না-বলা প্রতিধ্বনি
দূরতম বৃক্ষের আড়াল থেকে
কার হাতছানি এসে বদলে দেয়
জীবনের মানে।
জীবন নদীর মতো যারা বলে
তাদের গোপনে ডেকে
কত কী বলার থাকে;
সব কথা নীরবেই না-বলা
প্রতিধ্বনি হয়ে
পাহাড়ের খাঁজে আর
সর্পিল বালিয়াড়ি ধরে
জন্ম থেকে জন্মান্তরে
পথ ভেঙ্গে রাস্তা করে নেয়।
কথামালা না ফুরোতে
দূরের রাস্তায় শুধু চোখের পাহারা,
চোখের কাজলে লুকোনো অশ্রুর বাষ্পগন্ধ রাত;
রাত কি কখনো গোনে তারাদের শ্রেণিভাগরেখা?
অমূল্য আসর যায় অকারণে ভেসে।
যত কথা পরিকল্পিত আসরে বলা যায়
তার অর্ধেক রাস্তার বর্ষায় ডুবে যায়;
মিছিলনগরী আনে গভীরতাহীন এক প্রগাঢ় অসুখ।
কথামালা না ফুরোতে সবাইকে ডেকে আনা
দুঃস্বপ্নের ইশারা হয়ে ইঙ্গিতরমণীর
কৃত্রিম আঁচল ঘিরে ঘুরতেই থাকে।
এই লেখাটা শেয়ার করুন