মেটাভার্স এক বিশাল জগৎ – অনিমেষ শর্মা
মেটাভার্স এক বিশাল জগৎ – অনিমেষ শর্মা

মেটাভার্স এক বিশাল জগৎ অনিমেষ শর্মা মেটাভার্স একটি বিশাল, ভাগ করা এবং ইন্টারেক্টিভ ভার্চুয়াল জগতের মতো যেখানে লোকেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিকীকরণ, কাজ, খেলা এবং অন্যান্য জিনিসগুলি একসাথে তৈরি করতে পারে। এটিকে ইন্টারনেট, ভিডিও গেমস এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মিশ্রণ হিসাবে কল্পনা করুন যেখানে সবকিছু এক হয়ে গেছে। মেটাভার্স হল কিছুটা ইন্টারনেটের একটি সুবিশাল, ভাগ করা এবং ব্যাপক ভার্চুয়াল জগত, কিন্তু 3D স্পেসে। এই ভার্চুয়াল রাজ্যে, মানুষ যোগাযোগ করতে পারে, সামাজিকীকরণ করতে পারে, কাজ করতে পারে, গেম খেলতে পারে এবং…

Read More

লাইন – সদানন্দ সিংহ
লাইন – সদানন্দ সিংহ

লাইন         (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ যেতে যেতে হরপ্রসাদের সাইকেলটা ব্রাস্ট মেরে দিল। সামনে-পিছে দু’কিলোমিটারের মধ্যে কোনো সাইকেল-রিক্সা সারাইয়ের দোকান নেই। অতএব কী আর করে সে। সাইকেল ঠেলে এগিয়ে যেতে থাকে। এমনিতেই তার অনেক দেরী হয়ে গেছে। ঘন্টা খানেক পর সে এক সাইকেল-রিক্সা সারাইয়ের দোকান দেখল। সেখানে একজন লোক এক রিক্সার ব্রেক ঠিক করছে। সামনে আরো কয়েকটা রিক্সা দাঁড়ানো। সাইকেলটাকে দাঁড় করিয়ে সে লোকটিকে বলল, ভাই আমার সাইকেলের পেছনের টিউবটা সারাই করে দেবে? লোকটা হরপ্রসাদকে একনজর দেখে বলল,…

Read More

ক্রূরনীতি – সদানন্দ সিংহ
ক্রূরনীতি – সদানন্দ সিংহ

ক্রূরনীতি সদানন্দ সিংহ তাৎক্ষণিক কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় বা ধীরে ধীরে জারিত হয়ে আসা অনেক কিছুই জমতে জমতে সবার মনে এক পাহাড় হয়ে গড়ে উঠতে পারে। সেটা হয়তো কোনো বিস্বাদের পাহাড় বা আনন্দ-দুঃখ-কান্না অথবা ক্ষোভের পাহাড় হতে পারে। আর সৃজনশীল মানুষের কাছ থেকে একসময় সেটা চারিদিকে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়ে চিত্র-কবিতা-গল্প-উপন্যাস-নাটকের মাধ্যমে বা কোনো শিল্পকর্মের বা বক্তব্যের মাধ্যমে। মানবিকতাবোধ সম্পন্ন একজন সৎ সৃজনশীল মানুষের ক্ষেত্রে তাই-ই হয়, যেহেতু এইরকম মানুষের মূল্যবোধে কোনো ফাঁকিবাজি নেই। কিন্তু সবাই তো আর তা নয় ফলে অনেক…

Read More

সমর চক্রবর্তীর কবিতা
সমর চক্রবর্তীর কবিতা

একাকিত্ব সমর চক্রবর্তী নিজের রক্তের রঙের সাথে তুলনা করেছি পলাশের শিমুলেরত। পূ্ঁজের সাথে বর্জিত ঘৃণ্য পীত। রক্ত দিয়েই আমি বিচার করি — পরাজয় মানে নিষিদ্ধ সোঁতধারা, আগুনের শিখায় নাচে জিৎ।

Read More

ব্যাকটেরিয়া – সদানন্দ সিংহ
ব্যাকটেরিয়া – সদানন্দ সিংহ

ব্যাকটেরিয়া        (ছোটোগল্প) সদানন্দ সিংহ (১) হঠাৎ আজ সূর্যটা বেশ বেঁকে গেল। তুহুরিয়ার জলে তার ছায়া। সে ছায়ার দিকে সুখবীরের চোখ। তখন কি অবাস্তব কিছু ঘটে চলছিল ? একদম না। যা ঘটে চলেছে বা যা ঘটছে তা কানায় কানায় বাস্তব। তাই সুখবীর চেঁচাল, “বাণী, এদিকে দেখে যাও।” বাণী তখন এক গাছের ছায়ায় বসে এক শতরঞ্চি পেতে চা টিফিনের আয়োজন করছিল। চা বাগানের কাছাকাছি এই নির্জন জায়গায় ওরা বাইক নিয়ে মাঝে মাঝে আসে। ছোট্ট টিলা, ঘাস, গাছপালা, পাখি…

