প্রিয় পাঠক

# এটা March-April 2024 সংখ্যা # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

বাড়ি নিয়ে অভিজিৎ চক্রবর্তী আমার নিজস্ব কোনো বাড়ি ছিল না নিজস্ব বাড়ি থাকলে শিকড় গজায় শিকড় গজালে টান– আমার কেবল তালা দিয়ে চলে যাওয়া যাদের শিকড় আছে তারা আসলে গাছ প্রতিটি পাড়ায় এমন অসংখ্য গাছ আমি জানি বড় বড় কালো কালো বহুকালের গাছ তারা শিকড় ছেড়ে সরে যেতে চায় পারে না তালা ঝুলিয়ে কেটে পড়তে চায় পারে না আমি কেটে পড়ি কেটে কেটে বহুদূর চলে যাই বহুদূর বলতে যেখানে তাদের কোনো চূড়াও দেখা যায় না শুধু এক আধবার কোনো…

Read More

সদানন্দ সিংহের কবিতা

প্রেমহীন সন্দানন্দ সিংহ জলপরির দেশে এক যুবক পথ হারাল অসীম বনের মেধা বলে আর কিছুই রইল না চলে গেল এক গোলকধাঁধা থেকে আরেক গোলকধাঁধায় সুপ্ত মাস, কাকতীর্থ – সব হিজিবিজি তবুও কৈশোরিক চপলতার শেষে বৃক্ষের মূল ধীরে ধীরে আরো গাঢ় হল।

Read More

সঞ্জীব সেনের কবিতা

অরুণা সঞ্জীব সেন অক্ষর থেকে ধাতবপ্রিন্ট যাওয়ার আগে প্রুফ পড়ার সময়ই মনে হল আমার ছায়াটি আসলে  সূর্যজাত নয়, মুক্তি চাইছে! কোথায় যেতে চাও আজ! ঘাটশিলা, সুবর্ণরেখার পারে, যেখানে গচ্ছিত আছে আমার বাল্যকাল, যেখানে গচ্ছিত আছে কিছু শব্দহীন সংলাপ, নারীর উদ্ধত পণ ভালবাসি আমি, যেখানে আবেশে প্রেম হয়, আসলে সেটা ঠিক প্রেম নয়, তবুও সব নারী প্রথমে সবুজ পরে গমরঙ হয়ে ওঠে, উঠবেই, মনে আছে তোর, সেদিনের কিশোর ছেলেটাকে একটুও জায়গা না দিয়ে এগিয়ে গেছিস একপাল কিশোরীর মধ্যমণি হয়ে, লেডিস…

Read More

বিহারিলালের উল্টোরথ – সদানন্দ সিংহ

বিহারিলালের উল্টোরথ সদানন্দ সিংহ ঘর ছাড়িয়ে চারুবাঁক পেরিয়ে ডানদিকে মোড় নিলে প্রথমেই যে একমাত্র তেঁতুলগাছটা নজরে আসে, সে গাছটা আরো কতোদিন বেঁচে থাকবে বিহারিলাল সেটা জানে না। যে জালালি কবুতরটি তার ঘরের টিনের চালে একা একা বসে থাকে, সে কবুতরটি কোনোদিন সঙ্গী জোটাতে পারবে কিনা তা সে জানে না। যে ফানুসটা একটু আগে তার মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেছে, সেটা যে কেন গেছে তা সে জানে না। আজ এতোদিন পরে তার তাপ্পিমারা চপ্পলের একটা কী করে যে দু টুকরো…

Read More

ঘুলঘুলি – সদানন্দ সিংহ

ঘুলঘুলি       (ছোটোগল্প) সদানন্দ সিংহ সু, তুই কি সত্যিই তাহলে এলি? কতোদিন বাদে এলি! আয়। বস্‌। কী খাবি বল্‌। অবশ্য কীই বা খাওয়াতে পারব তোকে! আমি তো বহুকাল নিরামিষাশী। সেই যখন দশ বছর আগে মা মারা গেলেন তখন থেকে। বাবা তো তার দু’বছর আগেই চলে গেছিলেন। ঠিক আছে, আমি তোকে নিরামিষ ডিশ তৈরি করে খাওয়াব। আমার একান্ত নিজস্ব ডিশ। কচি পালং, কচি ডাঁটা, কচি মূলা, কচি গাজর, কচি আলু – সব কচি শাকসবজি দিয়ে তৈরি হবে। তা তুই…

