প্রিয় পাঠক

# এটা March-April 2024 সংখ্যা # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

ভালোবাসা কি বিনিময় – রণজিৎ রায়

ভালোবাসা কি বিনিময়    (অনুগল্প) রণজিৎ রায় ব্যস্ততাময় ব্যাঙ্কের শাখা। মৃন্ময় ও শ্রদ্ধা উভয়েই কর্মতৎপর কর্মী। সুযোগ পেলে হাসি-মজা বন্ধ নেই। দিনের শেষে ফিরে যাবার মুহূর্তে মৃন্ময় আলতো করে সোয়েটার গায়ে জড়িয়ে বলে, “আর দেরি করা ঠিক হবে না। গিন্নি অপেক্ষায় হয়তো ব্যাকুল। আমরা তো আর অন্যদের মতো কেবল টাকা রোজগারের ধান্দায় নেই।” শ্রদ্ধা মুহূর্তে কড়া জবাব দেয়, “আপনিই কেবল বউকে খুব বেশি ভালোবাসেন ! অন্য কেউ না ?” – আপনাদের ভালোবাসা তো রোজগারের সঙ্গে সম্পর্ক। আমরা নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসি…

Read More

জন্ম মৃত্যু – ব্রতীন বসু

জন্ম মৃত্যু   (অনুগল্প) ব্রতীন বসু সেদিন কেঁচো ভূত মন খারাপ করে বসে ছিল আফিংপুরের মাঠে। তাই দেখে হাতিম ভূত বলে উঠল, কিরে বাংলার পাঁচের মত মুখ করে বসে আছিস কেন? ও বলতে ভুলেছি হাতিম মহিলা, কিন্তু পেত্নি বললে রেগে যায়। পেত্নি নাকি দেখতে খারাপ হয়। তাই হাতিম মহিলা ভূত, লেডি অ্যাক্টর যেমন, একট্রেস নয়। তা কেঁচো ভূতের দাবি ওর আজ জন্মদিন। ওর মা বাবা ওর মৃত্যুদিন পালন করছে, কাঁদছে মালা পরাচ্ছে, কিন্তু ভূত হয়ে তো ওর আজই জন্ম, তো…

Read More

নিশীথ অভিযান – সদানন্দ সিংহ

নিশীথ অভিযান     (ছোটদের গল্প) সদানন্দ সিংহ জগা চেঁচিয়ে বলছিল, প্রতিশোধ! প্রতিশোধ! আমাদের প্রতিশোধ নিতেই হবে। যেভাবেই হোক। আমরা কিছুতেই ছাড়বো না। জংলিটাকে বুঝিয়ে দিতে হবে, আমাদের সঙ্গে যা তা করলে বিপরীত ফল পাবে। হারু ঠাকুরের বাগানে আমরা গোল হয়ে বসে রয়েছি। আমরা মানে আমি, জগা, গোবরা, ফটকে আর সুদেব। জংলিমামাকে কী উপায়ে জব্দ করা যায় তাই নিয়ে আলোচনা করছিলাম। কয়েকদিন আগে এই হারু ঠাকুরের বাগানেই জংলিমামা গাড়ির নিচে পড়া একটা মরা ছাগলের মাংস জোগাড় করে আমাদের অজান্তে আমাদেরকে…

Read More

কিশলয় গুপ্তের কবিতা

ফকিরি বিশ্বাস কিশলয় গুপ্ত সকালে ঘুম ভাঙলে পদবী ধুয়ে জল খাই এ আমার উত্তরাধিকার রক্তের সংস্কার তোমার মুসলমানি – আমার হিন্দুত্ব কাগজে কলমে নাচে এবং বকলমে তারপর সারাদিন অমুকের ছেলে, তমুকের বাচ্চা ঘুমিয়ে কাটায় মায়ের গর্ভে হিমোগ্লোবিনে ডুবে থাকে ভ্যাম্পায়ার ইচ্ছে আর অকারণ চিৎকার – রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা মানুষের পৃথিবীতে পদবী ধোয়া জলে বাঁচা এই আমাকে পুড়িয়ে দাও মানবতার আগুনে আমার ফকিরি বিশ্বাস একবার বলুক মানুষ খুঁজি – মানুষ কোথায় – মানুষ চাই…

