প্রিয় পাঠক

# এটা March-April 2024 সংখ্যা # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

উপন্যাস ও গল্প লেখার গল্প – সুদীপ ঘোষাল

উপন্যাস ও গল্প লেখার গল্প সুদীপ ঘোষাল লিখে কী হয়, একথা অনেকেই জিজ্ঞেস করেন। আমি বলি, আনন্দ পাই, অফুরন্ত আনন্দ। আর এই আনন্দের খোঁজে আমরা সকলেই ব্যস্ত। কেউ আনন্দ পান সংগীতে কেউ পড়ে আবার কেউ বা অপরের সমালোচনা করে।লক্ষ্য কিন্তু একটাই। আনন্দের খোঁজে মনকে একটু হাল্কা করা। তারপর মিশে যাব গোধূলির আলোয় অজানা এক মহানন্দময় ঘুমের দেশে কিংবা অন্ধকার এক শূন্য মায়ায়। তার আগে যদি একটু আনন্দে থাকা যায় তাই এই লেখার ইচ্ছে হয় বারেবারে। গল্পে সবকিছু বলে দিলে…

Read More

ফারাক – সদানন্দ সিংহ

ফারাক   (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ রাগিনী চারিদিকে ভগবানকে খুঁজে পায়। কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর। রাগিনীর স্বামী অরিন্দম আবার তর্কে সবসময় এগিয়ে, বিজ্ঞানে বিশ্বাসী। মাঝে মাঝে রাগিনীর সঙ্গে অরিন্দমের বেশ জোরালো তর্ক হয়। বলাই বাহুল্য, সে তর্কযুদ্ধে রাগিনী সবসময় হেরে যায়। রাগিনী একসময় রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে যায়, কিন্তু রাগে গোঁ গোঁ করে যায়। অগত্যা তখন অরিন্দমকেই কাছে গিয়ে নানা কায়দা করে রাগিনীর মান ভাঙাতে হয়। সারাবছর ঘরে একটা পূজাপাল্লি কিংবা ঘরের বাইরের কোনো মঠে দানধর্ম লেগেই থাকে…

Read More

সম্পত্তি – সদানন্দ সিংহ

সম্পত্তি          (ছোটোগল্প) সদানন্দ সিংহ নদীর পারের জমি বেদখল করে করে এখানে একটা বড় বস্তি গড়ে উঠেছে। এই বস্তির পুরুষ লোকেরা কেউ দিনমজদুর, কেউ রিক্সাচালক, কেউ ইট ভেঙে বিক্রি করে, কেউ বাজারে মাছ বিক্রি করে, কেউ শাকসবজি বিক্রি — এইসব বিভিন্ন কৃচ্ছ্বকর্ম করে জীবনধারণ করে। আর মহিলারা বেশির ভাগ গৃহপরিচারিকার কাজ করে। সুখলাল এই বস্তিরই একজন লোক। বৌ নিয়ে সংসার করে। সুখলালের মনে ইদানীং একটা প্রশান্তি এসেছে। কারণ তার হাতে কিছু সম্পদ যেন এসেছে। সেগুলি হচ্ছে…

Read More

ভারত থেকে রেলে চড়ে বিদেশ ভ্রমণ: নেপাল — সদানন্দ সিংহ

ভারত থেকে রেলে চড়ে বিদেশ ভ্রমণ: নেপাল সদানন্দ সিংহ রেল ভ্রমণ সবার সাধ্যের মধ্যে, খরচ খুবই কম। এই রেলে চড়েই আপনি এখন বিদেশে নেপাল ভ্রমণে যেতে পারেন। নেপালের ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ৮১.৩% হিন্দু। তাই এখানে প্রচুর মন্দিরের ছড়াছড়ি। আপনি এখন পরিবার সহ রেলে করে যখন খুশি নেপালে যেতে পারেন। ২ এপ্রিল, ২০২২ সালে প্রথম ভারত-নেপাল রেল পতাকাবাহী রেল চালু হয়েছিল। ট্রেনটি বিহারের মধুবনী জেলায় অবস্থিত জয়নগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় এবং নেপালের জনকপুরের কুর্থায় যাত্রা শেষ করে।…

Read More

Posted in ভ্রমণ Comments Off on ভারত থেকে রেলে চড়ে বিদেশ ভ্রমণ: নেপাল — সদানন্দ সিংহ
এ কোন স্রোত ২ – শুভেশ চৌধুরী

এ কোন স্রোত – ২ শুভেশ চৌধুরী আরেকটি ব্যাংক আজ ডুবে গেল সমস্ত আমানতকারি এখন দেউলিয়া কেনো না ব্যাংকই আজ দেউলিয়া ঘোষণাপ্রাপ্ত হয়েছে এ কিসের ইঙ্গিত রাষ্ট্র তার সব দায় দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছে নাগরিকগণ এই সব প্রশ্ন করবেন উত্তর দেবার জন্য প্রস্তুত হতে হবে ঠিক এমন কিন্তু কথা ছিল না। বহুদিন ধরে বলা হচ্ছিল আমানত এর দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর তার থেকে যেন সরে আসেনা কোন নির্দিষ্ট ব্যাংক। ব্যাংক ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তারাই দায়ী হবেন। আমানতকারীরা নির্দোষ…

