প্রিয় পাঠক

# এটা NOV-DEC 2024 সংখ্যা # পরবর্তী JAN-FEB 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী JAN-FEB 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ ।

নিরাময়ের ছায়াজগৎ – বিজয়া দেব
নিরাময়ের ছায়াজগৎ – বিজয়া দেব

নিরাময়ের ছায়াজগৎ    (ছোটোগল্প) বিজয়া দেব আজকাল শুলেই ঘুম পায় আবার রাতে ঘুম আসে না। ঘুমের সাথে পর্যাপ্ত লড়াই চালিয়ে অন্তত বার পাঁচেক বাথরুম গিয়ে ও জল খেয়ে অতঃপর মধ্যরজনীতে ঘুম আসে তা-ও ঘুমের মাঝে চলে আসে জীবন ছেড়ে চলে যাওয়া ছায়ামানুষেরা। তাঁরা হাসিখুশি নন। গম্ভীর, চিন্তাক্লিষ্ট। ঘুম ভাঙার পর মনটা আরও ভারী হয়ে থাকে। নিরাময়ের বোন মাধুরীলতা। একটি মাত্র মেয়ে তার। আলোকলতা। নিরাময় বড্ড আদর করত। এক গভীররাতে সে হারিয়ে যায়। গিয়েছিল এক বন্ধুর দিদির বিয়েতে। সবাই ফিরে…

Read More

সদানন্দ সিংহের কবিতা
সদানন্দ সিংহের কবিতা

প্রেমহীন সন্দানন্দ সিংহ জলপরির দেশে এক যুবক পথ হারাল অসীম বনের মেধা বলে আর কিছুই রইল না চলে গেল এক গোলকধাঁধা থেকে আরেক গোলকধাঁধায় সুপ্ত মাস, কাকতীর্থ – সব হিজিবিজি তবুও কৈশোরিক চপলতার শেষে বৃক্ষের মূল ধীরে ধীরে আরো গাঢ় হল।

Read More

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

বাড়ি নিয়ে অভিজিৎ চক্রবর্তী আমার নিজস্ব কোনো বাড়ি ছিল না নিজস্ব বাড়ি থাকলে শিকড় গজায় শিকড় গজালে টান– আমার কেবল তালা দিয়ে চলে যাওয়া যাদের শিকড় আছে তারা আসলে গাছ প্রতিটি পাড়ায় এমন অসংখ্য গাছ আমি জানি বড় বড় কালো কালো বহুকালের গাছ তারা শিকড় ছেড়ে সরে যেতে চায় পারে না তালা ঝুলিয়ে কেটে পড়তে চায় পারে না আমি কেটে পড়ি কেটে কেটে বহুদূর চলে যাই বহুদূর বলতে যেখানে তাদের কোনো চূড়াও দেখা যায় না শুধু এক আধবার কোনো…

Read More

ভবানী বিশ্বাসের কবিতা
ভবানী বিশ্বাসের কবিতা

চুপকথা ভবানী বিশ্বাস সকাল হলে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে আমাদের। বাবা চলে যান জমিনে। আমি উঠি, বাড়ির যাবতীয় কাজ সেরে দৌড় লাগাই ঘাম ঝরাতে। আমাদের একসাথে ভাত খাওয়া হয় না। একসাথে খেতে বসলে মা ধন্দে থাকেন। মাছের বড় টুকরোটা বাবার পাতে দিলে বাবা তাকায় মা’র দিকে। মা বোঝেন, তিনি মাছটা আমার থালায় দেন। আমিও বাবার মতো তাকানোর চেষ্টা করি। মা বলে— চুপ.. আমাদের একসাথে খেতে বসা হয় না। একসাথে বসে মনের কথা বলা হয় না। আমরা জড়িয়ে ধরে বলতে…

Read More

সন্তোষ রায়ের কবিতা
সন্তোষ রায়ের কবিতা

আদিমতা সন্তোষ রায় তখন কথা ছিল ইশারাতে— বনে বনে ঘুরে ঘুরে সারাদিন শিকার, তারপর শ্রমে ঘামে আদিম সহবাস। তখন কথা ছিল আকারে ইঙ্গিতে। ভালবাসার ভাষা ছিল না । ছিল না আগুন, গান। অরণ্য জুড়ে নারী আর মাংস, মাংস আর নারীর ঘ্রাণ। এখনো ইশারায় কথা হয়। আকারে ইঙ্গিতে বিনিময়! এখনো পুরুষ বেড়াল চেপে মারে নারী বেড়ালকে। শুধু পোষাকের আড়া‌লে চলে গেছে নগ্নতা। এখানকার অট্টালিকা যেন তখনকার পর্বত চূড়া, মানুষ চলমান গাছপালা, আর যত বিশ্বাস সব পাথর। আগুন আবিষ্কৃত হয়নি এখনো।…

