রাতে লেখা কিছু টুকরো
১
বিছানায় ছানা জড়িয়ে থাকতে থাকতে
চাঁদ ডাকি চুলের রাস্তায়
আকাশে বাবার ছবি
আমাতে ছায়া দেয়
ঘুমের ঘরে যামিনী রায়ের গণেশ .
২
কুঞ্জভঙ্গের পর শূন্যতা
ছেঁড়া গাঁদার মালা নিয়ে
এই অসহায় দেবতাকে
বড়ো নিজের মনে হয়
কীর্তন বাজতেই থাকে ভিতর যন্ত্রে
কৃষ্ণও
৩.
রাতের গাছটি দেখি আর আনন্দকে
তার দু বাহুর ভিতরে
পাখি আর পাখির বাসা নিয়ে
আরাম বাতাস পাতায় পাতায়
তারাদের ফোটায় আর গাছটিকেও
নীল বোতাম খুলে হাসছে জানালা
রাধা হয়ে আছে সন্ধ্যার শরীর। পাড়াকে কীর্তনে পেয়েছে। করতাল
আর খোলের যুগলবন্দী আকাশকে একটি গৌরচন্দ্রিকা দিল। রাগ আগে
পূর্ব পেলে মেঘেও কৃষ্ণ দর্শন
বাঁশির ঘুম ভেঙে গেলে রান্না পুড়ে যায়। পেখম পাবার আগে ময়ূরটি খুঁজি। প্রেমের শীতল কলসটি গ্রীষ্ম চায়। কলঘরে ঝরে যাচ্ছে রজস্বলার
কান্না। দেবতাটিকে তবে কী দেবে!
সুদর্শন নাকি পাঞ্চজন্য!
ব্রজের ধূলির ভিতরে গোঁসাই গোপী হয়ে পড়ে। নিঃসঙ্গ। একাকী। মন্থর সময়। অতুল প্রসাদে ডোবে। রজনীকান্ত পায়। পা পা করে চলে যাচ্ছে গোপাল। রাত্রি কখন পরমোৎসব
শবের ভিতরে ভালোবাসা বসে উচ্চারণ করছে নতুন বাসার খবর
ফিরে ফিরে যমুনা ও তমালে
রাধামাখা সন্ধ্যা। কীর্তন গুছিয়ে নিচ্ছে মালা ও চন্দন। খোল কর্তালে
রসকলি আঁকা হলো। আখর দাও
এই রাত্রির অভিসারে। বাঁশিকে দেখি
কৃষ্ণ আর পূর্বরাগে
পরাগমোচন শব্দটি ফুলের সম্পর্ককে
অবৈধ ভাব দেয়। ভাবনাকে না বলতে পারি না বলেই সে অবাধ্য।
লক্ষণরেখাটি পেরোলেই পরকীয়া।
নোলক ভেঙে যায়
গৌর অঙ্গ চোখের আরাম দেয় পদটির সাথে। চন্দ্রিকাও ছড়িয়ে পড়ে। পাড়াটি ধীরে ধীরে উর্ধ্ববাহু
হয়। সংসারের রন্ধন পুড়ে যায়
বিষ্ণুপ্রিয়ার কাতরতায়
তর্জা ও যুদ্ধের শেষে ফুলের সুবাসে প্রেম কুঞ্জভঙ্গের পর মাথুর রেখেছে
হে রহস্যময়ী
দুপুরের কাছে ধূ ধূ ঋণে পড়ে যাই
আকাশ অবাক লেখে
মুন্নি বিবির গরু হারিয়ে গেলে
একটা চাপা কান্না জল খুঁজে ফেরে
গাছ তার ছায়ায় ডেকে নেয়
ক্লান্ত পাতা আর ডালের নীচে
চৈত্র মাস ঘুমিয়ে পড়লে
মৃত আত্মীয় আসে
কিছুক্ষণ স্বপ্নে বেড়িয়ে আসা
শুকনো কুয়োয় পড়ে থাকা
ভালোবাসার লাশে
শরীর দিয়ে
ভালোলাগা বিকেল ফেরে
এই লেখাটা শেয়ার করুন