প্রিয় পাঠক

# এটা NOV-DEC 2025 সংখ্যা # পরবর্তী JAN-FEB 2026 সংখ্যা প্রকাশিত হবে JAN মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী JAN-FEB 2026 সংখ্যা প্রকাশিত হবে JAN মাসের ২০ তারিখ ।

সম্পত্তি – সদানন্দ সিংহ
সম্পত্তি – সদানন্দ সিংহ

সম্পত্তি          (ছোটোগল্প) সদানন্দ সিংহ নদীর পারের জমি বেদখল করে করে এখানে একটা বড় বস্তি গড়ে উঠেছে। এই বস্তির পুরুষ লোকেরা কেউ দিনমজদুর, কেউ রিক্সাচালক, কেউ ইট ভেঙে বিক্রি করে, কেউ বাজারে মাছ বিক্রি করে, কেউ শাকসবজি বিক্রি — এইসব বিভিন্ন কৃচ্ছ্বকর্ম করে জীবনধারণ করে। আর মহিলারা বেশির ভাগ গৃহপরিচারিকার কাজ করে। সুখলাল এই বস্তিরই একজন লোক। বৌ নিয়ে সংসার করে। সুখলালের মনে ইদানীং একটা প্রশান্তি এসেছে। কারণ তার হাতে কিছু সম্পদ যেন এসেছে। সেগুলি হচ্ছে…

Read More

ফারাক – সদানন্দ সিংহ
ফারাক – সদানন্দ সিংহ

ফারাক   (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ রাগিনী চারিদিকে ভগবানকে খুঁজে পায়। কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর। রাগিনীর স্বামী অরিন্দম আবার তর্কে সবসময় এগিয়ে, বিজ্ঞানে বিশ্বাসী। মাঝে মাঝে রাগিনীর সঙ্গে অরিন্দমের বেশ জোরালো তর্ক হয়। বলাই বাহুল্য, সে তর্কযুদ্ধে রাগিনী সবসময় হেরে যায়। রাগিনী একসময় রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে যায়, কিন্তু রাগে গোঁ গোঁ করে যায়। অগত্যা তখন অরিন্দমকেই কাছে গিয়ে নানা কায়দা করে রাগিনীর মান ভাঙাতে হয়। সারাবছর ঘরে একটা পূজাপাল্লি কিংবা ঘরের বাইরের কোনো মঠে দানধর্ম লেগেই থাকে…

Read More

গুরুত্বপূর্ণ হেল্পলাইন নাম্বারগুলি – সদানন্দ সিংহ
গুরুত্বপূর্ণ হেল্পলাইন নাম্বারগুলি – সদানন্দ সিংহ

গুরুত্বপূর্ণ হেল্পলাইন নাম্বারগুলি সদানন্দ সিংহ এখন আমাদের বেশিরভাগের কাছেই মোবাইল ফোন আছে। মোবাইলের ফোনের সাহায্যে গেম, শপিং, সিনেমা বা ভিডিও দেখা এবং আরো প্রয়োজনীয় কাজ যেগুলি আগে আমরা কম্পিউটারের বা ল্যাপটপের সাহায্যে করতাম তা এখন মোবাইল ফোনের দ্বারা করা সম্ভব হচ্ছে। আসলে মোবাইল ফোন আমাদের অনেক কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু যে জিনিস আমরা অনেকেই করি না, সেটা হল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফোন নাম্বারের নিজের ফোনে সেভ করে রাখা যে ফোন নাম্বারগুলি আমাদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।  আপনার…

Read More

গোবর্ধনের ট্রেনিং – সদানন্দ সিংহ
গোবর্ধনের ট্রেনিং – সদানন্দ সিংহ

গোবর্ধনের ট্রেনিং     (ছোটদের গল্প) সদানন্দ সিংহ মা বলেছিল, প্রফুল্ল দোকান থেকে আড়াইশ গ্রাম মুড়ি কিনে আনতে। আমি সেদিকেই যাচ্ছিলাম। এই দোকানের মালিকের নাম প্রফুল্ল। সবাই এই দোকানকে প্রফুল্ল দোকান বলেই ডাকে। আমাদের এখানে আরো কিছু দোকান আছে। যেমন বুড়া দোকান, নতুন দোকান, অবিনাশ দোকান, নারু দোকান ইত্যাদি। এই নামগুলি আসলে লোকজনদের দেওয়া নাম। দোকানে যাবার পথে দেখলাম দুটো ক্র্যাচ নিয়ে গোবর্ধনদা রাস্তায় এক পায়ের ওপর ভর করে কষ্ট করে হেঁটে চলেছেন। দেখে আমার ভারী কষ্ট হল। আহা, উনি…

Read More

সদানন্দ সিংহের ছড়া
সদানন্দ সিংহের ছড়া

প্রমাদ সদানন্দ সিংহ বালাই ষাট, বালাই ষাট, কী যে কর্ম করিস ভাই। গাড়ি-ঘোড়া কত গেল, মোড়ামুড়ির খেল হল, ভক্তজনের তালি এল, হুজুর যে তবু রেগে কাই। এবার আবার শব্দছক, রহস্য জানেন ভবানন্দ। জলসা হল রমরমা, বিউগল নিয়ে দামামা, সেই সঙ্গে হলপনামা, বাবু যে তবু বলেন মন্দ। রূপনগরের রানি এলেন, সঙ্গে রাজা মণিকান্ত। গোল গোল্লা রসগোল্লা, তারপর আরেক মহল্লা, শেষে আবার ভীষণ হল্লা, মশাই তবু কেন বিভ্রান্ত !

