প্রিয় পাঠক

# এটা SEP-OCT 2024 সংখ্যা # পরবর্তী NOV-DEC 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে নভেম্বর মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী NOV-DEC 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে নভেম্বর মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

সোহেল রানার কবিতা
সোহেল রানার কবিতা

বিলগ্রাম: জ্যোৎস্নাফুল সোহেল রানা এখানে জলের ভাঁজে ভাঁজে হাঁসের ফুর্তি উড়ুক্কু বাতাস আমরা দুজন মাটির বুকে গজিয়ে ওঠা দুর্বাঘাস। নিরাপত্তার চাদরে নয়, পাখির কলরব দুঃখ নয় কষ্ট ভোলার বসবাস কস্তুরির গন্ধভরা বিকেলে উদ্যত আকাশ; তুমিও পাখি হবে বাতাসের সাথে রাতের পড়শি দিন হবে — চাঁদ হয়ে ফুটে থাকা জ্যোৎস্নাফুল। উপাখ্যান সোহেল রানা বৃষ্টি পায়ে হেঁটে আনন্দচিত্তে রোদের কাছে যায়। আর ফরসা আকাশে কখন যে মেঘ হয় তা কেউই বলে দিতে পারে না। বৃষ্টি-রোদের মেলবন্ধে আকাশ আগুনে পুড়ে যায়! আহা…

Read More

সন্তোষ রায়ের কবিতা
সন্তোষ রায়ের কবিতা

সচেতন সন্তোষ রায় ভয় হয় বলে লিখি না কিছু। যদি টেনশন বাড়ে, যদি মাথা ঘোরায়, গা বমি বমি করে? বি পি বেড়ে সংজ্ঞা হারাই? যদি কোনোদিন আর উত্তর না পাই! যদি ভেঙে যায় সব প্রেমের অক্ষর— এত নিরর্থক বাক্য বয়ে কোথায় যাব বলো? তার চেয়ে সব কথা চুপচাপ গিলে বসে থাকি। বাঁশি বাজুক, ফুল ফুটুক আমার হৃদয় কাটুক-না ইঁদুরে— অচেনা অজানা সন্তোষ রায় লিখতে লিখতে রচনা করি— মৃতগাছ, কাঁটাবন। বৃষ্টি নাই, বৃষ্টিও বুঝি পথ হারায়! পতনের ভয় থাকে সবারই।…

Read More

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

বৈঠাংবাড়ি অভিজিৎ চক্রবর্তী এবার গ্রীষ্মের ছুটিতে আমি বৈঠাং যাব অর্জুন ক্যাম্পের নিচে যে ঘন অরণ্য যেখান চলতে চলতে পাথর ফেটে পথ হয়েছে যেখানে সূর্য জাস্ট একটা কমলা ফল আর তার রসে মাখামাখি গোটা গ্রাম সেখানে কোনও রূপসীর স্তনের মায়ায় আমি কাটিয়ে দিতে চাই বাকিটা জীবন মাস্টার আমাকে পথ দেখাও নিঃসঙ্গতা আর ডিপ্রেশনকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে একা একা বাঁচার মন্ত্র শেখাও নাহলে তোমার গোষ্ঠীর লোককে বলো আরো একবার তারা পাগলামি করুক আমার ধড় কেটে মুণ্ডুখানা গেঁথে রাখুক জয়ের প্রতীক করে…

Read More

শুভেশ চৌধুরীর কবিতা
শুভেশ চৌধুরীর কবিতা

দেবীর মুখ শুভেশ চৌধুরী দেবীর মুখ থেকে সত্য বেরুচ্ছে অসুর তাকে নিশ্চিহ্ন করতে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আসছে দেবী আমাদের গাঁয়ের মলিনা জানেন ঝাটা হাতে তিনি এই সব যুদ্ধের আবর্জনা দূর করতে পারেন অপূর্ব শুভেশ চৌধুরী অপূর্ব ক লিখলেও অপূর্ব। খ লিখলেও। অপূর্ব জানেন নামে মানুষে একই পরিণত হতে চাই সারাজীবন। রোজকার পরিশ্রম তার এই অপূর্ব হওয়ার

Read More

কিশলয় গুপ্তের কবিতা
কিশলয় গুপ্তের কবিতা

জীবনযাপন খেলি কিশলয় গুপ্ত সুখটাকে সমর্পণ শব্দে রেখেছি হাতে হাতে।এইমত গুজরান টেনে আমিও একদিন অতীতের সঙ্গে মিশে যাব ভেবে হাসি। কার কাছে কত কষ্ট আছে নিয়ে আসা হোক। এই দেখো পেতেছি দুই হাত, হাতের উপর পাঁজর সর্বস্ব বুকে অনন্ত স্বপ্নের ঝড়;ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইহকাল পরকাল তারপর যবনিকা হাতে আসুক কেউ। এত যে হাহাকার ভরা “চাই, চাই” গান এত যে বেসুরো বাজা ভাঙা বেহালার প্রেম একমুঠো মাটি কিনতে পারে তেমন রাজা কই! কোটি লোকের ভিড়ে তেমন একটা মানুষ পেয়ে…

