জেদ
একটি মেয়ে গুটি গুটি পায়ে বসন্তের উৎসবে আসে, প্রতিবছর।
অবগুণ্ঠিত হাত দুটি শঙ্খলাগা সাপের মত বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে নৃত্যে মগ্ন হয়, পলাশের লালে।
দিনের থেকে হলুদ চুরি করে লাগিয়ে দেয় আজও তোমার বিরোধী গালে।
তখনই পড়ে থাক সব সাধের সংসার। পড়ে থাক ঘুণে খাওয়া জৈবিক প্রেম।
ডাকে ঐ ঐতিহ্য।
এত মায়ার ঐ সংস্কৃতির টান।
রবীন্দ্রনৃত্যে এখনও তার বেসামাল শাড়ি, খসে-পড়া কোমরে দেবীরা আসে, অপ্সরা, উর্বশী।
ইতিহাস থেকে গার্গী আসে মৈত্রেয়ী, সংঘমিত্রাও।
ফাগুনের ফুল চুলে গুঁজে আজও শকুন্তলা যেন তুমি।
জ্যাহেরা এই তো রক্তের টান।
ভালোবাসাই মহার্ঘ জীবনের করেছো প্রমাণ
দিয়ে সব জলাঞ্জলি,
তবু প্রেম অতীত বর্জন করে ....
ফাল্গুন আজ তাই উদাস, তোমার ঐ রঙ করা মুখে।
প্রেম অতীত বর্জন করে....
তোমার চোখে আজও তাই, না হারানোর অতীত-জেদ।
এ জেদেই জ্যাহেরা; বৈচিত্র্য এসেছে ভারতে।
নিজের গালে নিজেই রঙ লাগিয়ে জ্যাহেরা, তুমি....
এঁকেছো অজান্তে মানচিত্র, গণতন্ত্র ভারতের।
এই লেখাটা শেয়ার করুন