কালঘাম ছুটছে
না না করেও অনেক হয়েছে
শোধরানো এত সহজ নয়
কথায় বলে – কয়লার কালো যায় না ধুলে
এরপরও সাংসারিক মেলবন্ধন বলে কথা
স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপারস্যাপার কখনো নিঁখুত ব্যাকরণ মেনে
কখনো ব্যাকরণের শ্রাদ্ধ কারে কয় বলে কার সাধ্যি
তন্নিবন্ধনে আকছার দেখি প্রায় ঘরে ঘরে
ঘটিবাটির মতো তাকে সুন্দর সাজানো, একটাকে ছাড়া অপরাধকে ভাবাই যায়না
কিংবা, দিনভর ঠোকাঠুকি লেগেই রয়েছে।
পান থেকে চুন খসতে না খসতেই চিল-চিৎকার
যেন আজন্মের শত্রু
কোনো পক্ষের কোনো চোখের মাথা রয়েছে কিনা বোঝা শক্ত
হ্যাঁ হ্যাঁ করেও অনেক হয়নি
ভুল করার শিক্ষা নিতে হয়নি কাউকে
আপনা থেকেই হতে থাকে প্রাকৃতিক বিধানের মতো
হ্যাঁ-না, হ্যাঁ-না সত্যি সত্যি কেমন মাণিকজোড়
দেখি আর থেকে-থেকে চোখ কপালে ওঠে কখনো
কখনো খোলার সাহস থাকে না
কখনো দেখে এত মুখ
লক্ষকোটিবার শ্রয়ণের বুকে পা ফেলছি
সেই একই শ্রয়ণে আমি স্পষ্ট দেখতে পারছি আমার বাপ-ঠাকুর্দার
শত শত পুরুষের শ্রীচরণছাপ; কেবল, তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ
সবার্থে মিলিয়ে চলায় হিমশিম খাচ্ছি
কালঘাম ছুটছে সর্বাঙ্গে আমার।
এই লেখাটা শেয়ার করুন