Read More

সুদীপ্ত বিশ্বাসের কবিতা
সন্তোষ রায়ের কবিতা

মানুষ খোঁজা সুদীপ্ত বিশ্বাস মাঝেমাঝে খুব একা লাগলে আমি মানুষ খুঁজি গাছের মতো প্রিয় মানুষ অরণ্যের মতো গভীর মানুষ পাখির মতো প্রাণবন্ত মানুষ নদীর মতো দিলখোলা মানুষ পাহাড়ের মতো উদার মানুষ আকাশের মতো উন্মুক্ত মানুষ প্রকৃত মানুষ খুঁজে পেলে তাকে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে আমার হৃদয়ের চোরা কুঠুরিতে আমার প্রতিটি আলোকিত কক্ষ, প্রতিটি সীমাহীন অন্ধকার তাকে দেখাতে ইচ্ছে করে তাকে পেয়ে খলবল করে কথা বলতে শুরু করে আমার গুমরে ওঠা দুঃখগুলো। দহন সুদীপ্ত বিশ্বাস ধুলোর ঝড় উঠেছে মরু-রাত্রিতে চাপচাপ…

Read More

বিশ্বজিৎ দেবের কবিতা
বিশ্বজিৎ দেবের কবিতা

আবাহন বিশ্বজিৎ দেব এসো তুমি, যন্ত্রণার অতৃপ্ত জহর মরে গেলে যেরকম সব কিছু মনে হয় প্রেমের শহর এসো মুগ্ধতা, আমাদের এই সব খুনোখুনি, না লিখতে পারার সারারাত যন্ত্রণা এসো প্রতিরূপ, ফিরে না আসার দিকে চলে যাওয়া প্রতিটি মুহূর্ত আবলুশ ২ বিশ্বজিৎ দেব ওহে দ্রবণিকা, এসো সিরিয়াল দেখি হাত থেকে পড়ে গিয়ে কাচের গেলাস খান খান কান্নাকাটি, বিহ্বলতা দেখি এখন কি ভরা জুলাইয়ের মাস! চলো আকাশপ্রতিভা দেখি, কাপালিকা গুরু গুরু যামিনীর পলাতকা দেখি আমাদের নয়নাভিরাম আবলুশ, এরকমই পচে যাবে আঁশ,…

Read More

প্রভঞ্জন ঘোষের কবিতা
প্রভঞ্জন ঘোষের কবিতা

তরঙ্গ প্রভঞ্জন ঘোষ তরঙ্গে মিশিয়েছো ব্রহ্মাণ্ড আমরা অপোগণ্ড সে তরঙ্গে যোগ করি না বন্ধ করি লেনাদেনা ভরিয়ে সকল অসার কণা করছি লণ্ডভণ্ড! ঝিঁঝিঁর ক্ষুদ্র মুখের থেকে এক তরঙ্গ উঠে জলতরঙ্গে নদীর বুকে এক তরঙ্গ ছোটে। এক তরঙ্গ পাখির মুখে এক তরঙ্গ গাছের এক তরঙ্গ শ্বাপদকুলের এক তরঙ্গ মাছের এমনি সকল শব্দকণা নিত্য অবশেষে তোমার অপার ইথার কণায় নিখুঁতভাবে মেশে। আমরা সুবোধ সুর ধরি না সুচারুময় ঠিক মিশি না কণায় কণা যোগ করি না কেবল খণ্ড খণ্ড, আপ্ত সদাই ব্যাপ্ত…

Read More

রহিত ঘোষালের কবিতা
রহিত ঘোষালের কবিতা

অসীমে ঝাঁপ দেবে একাকী নদী রহিত ঘোষাল তুমি আমার বাড়ির ছাদে কাপড় মেলে আমার মিথ্যে গায়ে পরে একা একা চলে গেছ মহাসমুদ্রের কাছে ওখানে আমাদের সদ্যোজাতকে ভাসিয়েছ যেই দেখলে সেখানে তখন নদী এসেছে অসীমে ঝাঁপ দিতে সে তোমাকে দেখে আর কিছু বলতে পারেনি তার সমস্ত কথার মতো পলিমাটি সে ডুবিয়ে দিতে ভুলে গেছে তোমার হাতে স্যালাইন ফোটানোর ক্ষত থেকে বহুমূল্য মুক্তো ঝরে পড়ছে এসবের কিছুই তুমি আমাকে বলে যাওনি সব আমি জেনেছি বালিয়াড়ির থেকে শীতের রাতে শেষ বাসে তারপর…

Read More

বাপ্পা চক্রবর্তীর কবিতা
বাপ্পা চক্রবর্তীর কবিতা

হাওয়া বাপ্পা চক্রবর্তী হাওয়া তোমার এত তুমুল চুম্বন কী করে আপন করি নিজের ভেতর। আমার শরীর ভরে জীবিত আগুন ছুঁয়ে দিলে রোমকূপে জাগে তর তর। এখনো রাতটা বাকি, দিনের আলোয় তোমার উপস্থিতির গাঁ ঘেঁষে চলছি। এ বেলা না হয়, অভিমান ছুঁড়ে দিলে তাপ সেঁকে সেঁকে সূর্য হতেই চাইছি। অপেক্ষার যাবতীয় কক্ষপথে ফুল, পাহাড়ি সন্ধ্যার ঘ্রাণে, ইতস্তত আমি। কাকে ডেকে বলি এই আকাশের কথা অক্ষর ফুরিয়ে গেলে কথা হবে দামি ।

Read More