ISHANKON A LITERARY WEBZINE IN BENGALI
ঈশানকোণ বাংলা সাহিত্যের ওয়েবজিন

জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০১৮ সংখ্যা
(বছরে চারবার যথাক্রমে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি-মার্চ, এপ্রিল-মে-জুন, জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে প্রকাশ হয়)
[ঈশানকোণ নতুন সংখ্যা দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]

এবারের আকর্ষণ

এবারের আকর্ষণ

ঈশানকোণ-এর পক্ষ থেকে

ঈশানকোণ বছরে চারবার প্রকাশিত হয়ে চলেছে। এবার ঈশানকোণ-এর পক্ষ থেকে আরো দু'টি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এবছর ডিসেম্বর ২০১৮ মাসে প্রশাখা প্রকাশনী এবং সেভেন বুকস্টোর আত্মপ্রকাশ করছে। প্রশাখা প্রকাশনীর মূল উদ্দেশ্য হল ই-বই প্রকাশ করা এবং এই ই-বইগুলি ঝাঁকে ঝাঁকে বেরুবে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ডিসেম্বরে আট থেকে দশ জনের গল্পগ্রন্থ ই-বই হিসেবে একসঙ্গে বেরুবে। আর সেভেন বুকস্টোর হল হার্ডবই এবং ই-বই অনলাইন বিক্রির এক সাইট যেখানে বিভিন্ন প্রকাশনীর হার্ডবই পাওয়া যাবে। এখানে যে-কেউ নিজের বই বিক্রির জন্যে রাখতে পারবেন। আরো কিছু এব্যাপারে জানতে হলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
https://proshakha.com
https://sevenbookstore.com

[ঈশানকোণ নতুন সংখ্যা দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]

ঈশানকোণ ওয়েবজিনে আপনাকে স্বাগত ***** সেভেন বুকস্টোরের অনলাইন সাইটে আপনার বই বিক্রি করুন ***** প্রশাখা প্রকাশনী থেকে এক ঝাঁক গল্পগ্রন্থের ই-বই বেরুচ্ছে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা প্রশ্ন বারবার ঘুরেফিরে আসছে – কেন এসব করছেন? মানে কেন এতো লিটিল ম্যাগ, ব্লগজিন এবং ওয়েবজিন বের হচ্ছে? সোজাসুজি একথার অর্থ – অনর্থক এগুলি চারিদিকে গজিয়ে উঠছে। একথার উত্তর দেবার মতো কিছুই ছিল না যদি প্রশ্নটা সাহিত্যের বেরসিকদের কাছ থেকে আসতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এসব প্রশ্ন যাঁরা তুলছেন তাঁরা সবাই লেখালেখির সাথে যুক্ত। উত্তরে কেউ যদি বলেন যে সাহিত্যকে মনেপ্রাণে ভালোবাসি বলেই নিজেরাই টানা পরিশ্রম করে, অমূল্য সময় অপচয় করে এবং আর্থিক ক্ষতি নিয়েই এগুলি করা হচ্ছে। এই উত্তরটা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্নকর্তা-প্রশ্নকর্ত্রীদের কাছ থেকে তৈরি করা যে প্রশ্নটি আবার ভেসে আসে সেটা হলো – কে বলেছে আপনাকে এসব করতে? কে বলেছে আপনাকে পরিশ্রম করতে? কে বলেছে আপনার অমূল্য সময় নষ্ট করতে ? কে বলেছে আপনাকে আর্থিক ক্ষতির দায় নিতে? আর এসব অর্বাচীন প্রশ্নের ফলে লিটিল ম্যাগ, ব্লগজিন এবং ওয়েবজিন কি বন্ধ করে দেওয়া হবে? নিশয় না। কারণ যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরাই অনর্থক তুলেছেন, আবার তাঁরাই পাঠক পাঠক করে চেঁচামেচি করেন। সেই প্রাচীন কাল থেকেই লিটিল ম্যাগ পাঠক তৈরি করে এসেছে। সময়ের তালে তালে ডিজিটাল ব্যবস্থা এসেছে ব্লগজিন-ওয়েবজিনের মাধ্যমে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটাকে আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। ইতিমধ্যে পাশ্চাত্ত্য দেশের অনেক লাইব্রেরিই পুরোপুরি ডিজিটাল হয়ে গেছে। আর এখানে যাঁরা লিটিল ম্যাগ, ব্লগজিন এবং ওয়েবজিন করছেন তাঁরা প্রায় সবাই লেখালেখির সাথে যুক্ত, তাঁরা তো সাহিত্যকে ভালোবেসে এসব করেও যাবেন। আর কেউ যদি লিটিল ম্যাগ, ব্লগজিন এবং ওয়েবজিন নিজের দায়িত্বে করেও থাকেন, তাঁরা তো সমাজের ক্ষতি, মানুষের ক্ষতি মোটেই করছেন না। বরং পাঠক তৈরি করছেন, নতুন লেখক তৈরি করছেন। লেখক নিশ্চয়ই চান না, তিনি যা লিখছেন সেটা আস্তাকুঁড়েই পড়ে থাকুক। সব লেখকই চান তাঁর লেখাগুলি প্রকাশিত হোক। যাঁরা এসব অবান্তর প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁরাও চান তাঁদের লেখাগুলির যে-কোনো ফর্মে প্রকাশ ঘটুক। এখন কেউ যদি মনে করেন তিনি ফেসবুক বাদে অন্য কোথাও প্রকাশ করেন না, তিনি আমাদের নমস্য। তাঁর জন্য আমার এ লেখা নয়।

এ সংখ্যার ই-কপি ডেস্কটপে বা মোবাইলে দেখুন। তবে ছোট ডিভাইসে এক পৃষ্ঠা করে দেখার জন্যে কোথায় টাচ করবেন তা নিচের ছবিতে আগে দেখুনঃ-

এই লেখাটা শেয়ার করুন