হাত গুটানো ঈশ্বর রাজ্য
বিন্যস্ত ঈশ্বর, ঘর বাড়ি যুদ্ধক্ষেত্রে রাখা,
অগ্নিকন্যার জিভে, আমার মরে, জেগে
থাকা,
হে হাহাকার রজনী, তোমাকে জানে
সবাই,
আমিও কি জানি...
সে পুরোটাই, যে বৃদ্ধির জল মহিষ, বিকেলে
খায় দুধ...
খাবি খেতে খেতে জলভ্যাস শিখেছে,
মানুষ নয়...সান্ধ্য পানা পুকুরে...
ছোট ছোট বুদ বুদ।
গেটের বাইরে বেঞ্চি
কোন কিছুর ভিতর যারা বসে থাকে, আর পাহারাদার এসে
তাড়িয়ে দেয়, পশ্চিমের ধুলোয় স্তুপ হওয়া হাওয়া, আর বাড়ি।
মনে সংঘর্ষ হতে থাকে, রাতের লাঠি ঠক ঠক করে এগিয়ে
যায় সকালের দিকে...তারা পাহারাদার...আমরা সারাজীবন
বসে থাকতে পারি,
ঝর্ণার কিচমিচ আওয়াজে, অরণ্যের দোষ কেটে যাওয়া বৃষ্টিতে
রক্ত মাটি থেকে উঠছে না জেনেও, শহর কাঠুরের কুড়ুলের
ধারে,
আর গাছ কাটে নি কেউ, যারা মানুষ কাটতে পারে
যেন আমিই কেটেছি নদীর চর, ঝিম ঝিম জোনাকির আলোয়,
ধপ করে জ্বলে যত বর্ণ প্রবেশ করে রামধনু আলো ও ঝিলমিল
অন্ধকারে
একটা সুতো দিয়ে ট্রেন গাড়ি চলে যায়...যাত্রীরা নড়ে ওঠে,
তবু আমি জানি, কেউ পড়ে যায় না...কেউ মরে যায় না,
তারা অল্প অল্প করে সীমা পেরিয়েও সহ্য করতে পারে।
ঘাসজোনাকির বন্ধু
আবার মনে হচ্ছে এই ফোন নম্বরটা বদলাতে হবে...খুব কষ্ট করে এখন আর লিখি না, যা মনে হয় কুয়াশায় আবৃত নৌকার সারি সারি চলে যাওয়া নদীর উপর উঠে বসে থাকা ঘাসজোনাকির মত আমায় নিভিয়ে দেওয়ার থেকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রাখতে বেশি পছন্দ করে,
আর আমিও চাই সভ্যতা অসভ্যতা সবকিছুই এ বি সি ডির মত ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে, ব্ল্যাঙ্ক হয়ে বসে থাকি,
যাতে আমার মাথার ভিতরে এসে কেউ না টেলিফোন করে বিরক্তি করে, আর বলে ভাই মশলা দে না একটু, ভাই কুড়ি তিরিশটাকা ধার দিবি?
সবাই এখন বুঝে গেছে, আমার থেকে দু তিনশো টাকা চাইলে, পাওয়া যাবে না...
ভাবছি এবার যখন আবার নম্বরটি বদলাবো, আর কোন ঝাউপাতার কন্যা, শিয়াল কুকুরের বন্ধু, বিস্রিত দালালদের থেকে, নম্বরটি সামলে রাখব...যদি পারি আমার শতাধিক চিন্তা, মনের আতঙ্ক, আর ভুলে যাওয়ার ভয়কে আমার নম্বর দিও না...আমি কিন্তু এবার থেকে আবার গায়েব হয়ে যাচ্ছি...পারলে এটুকুই সামলে রেখো, আমায় তো আর পারলে না তেমন...
এই লেখাটা শেয়ার করুন