Read More

সদানন্দ সিংহের কবিতা

ঋতুচক্র সদানন্দ সিংহ ইচ্ছে হলেই সব কিছু থেকে বেরিয়ে আসা যায় ইচ্ছে হলেই সব কিছুতে সঙ্গে থাকা যায় ইচ্ছে হলেই আবার শূন্যে ভাসা যায় আমাদের পারস্পারিক স্থিতিস্থাপকতা আমাদের দিক্‌নির্দেশ আমাদের বাকচাতুর্য, শ্রেণিঘর বিলাসিতা জানি, সব জানি শেষটাও জানি — জানি প্রারম্ভ, মধ্যান্তর কিংবা প্রাগৈতিহাসিক পদযাত্রা তাই ডাইনোসরের ডিম খোঁজাকে আমি ঋতুচক্র বলি

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on সদানন্দ সিংহের কবিতা
ছুটি – হেলেন লেকুক

ছুটি          (অনুগল্প) হেলেন লেকুক   (আমেরিকান গল্প, ইংরেজি থেকে অনুবাদঃ সদানন্দ সিংহ)  ডরোথি অ্যান্ডারসন সমুদ্রকে সমানভাবে ভালোবাসতেন এবং ভয় করতেন। তিনি তার মিছরি রঙের সৈকত কুঁড়েঘরের দরজায় একটি ডোরাকাটা চেয়ারে দীর্ঘ গ্রীষ্মের দিনগুলি কাটিয়েছিলেন। আজ তার আনন্দ হয় এক পরিবারকে দেখে, যেখানে বাবা-মা ডেকচেয়ারে বিশ্রাম নিচ্ছে, ছোট্ট মেয়েটি বালির দুর্গ তৈরি করছে এবং সাজাচ্ছে, এবং ছেলেটি বালি খনন করছে। তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথে জোয়ার ভেসে আসছিল, এবং ডরোথি তার পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ভিজানোর জন্য তাড়াহুড়ো…

Read More

সতীদাহ – ব্রতীন বসু

সতীদাহ     (অনুগল্প) ব্রতীন বসু রনু, যেদিন তুই চলে গেলি রুনু লরির তলায়, তোর কলিগ জিয়ার সাথে হোটেলে রাত কাটিয়ে সতীসাধ্বী স্বামীর মত বাড়ি ফেরার সময়, সেদিন ভোরে আমি গ্যাস জ্বেলে দিয়েছিলাম। মরিনি। জ্যাকি আমাকে টেনে টেনে নিয়ে এসেছিল। দিয়ে সামনের ফ্ল্যাটের কাকিমাদের ঘেউ ঘেউ করে ঘুম থেকে তুলেছিল। মনে আছে তুই রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনেছিলি ওকে। আমি বলেছিলাম নেড়িকুত্তা রাখবি? তুই বললি, নাহলে যে গাড়ি চাপা পড়ে মরে যাবে। আমি মরিনি, কিন্তু গায়ে পোড়া দাগ রয়ে গেছে। মাঝে…

Read More

ব্রতীন বসুর কবিতা

জল দাও জল খাবো ব্রতীন বসু আমাদের পাড়ায় একটা পাগল ছিল, কেউ কাছে এলেই বলত, জল দাও জল খাবো। কেউ জল দিলে গেলাসে ভাঁড়ে কিংবা বোতলে ফেলে দিত জলটা দিয়ে ছুঁড়ে দিত সজোরে পাত্রটা যে দিয়েছে তার দিকে আমি দেখিনি, লোকমুখে শুনেছি লুকিয়ে লুকিয়ে নাকি রাস্তার কলে জল খেত, কেউ এলেই সরে যেত, বলত জল দাও, জল খাবো। এও নাকি এক ধরনের অভিমান, এক এনজিও থেকে ডাক্তার এসে বলেছিল, পাগলটা একদিন একটা পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছিল বলতে বলতে, জল দাও…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on ব্রতীন বসুর কবিতা
সদানন্দ সিংহের ছড়া

প্রমাদ সদানন্দ সিংহ বালাই ষাট, বালাই ষাট, কী যে কর্ম করিস ভাই। গাড়ি-ঘোড়া কত গেল, মোড়ামুড়ির খেল হল, ভক্তজনের তালি এল, হুজুর যে তবু রেগে কাই। এবার আবার শব্দছক, রহস্য জানেন ভবানন্দ। জলসা হল রমরমা, বিউগল নিয়ে দামামা, সেই সঙ্গে হলপনামা, বাবু যে তবু বলেন মন্দ। রূপনগরের রানি এলেন, সঙ্গে রাজা মণিকান্ত। গোল গোল্লা রসগোল্লা, তারপর আরেক মহল্লা, শেষে আবার ভীষণ হল্লা, মশাই তবু কেন বিভ্রান্ত !

Read More

Posted in ছড়া Comments Off on সদানন্দ সিংহের ছড়া