দাবদাহের মাঝে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমি
হাঁটতে হাঁটতে,
কে থামিয়ে দেয় পথিমধ্যে আমার পা?
গন্তব্যের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে পারিনা
ঠিকানার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ বাড়ে।
অমলদা বলেছিলেন পাহাড় ওনার প্রিয়
তাই সেখানেই বরফের নীচে রয়ে গেলেন উনি।
সমুদ্রকে ভালোবেসে অবিনাশও
রোজ বসে থাকে বালির বানানো একটা বাড়ির ভিতর।
আমিও তো আসলে একটা পদ্ম-নাভি খুঁজেছিলাম,
গোখরো সাপ যেখানে ছেড়ে গেছে তার খোলস
একটা রুক্মিণী-কোমরে তেঁতুলবিছে হার -
যার বিষে নীল হয়ে উঠেছে সমস্ত ঊরুসন্ধি
এসব খুঁজে পায়নি অমলদা, অবিনাশ
আমাদের মত অনেকেই না।
যেদিকে তাকাই শুধু জঙ্গল
গাছ দিয়ে নয়, পুষ্পঘ্রাণে নয়, অট্টালিকা দিয়ে বানানো স্মৃতিসৌধ সব।
তবুও ছায়াবিহীন, ঠিকানাবিহীন কেটে যায় জীবন।
এই লেখাটা শেয়ার করুন