Read More

সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত – লোপামুদ্রা সিংহদেব

সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত লোপামুদ্রা সিংহদেব বিশিষ্ট পণ্ডিত ও দার্শনিক সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় শ্রী সুশীল গুপ্তের মাধ্যমে। তিনি “কস্তুরী মৃগের আকুলতা নিয়ে উদ্বেল হদয়ে রবীন্দ্রনাথের কাছে এসেছেন, বলেছেন,“আমায় পথের সন্ধান দিন”। উত্তরে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন — “প্রীতি সম্ভাষণ পূব্বর্ক নিবেদন- আমাকে যখন কেহ পথের কথা জিঞ্জাসা করে তখন মনে মনে হাসি এবং মনে মনে বলি হায় রে আমার কপাল। স্পষ্ট করিয়া পথ দেখিতে পাইলে নিজে বাঁচিয়া যাই অন্যকে পথ দেখাইব কিসের! শত সহস্র পথের মধ্যে কেবল একটা পথ আছে, যাহা…

Read More

সুজিত বসুর কবিতা

যোগাযোগ সুজিত বসু আলোছায়ার খেলা তোমার মুখে যতই কেন থাকি আলোর খুঁজে মুখ ঢাকলো ছায়াই অসংকোচে ভাগ্য হাসে বিদ্রুপ কৌতুকে ওষ্ঠাধরে অনেক মধু জমা দাওনি পেতে কখনো তার স্বাদ একটা ছোট বিচ্যুতিকে ক্ষমা করলে জীবন হতো না বরবাদ চাঁপার সুবাস ছিল তোমার দেহে দূরে থেকেই উপভোগের স্নান চেয়েছিলাম, লুকোলে সন্দেহে সহ্য করি তীব্র অপমান অস্নাত সেই অবস্থাতেই বাঁচি জল পারে না মেটাতে তৃষ্ণাকে সুখের সঙ্গে রোজই কানামাছি মন ক্রমশ পাথর হতে থাকে হারিয়ে গেছে যা ছিল সব প্রিয় নিষ্প্রাণ…

Read More

অজিতা চৌধুরীর কবিতা

উত্তর হেমন্ত অজিতা চৌধুরী হেমন্ত জড়িয়েছে দেহ ডাল পালা মাথা থেকে পা , আপাদমস্তক — ধূসর বিকেল বিদায় শেফালি ! পড়ন্ত রৌদ্র খেলায় বাজে সানাই। আজও অপেক্ষায়, শুকনো মালা চৈত্রের ঝরা পাতা —- এসেছিল নবীন মুকুল , বেগবতী বন্যা চলে গেল, একূল ভাসিয়ে পৃথিবী অজিতা চৌধুরী রোদ বৃষ্টি, আলো অন্ধকার ভালো, মন্দ — মানুষ ও পৃথিবীর ক্রমশঃ বিস্ময় — সূর্য ডুবেছিল, উঠেছিল চাঁদ শান্ত পৃথিবী সর্বংসহা ধরিত্রী মাতৃসমা যুগে যুগে বস্ত্রহরণ বজ্র, ত্রিশূল, খড়গ প্রতিঘাত, প্রতিশোধ নির্দয় আঘাত —…

Read More

সুখোমণির ভুলে যাওয়া এবং – সমর চক্রবর্তী

সুখোমণির ভুলে যাওয়া এবং সমর চক্রবর্তী ভুলে যায় বলে সুখোমণির বেজায় ডর। নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া সেই ভুলে যাওয়ার আশঙ্কায় তার কালো চোখ দুটো মেলে শুধু চেয়ে থাকে। সমূহ ঘটনাপুঞ্জে আকীর্ণ তার ভাবখানা দেখে মনে হবে, সর্বপ্রাণবাদী এই অনন্ত প্রকৃতি বুঝি তাকে মনে করিয়ে দেবে সব। আর এ সময়ে বিস্ফারিত দৃষ্টির দিকে সবাই তাকিয়ে আছে টের পেলে, তার চঞ্চল চোখদুটো আরো নম্র হয়ে ওঠে। সাথে সাথে তার উচ্ছ্বল হয়ে হেসে ওঠা দেখে মনে হবে যে, এই ভুলে যাওয়াটা তার…

Read More

সমর চক্রবর্তীর কবিতা

কুটুম সমর চক্রবর্তী তোমার কপালে রাজটিকা দেখে মনে হয় তুমি শিকারি গোত্রের। মিঠা হলে বা টক হলে সেই পথের কথা বলো – স্মৃতির কাছে আগামী প্রার্থী। আমার গোত্র কিন্তু সাদা-লাকড়া! সাদা লাকড়া মানে ‘সাদা বাঘ’। বদহজম ছাড়া যারা কখনো এই ঘাস খায় না।

Read More