Read More

দেবারতি দের কবিতা
দেবারতি দের কবিতা

ইস্তাহার দেবারতি দে প্রতি পূর্ণিমায় আমরা চাঁদকে পরিক্রমা করি অজান্তে নিজেদের ছায়া রেখে ফিরে আসি আর পৃথিবী থেকে চাঁদের গায়ে ঐ ছায়া দেখে আমরা আমাদের সংরক্ষিত আয়ু ভেবে যুদ্ধের ইস্তাহার লিখি। দেয়াল লিখন দেবারতি দে স্বচ্ছ দেয়াল লিখনে লেগে থাকে পিছলে পড়া রাতের স্বাস্থ্য নিঃসঙ্গের সঙ্গ যাপন বোঝাই করা কিছু অনায়াস দৃশ্য এমনই ইশারার আইন ভেঙে তুমিও হেঁটে যেতে পার প্রতারণাহীন কারু খচিত দিশাহীনদের পথে।

Read More

সিদ্ধার্থ নাথের কবিতা
সিদ্ধার্থ নাথের কবিতা

যেভাবে দেখা হল সিদ্ধার্থ নাথ একটি দুপুরের সাথে দেখা ওখানে আমার যাবার কথা ছিল না মা মোরগের সাথে বাচ্চারা হাঁটি হাঁটি পা পা পাতা পড়ছে খসে শব্দ হচ্ছে না লুকলুকির ছায়ায় ক্লান্তিতে শুয়ে আছে সময় মায়ায় জড়ানো মুখ চোখের কোণে নদীর দুঃখ সুখ আমিও শুয়ে থাকি সমান্তরাল জড়িয়ে ধরি পিতার স্নেহে জলের ভাষায় লেখা অভিমানে ভিজে যাচ্ছে মাটির গাঁও-গেরাম দেখা সিদ্ধার্থ নাথ রোদ্দুর আর ওঠে না – দলছুট পথ হাঁটে পশ্চিম দিগন্তে কাব্যকথা কথা দিয়েছিল – একা হতে দেব…

Read More

বাপ্পা চক্রবর্তীর কবিতা
বাপ্পা চক্রবর্তীর কবিতা

বুক পোড়া ঘ্রাণ বাপ্পা চক্রবর্তী পরের বাগান থেকে ফুল চুরি গেলে আমার ভেতরে যেন পোড়া গন্ধ পাই তার চুল খোলে হাঁটা জামা পরা মন গোপনে বেঁধেছে বাসা হয়তো গভীরে নয়তো এমন করে বুকে কেনো ঘ্রাণ আমার পরান যায় হাওয়ায় উড়ে দূরে দেখে তারে পিছু পিছু হেঁটে যাই কথা নাই চুপচাপ দেখি ভালোবেসে আমার বাগান আজ ফাঁকা পড়ে আছে নেই কেউ কাছে তবু ভালোবাসা আছে একা একা গেয়ে যাই বিরহের সুর তবুও তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারি না একটু দাঁড়ালে মন…

Read More

কিশলয় গুপ্তের কবিতা
কিশলয় গুপ্তের কবিতা

ফকিরি বিশ্বাস কিশলয় গুপ্ত সকালে ঘুম ভাঙলে পদবী ধুয়ে জল খাই এ আমার উত্তরাধিকার রক্তের সংস্কার তোমার মুসলমানি – আমার হিন্দুত্ব কাগজে কলমে নাচে এবং বকলমে তারপর সারাদিন অমুকের ছেলে, তমুকের বাচ্চা ঘুমিয়ে কাটায় মায়ের গর্ভে হিমোগ্লোবিনে ডুবে থাকে ভ্যাম্পায়ার ইচ্ছে আর অকারণ চিৎকার – রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা মানুষের পৃথিবীতে পদবী ধোয়া জলে বাঁচা এই আমাকে পুড়িয়ে দাও মানবতার আগুনে আমার ফকিরি বিশ্বাস একবার বলুক মানুষ খুঁজি – মানুষ কোথায় – মানুষ চাই…

Read More

শুভাশিস চৌধুরীর কবিতা
শুভাশিস চৌধুরীর কবিতা

প্রেম শুভাশিস চৌধুরী আমি তো দাঁড়িয়ে আছি ঝড় জলে আসবে সে বলেছে তো নিজে যেচে ছাতা সাথে আনিনি তো সেই ছলে অনির্বার ধারা মোরা যাবো সেচে। ন হন‍্যতে শুভাশিস চৌধুরী তোমরা যারা রূ-কেই ভালোবেসেছো কখনো কি ভেবেছো মির্চাও মানুষ। তার জন্য ছিল না ভালোবাসা শুধু একটা শব্দ। কখনো বলেনি সে রূ-কে ছিনিয়ে নিতে চায়। যে রূ তাকে সঁপে দিয়েছিল সব, সেও তো একটা রক্ত মাংসের মানুষ। দেহসুখ দিয়েছিল নিংড়ে যারা তারাও যে ভালোবাসেনি মির্চাকে সেকথা তো জেনেছি আমরা। শুধু…

Read More