কবিতা

ঈশানকোণ একটি বাংলা সাহিত্যের ওয়েবব্জিন জুলাই-আগস্ট সেপ্টেম্বর ২০১৮ সংখ্যা

[ঈশানকোণ নতুন সংখ্যা দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]

উমা মন্ডলের কবিতা

ঘাতক


১.

পড়ে আছে শিলনোড়া, বাটাতেল

ধূসরের গাঢ়চিত্র থেকে উঠে আসে

জ্যোৎস্নাবিহীন মৃত রাত। হয়তো নিশি পোকা

খেয়ে গেছে; রক্ত উড়ে যায়


মৃত্যু উপত্যকা কাঁদে শিরায় শিরায়.....


বন্ধ্যা জমি, কাপালিক নীলচাষ করে তন্ত্রশাস্ত্র মেনে; মৃত্যুকাল ঘড়ি দেখে নেয়

বিষের নগরী আসন পেতেছে পঞ্চমুন্ডি খোলে

মায়োপিয়া গতি গ্রাস করে পৃথিবীর গায়ে।

ছেঁড়া পালকের চক্রব্যূহ ......বিন্দু থেকে সিন্ধু

ভবিষ্যৎ পাঠ করে। মারমেড জানে -


ধ্যানে মগ্ন মৎস্য অবতার....


২.

কড়িকাঠ কথা, ঘুণ ধরেনি তখনও

তবু সরীসৃপ ঘর বেঁধেছিলো

আঁচলের পাড়ে জংধরা চাবি মূক ও বধির

মেঘের খাতায় বজ্র আঁকে ফণা, নদী হয়ে যায়

ভিটেমাটি ইহসুখ...


অন্নপূর্ণা জানে না মঙ্গলকাব্যের দংশন,

বেহুলা পুরাণের নীল ক্ষত।

রাজমিস্ত্রি ইট বাঁধে দড়ি মেপে, ব্রুটাসের লোভী জিভ টেনে নেয় লক্ষ্মীশ্রীর রক্ত।

সাদা খরা জমে বাঁধ অর্ধমৃত, ধূসর যানবাহন তুলে নেয় মুঠো মুঠো মাটি

গ্রহণের চাঁদ দেখে নেয়।


৩.

হাড়িকাঠ শুধু জানে উৎসর্গের কাব্য

গন্ধ শুঁকে লুপ্ত করে দেয় যতি চিহ্ন, বৈশিষ্ট্যের

কদর করেনা।

গলায় জবার মালা, এক কোপে মুছে যায় জন্ম

কাপালিক সরা ভরে নেয় রক্ত।

চন্ডাল শয়ান দেয় শুধু প্রাণহীন স্থাপত্যের

নশ্বর দেহের তাপ খাবি খায় পঞ্চভূতে, ছায়াপথে


ধর্মরাজ হত্যা ছিলো...প্রত্যেক সুইসাইডে লেখা

থাকে ঘাতকের নাম গুপ্ত শব্দে।

নীরোর বেহালা বেজে ওঠে সমাধির পাশ থেকে


               HOME

এই লেখাটা শেয়ার করুন