Read More

ছুটি – হেলেন লেকুক
ছুটি – হেলেন লেকুক

ছুটি          (অনুগল্প) হেলেন লেকুক   (আমেরিকান গল্প, ইংরেজি থেকে অনুবাদঃ সদানন্দ সিংহ)  ডরোথি অ্যান্ডারসন সমুদ্রকে সমানভাবে ভালোবাসতেন এবং ভয় করতেন। তিনি তার মিছরি রঙের সৈকত কুঁড়েঘরের দরজায় একটি ডোরাকাটা চেয়ারে দীর্ঘ গ্রীষ্মের দিনগুলি কাটিয়েছিলেন। আজ তার আনন্দ হয় এক পরিবারকে দেখে, যেখানে বাবা-মা ডেকচেয়ারে বিশ্রাম নিচ্ছে, ছোট্ট মেয়েটি বালির দুর্গ তৈরি করছে এবং সাজাচ্ছে, এবং ছেলেটি বালি খনন করছে। তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথে জোয়ার ভেসে আসছিল, এবং ডরোথি তার পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ভিজানোর জন্য তাড়াহুড়ো…

Read More

সদানন্দ সিংহের কবিতা
সদানন্দ সিংহের কবিতা

ঋতুচক্র সদানন্দ সিংহ ইচ্ছে হলেই সব কিছু থেকে বেরিয়ে আসা যায় ইচ্ছে হলেই সব কিছুতে সঙ্গে থাকা যায় ইচ্ছে হলেই আবার শূন্যে ভাসা যায় আমাদের পারস্পারিক স্থিতিস্থাপকতা আমাদের দিক্‌নির্দেশ আমাদের বাকচাতুর্য, শ্রেণিঘর বিলাসিতা জানি, সব জানি শেষটাও জানি — জানি প্রারম্ভ, মধ্যান্তর কিংবা প্রাগৈতিহাসিক পদযাত্রা তাই ডাইনোসরের ডিম খোঁজাকে আমি ঋতুচক্র বলি

Read More

নিপা ভাইরাস নিয়ে – সদানন্দ সিংহ
নিপা ভাইরাস নিয়ে – সদানন্দ সিংহ

নিপা ভাইরাস নিয়ে সদানন্দ সিংহ করোনার তো নতুন সংস্করণ তো একটার পর একটা বেরিয়েই চলেছে । তার ওপর এ্খন বিষফোঁড়ার দরজায় নাড়া দিয়ে চলেছে নিপা ভাইরাস। আমাদের দেশে করোনা শুরু হয়েছিল কেরালায়। এখন নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে কেরালাতেই প্রথম মৃত্যু ঘটল। দু’জনের মৃত্যু এবং আরো কিছু সংক্রমণের পর কেরালায় কদিন আগেই কোঝিকোড় জেলার ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ‘কনটেনমেন্ট জোন’ হিসেবে ঘোষণা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সঙ্গে কিছু স্কুল এবং সংক্রমিত এলাকার কিছু কিছু অফিস-কাছারিও। কেরালার কোঝিকোড়ে ‘নিপা’ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে…

Read More

মাছজীবন – সদানন্দ সিংহ
মাছজীবন – সদানন্দ সিংহ

মাছজীবন      (ছোটোগল্প) সদানন্দ সিংহ সবাই বলে এ মন্দির জাগ্রত কালী মন্দির। তাই দূর-দূরান্ত এবং শহর থেকে প্রচুর বিশ্বাসী লোক মন্দিরে পুজো দিতে এখানে আসে। রবিবার এবং ছুটির দিনে লোকসমাগম আরো বেড়ে যায়। আর লোকসমাগম বেশি হলেই দয়াহরি খুশি হয়। বুকে এক আশা তৈরি হয়। দয়াহরি তাই পদ্মফুলের কলি নিয়ে ভক্তদের কাছে যায় আর অনুরোধ করে, মায়ের জন্য একটা পদ্মফুল নিন না। কেউ খুব একটা পাত্তা দেয় না। কেউ কেউ বলে, কোথায় পদ্মফুল? এ তো পদ্মফুলের কলি। দয়াহরি…

Read More

পরি – সদানন্দ সিংহ
পরি – সদানন্দ সিংহ

পরি          (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দশ মাসে বছর হয় না। কিন্তু ছোট্টুবাবুর হয়ে যায়। ছোট্টুবাবুর অনেক কিছুই হয়ে যায়। দিনটাকে কখনো রাত কিংবা রাতকে কখনো দিন। চালচুলোহীন মানুষ সে, একা এক কুটিরে বসবাস করে। কোনো এক কালে ওর পূর্বপুরুষরা নাকি জমিদার ছিল। এখন সে কোনোদিন খায়, কোনোদিন খায় না। গভীর রাতের জ্যোৎস্না রাতে সে নাকি পরিও দেখে। শনিতলার বিশাল বট গাছের ঝুরি বেয়ে নাকি পরিরা নামে গভীর রাতে। ছোট্টুবাবু তক্কে তক্কে থাকে এক অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে,…

Read More