Read More

বায়না – সদানন্দ সিংহ
বায়না – সদানন্দ সিংহ

বায়না      (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ অরুণ তার জামাইবাবুদের গ্রামের বাজারে ব্যান্ডপার্টির লোকজনদের খোঁজ করছিল। শেষে সে খোঁজ পেল। জামাইবাবুর নাম করে বলল চারদিন পরে জামাইবাবুর মেয়ের বিয়ে হবে, তাই ব্যান্ডপার্টির বায়না করতে এসেছে। ব্যান্ডপার্টির লোকেরা খুব খুশি, ইদানীং তাদের ব্যবসাটা মন্দ যাচ্ছিল। ব্যান্ডপার্টির লোকজন আবার তার জামাইবাবুকে ভালোই চেনে তাই রাজি হয়ে গেল পনের হাজার টাকায়। বায়নার টাকা দিতে পকেটে হাত ঢুকিয়েই সুজন জিভে কামড় দিয়ে বলল, “ইস, টাকার ব্যাগটা ঘরে ফেলে এসেছি। এক কাজ করুন। জামিন হিসেবে…

Read More

শুভেশ চৌধুরীর কবিতা
শুভেশ চৌধুরীর কবিতা

লক্ষ্মী শুভেশ চৌধুরী লক্ষ্মী বড় চঞ্চলা। কারী কারী ধন আছে তাহার। কাকে কখন যে এই ঐশ্বর্য দিবেন তাহা তিনিও জানেন না। লক্ষ্মীপূর্ণিমাতে একটি গোল চাঁদ উঠে। নারকেল নারকেলের জল চিড়ার নাড়ু মুড়ির মোয়া নারকেলের নাড়ু তিলের নাড়ু সব আয়োজন করা হয়। ছোট ছোট পায়ে হেঁটে লক্ষ্মী ঘরে আসেন লক্ষ্মীর বাস শস্য ক্ষেত্রে তার হাতে ধান গম যব লক্ষ্মী ঘরে আসলে মনে হয় সারা বছর জুড়ে খাবার জুটবে। ধন লক্ষ্মী মেপে মেপে দেন। কুনই হাতে

Read More

সদানন্দ সিংহের ছড়া
সদানন্দ সিংহের ছড়া

শিল্পীমন সদানন্দ সিংহ হেলে দুলে দুলকি চালে মিস রুবি ডাট চলে। তাই না দেখে মেসো আমার যান যে খুব গলে। লালচে গাল ঠোঁটে লিপস্টিক রুবির নিতম্ব বলিহারি। লজ্জা শরম মাথা খেয়ে মেসো বলে আহামরি। এসব দেখে মাসি চেঁচায়, বুড়ো ব্যাটা হারামজাদা। মেসো বলেন, শিল্পীমন মোর দেখি শুধু সৌন্দর্যটা।

Read More

চাহিদা – শুভেশ চৌধুরী
চাহিদা – শুভেশ চৌধুরী

চাহিদা শুভেশ চৌধুরী সদানন্দ সিংহর “খাঁচা খোলে রমজান”-এর আলোচনায় দেহপসারিণীদের সাবান ব্যবহার সম্বন্ধে আমার বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছিল। ভাত এর যোগান নাই অথচ শরীরে কাদা ধুয়ে আনতে হবে সুগন্ধ। মনে হয় প্রথমে মাঠের মধ্যে চলে আসতো ভ্যান গাড়ি। ইনস্ট্যান্ট ম্যাগী খাওয়া চলতো, তারপর অভ্যস্ত হয়ে গেছি ও দাম দিয়ে কিনে খাই। বোঝা গেলো প্রথমে চাহিদা তৈরি করা শরীরের সুগন্ধ বা উত্তম রেসিপি যাহাই হউক স্বাভাবিক ভাবেই তখন লাভ লোকসান আসবে। জীবনকে দেখে শিখেছি জীবনের এই সব রসবোধের পিছনে বাণিজ্যিক চাহিদা…

Read More

বলাই দে’র ছড়া
বলাই দে’র ছড়া

লোকহিত বলাই দে ধান ভানতে শিবের গীত গাইলে নাকি লোকের হিত, এটাই এখন জপের মালা বলেই চলেন আচম্বিত! মোদ্দা কথায় উদাহরণ মনীষীদের করেন স্মরণ, ব্যাখ্যা নাকি বাহুল্যতা ব্যাখ্যার তাই নিস্প্রয়োজন! মিলিয়ে দেবেন রাজামশাই তিনি যে মস্ত সে সাঁই, কথায় ফোটে ভজন সাধন ভক্ত জনে দেন যে সাফাই। যাদের আছে পুঁজির পাহাড় ত্রাতা ওরাই আমজনতার, জনপদ থাকবে ভালো অফুরান মিলবে আহার! নীচের জল নামছে নীচে জনতার ঢেউ ছুটছে পিছে, জমিজমায় খাটছে মজুর কোথায় যাবে এই ভাবিছে! এত ভালো রাখছে রাজায়…

Read More