়েম করে এবং ধীরে ধীরে তারা এই অঞ্চলে বসতি করতে আরম্ভ করে। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অঞ্চল মগ অধ্যুষিত হয়ে পড়ে।
মগ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ত্রিপুররাজের অনবরত সংঘাত-যুদ্ধবিগ্রহের পেছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। এই ঘটনাই পরবর্তী সময়ে এই অঞ্চলে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন বা স্থানীয় অনান্য জনগণের উপর মগদের প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে প্রধান ইন্ধনের কাজ করেছে।
স্থানীয় মগ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত লোকপুরাণ অনুযায়ী তাঁরা ত্রিপুরেশ্বরী মূর্তিকে তাঁদের দেবী বলে ক্ষীণ দাবি করে থাকেন। তাঁদের হাতে প্রামাণ্য কোনও তথ্য না থাকায় কিংবা ত্রিপুরার মগজাতির সমাজ-সংস্কৃতির ইতিহাস সংগৃহীত না হওয়ায় তাঁদের বংশ পরম্পরাক্রমে প্রচলিত মিথ ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তাদের লোকপুরাণে আছে যে ত্রিপুরার রাজা তাঁদের দেবী ‘মগেশ্বরী’-কে চট্টগ্রামের সদরঘাট অঞ্চল থেকে চুরি করে এনে উদয়পুরে স্থাপন করেছেন। সে সম্পর্কে রাজমালায়, গবেষকের আলোচনায় ও ত্রিপুর বংশাবলী নামক প্রাচীন গ্রন্থে তিনটি ভিন্ন সিদ্ধান্তের উল্লেখ পাই। রাজমালায় আছে—

‘আর এক মঠ দিতে আরম্ভ করিল,
বাস্তুপূজা সংকল্প বিষ্ণুপ্রীতে কৈল।।
ভগবতী রাজাতে স্বপ্ন দেখায় রাত্রিতে।
এই মঠে আমায় স্থাপ রাজা মহাসত্ত্বে।।
চাটিগ্রামে চটেশ্বরী তাহার নিকট।
প্রস্তরেতে আমি আছি আমার প্রকট।।
তথ্য হতে আনি আমা এই মঠে পূজ।
পাইবা বহুল বর যেইমতে ভজ।।
(শ্রী রাজমালা)

স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে ধন্যমাণিক্য রসাঙ্গমর্দনকে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে ত্রিপুরাসুন্দরীকে ত্রিপুরায় নিয়ে এসে বিষ্ণু প্রতিষ্ঠার জন্য নির্মিত মন্দিরে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন।
ত্রিপুরার লোকসংস্কৃতির নিষ্ঠাবান গবেষক ডঃ রঞ্জিৎ দে তাঁর গ্রন্থে চট্টগ্রামের যে স্থান থেকে ত্রিপুরাসুন্দরীর মূর্তিটি সংগ্রহ করা হয়, তার উল্লেখ করেছেন—‘ত্রিপুরার প্রধান তীর্থস্থান জাতি উপজাতির মিলনকেন্দ্র ত্রিপুরেশ্বেরীকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের নিকটবর্তী বারককুণ্ড থেকে ত্রিপুরার মহারাজা ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে নিয়ে যান। এখনও সীতাকুণ্ডের সন্নিহিত তীর্থস্থান হিসাবে ত্রিপুরাসুন্দরীর নাম উল্লেখযোগ্য”। (রাজন্যশাসিত ত্রিপুরা ও চট্টগ্রাম, ডঃ রঞ্জিৎ দে, পৃঃ ১৩)।
এখানে দেখা যাচ্ছে যে, ত্রিপুরেশ্বরী বিগ্রহের প্রাপ্তির উৎস হিসেবে রাজমালা ও ডঃ রঞ্জিৎ দে-র প্রবন্ধে দুই সম্পূর্ণ ভিন্ন স্থানের উল্লেখ পাওয়া যায়।
এদিকে, ত্রিপুর বংশাবলীতেও এবিষয়ে একটি স্পষ্ট তথ্য দেওয়া আছে—

‘রাধাকৃষ্ণ স্থাপিবারে মঠ আরম্ভিল।
চট্টেশ্বরী দেবী আসি স্বপ্ন দেখাইল।
এমঠে আমাকে রাজা করহ স্থাপন।
নতুবা অব্যাহতি তোমার নাহি কদাচন।।
এই মঠে যদি আমা স্থাপন না কর।
তবে জান রাজা তোমার নাহিক নিস্তার।।
চট্টগ্রামে সদরঘাটে এক বৃক্ষমূলে।
পূজয়ে আমারে সদা মগ সকলে।।
সেই স্থান হতে শীঘ্র আনহ আমায়।
(ত্রিপুর বংশাবলী)

এখানে ত্রিপুরেশ্বরী যে মগপূজিতা দেবী সে বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। মগদের লোকশ্রুতির কিঞ্চিৎ সাক্ষ্য এখানে পাওয়া যায়।
এছাড়া ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর মূর্তির বর্ণনা প্রসঙ্গে ত্রিপুরার প্রত্নতত্ত্ব গবেষক প্রিয়ব্রত ভট্টাচার্য বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। তিনি দেবীর যে আঙ্গিক বর্ণনা দিয়েছেন, তাতে দেবীকে মঙ্গোলয়েড গোষ্ঠীভূত মানুষের মতো চোখ ছোটো, নাক চ্যাপ্টা ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে আরণ্যক মূর্তি বলে উল্লেখ করেছেন এবং তন্ত্রশাস্ত্রোক্ত মূর্তিতত্ত্বানুযায়ী ত্রিপুরাসুন্দরী নন বলে দাবি করেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, মগরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। বৌদ্ধ একজটা দেবীর সঙ্গে হিন্দু ‘তারা’ দেবীর মিল আছে। বৌদ্ধ ডাকিনীর মূর্তিও হিন্দু চামুণ্ডার অনুরূপ। এছাড়া শবরদেব পূজিতা তিন নামে পরিচিত শবরী, পর্ণশবরী, নগ্নশবরী ও বৌদ্ধগণ কর্তৃক ‘জাঙ্গুলি তারা’ নামে অর্চিতা। ইনি দিগ্বসনা। মহাযানী বৌদ্ধমতে ইতি বোধিসত্ব অবলোকিতেশ্বর-এর পত্নী। পরবর্তীকালে বৌদ্ধরা আক্রান্ত হলে বৌদ্ধ দেবদেবী হিন্দু দেবদেবীতে রূপান্তরিত হন। এই সংমিশ্রণের-বিমিশ্রণের ইতিহাসগত স্বীকৃতি তো রয়েছেই।
                                                                                                                          [ শেষাংশ আগামী সংখ্যায় ]

                                                                                                                                     HOME

এই লেখাটা শেয়ার করুন