Read More

কটন – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

কটন ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য “কটন হবে?” প্রশ্নটা কানে এলো। মেজর ফ্র্যাকচার, অপারেশন থিয়েটার থেকে কেবিনে দিয়ে গেছে আমাকে। শুয়ে আছি বেডে। যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচাতে ওষুধ দিয়েছে। শরীরের সমস্ত স্নায়ু নিস্তেজ প্রায়। তদ্রাচ্ছন্ন দৃষ্টি কেবিনের সিলিংয়ে হেঁটে চলেছে, অনাগত দিনের দুর্ভাবনা তার সঙ্গী। শুনলাম, “কটন হবে?” আমি ছাড়া কেবিনে আর কেউ ছিলো না। স্ট্রেচার থেকে ডান পাশের বেডটা দেখেছিলাম, খালি ছিল। প্রশ্নটা সেদিক থেকেই এসেছে। হতে পারে সে সময় টয়লেট বা অন্য কোথাও গিয়েছিল রোগী। এখন ফিরে এসেছে বেডে।…

Read More

বস্‌ কিংবা বসিজম – সদানন্দ সিংহ

বস্‌ কিংবা বসিজম সদানন্দ সিংহ বস্‌ কিংবা বসিজম – এই দুটো শব্দের প্রতি পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষেরই একটা মোহ আছে। কারণ ব্যাপারটার মূল লক্ষ্য হচ্ছে “দাবানো”। সেই বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে আপনি যদি একজন হোন তাহলে আপনার মূল উদ্দেশ্য হবে কারুর দাবিয়ে রাখা থেকে মুক্তি পাওয়া এবং একই সাথে আপনার উদ্দেশ্য থাকবে কাউকে দাবিয়ে দেওয়া। এই দু’টি শব্দকে যদি সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহার না করে ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা যায় তাহলে দেখা যাবে এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ-পশু-কীটপতঙ্গ সবাই কোনো না…

Read More

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

ছায়াছবি দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বন্ধ সবুজ দরজার কান্না শহর শুনতে পায় না কিন্তু একটি সোনার হরিণ নিখোঁজ হয়ে যায় আকস্মিক তোলপাড় হয়ে যাবার থাকলেও ভীষণ শীতল ভিতর বাজায় ছমছম ছমছম নীল রঙটি এতটাই ছড়িয়ে এই শুনশান রাস্তা ভীষণ অচেনা নায়িকাকে একলা করে দিলে ঠোঁট একটি গানের সঙ্গ প্রত্যাশায় অথচ কিছুক্ষণ আগেও খুব কথা ছিল বেঞ্চির আর উড়ে যাওয়া কাগজের ভুল বানানের কাছে মৌটুসি পাখি খুঁটে নেবার পর যা পড়ে থাকে পিঁপড়ে বুঝে নেয় ঝরাপাতার নীচে পার্কের দীর্ঘশ্বাস অল্প অল্প করে…

Read More

ব্রতীন বসুর কবিতা

শেষ ইচ্ছে ব্রতীন বসু   চম্পার অন্য বাড়িতে কাজ ঠিক মাসখানেক হল। দু হাজার মাইনে বেশি। ত্রিশ বছর ধরে মাসিমা মেশোমশাই এর সেবা করছে। নিঃসন্তান দম্পতি। ভাইপো সম্পত্তি পাবে। চম্পা দুহাজার মাইনে বেশি। এই মাস খানেক আগে মারা গেছেন কত্তা একশো ছুঁতে গিয়ে অল্পের জন্য থেমে গেলেন। গিন্নির নব্বই চলছে হপ্তায় দুবার ডায়ালিসিস লাগে এখন ছেড়ে যাওয়া যায় না। আর কিছুদিন তারপর মাইনে বাড়বে। বুড়ি বলে, হ্যাঁ রে চম্পা আমি মরলে কাঁদবি তো মুখে আগুন দিবি তো? আর তোমার…

Read More