প্রিয় পাঠক

# এটা MAY-JUNE 2024 সংখ্যা # পরবর্তী JULY-AUGUST 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জুলাই মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী JULY-AUGUST 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জুলাই মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

দেবারতি দে’র কবিতা

অলীক সেতার দেবারতি দে ১. তার জন্মদিনে কবিতা পাঠ করতো কুয়াশা আর – নৈঃশব্দের ভেতর থেকে উড়ে আসতো পৃষ্ঠা উল্টানোর শব্দ। ২. তাকে নিয়ে লিখতে বসলে জানালায় হাল্কা বাতাস উঠানের দড়িতে দুলতে থাকে হলুদ নরম সুতি কবিতা কিংবা বার-হাত লাল সিল্ক। ৩. অনন্ত নক্ষত্র বাগান পেরিয়ে গীতিকবিতার কোমল নিঃশ্বাসের মতো আজও দাঁড়াই প্রেমিক তোমার দরজায়।

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on দেবারতি দে’র কবিতা
কিশলয় গুপ্তের কবিতা

আমিও আঙুল চাটি কিশলয় গুপ্ত অনেক কিছু ঘটায় এবং ঘটে খালি চোখে সবই দেখি বটে কেউ হাসে, কেউ বা ভীষণ চটে আমি আঙুল চাটি একমাত্র আমিই মাথামোটা প্রাতঃরাশে দেশটা চিবাই গোটা কম্বলহীন-হাতে শুধুই লোটা নীচে ভিজে মাটি যেমন খুশি, যেখানে খুশি দেবেন স্বর্গ এটা, নম্বরে সে সেভেন বোঝেন নি তো? আরে মশাই “হেভেন” কেন কান্নাকাটি কবি? আপনি অদরকারি – কাটুন ঝাঁপির ভিতর যত খুশি ফাটুন অসহ্য হলে বসে আঙুল চাটুন আমিও আঙুল চাটি

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on কিশলয় গুপ্তের কবিতা
ভোট – ব্রতীন বসু

ভোট  (অনুগল্প) ব্রতীন বসু কল্কে পাড়ার ওসি ভৃঙ্গিবাবুর পায়ের ছাপটা খুব মিষ্টি। যে দিক দিয়ে হেঁটে যান পিঁপড়েতে থিকথিক করে। সেদিন গাঁজা পাড়ায় ভোট। ভৃঙ্গিবাবুর ডিউটি পড়েছে। পিঁপড়ের দল পেছন পেছন গেল। হঠাৎ ভৃঙ্গিবাবু দেখলেন সামনের নোনতা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার খোলা। পিঁপড়েরা ওনার পায়ের ছাপ ফেলে দলে দলে সেদিকে ছুটছে। উনি রাগে গর্জন করতে করতে গিয়ে হাজির হলেন। মিথ্যুক, নাম দিয়েছিস নোনতা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার আর এমন মিষ্টি বানাচ্ছিস যে আমার পায়ের ছাপ খেয়ে বড় হওয়া পিঁপড়েরা আমাকে ফেলে তোর দোকানে…

Read More

ব্রতীন বসুর কবিতা

শিক্ষা ব্রতীন বসু একবার কাছে আসবে? ও বলল কেন? তোমাকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়। ও বলল, আমার গায়ে অনেক কাঁটা। জানি, তবুও। ও বলল, আমি তো নরম নই, কেন ডাকছ ? আমি তোমার মত হতে চাই। ও বলল, তোমার আমার পার্থক্য কি? গোপন তৃষ্ণা। আমার বালির কাছে কোন চাহিদা নেই, তুমি কিভাবে এখনো চাও, জানবো। নারীটা এলো ক্যাকটাসের কাছে।

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on ব্রতীন বসুর কবিতা
ফৈয়াজ চাচা ও বাপুরামের গল্প – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য

ফৈয়াজ চাচা ও বাপুরামের গল্প   (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য (১) … তারপর হারিয়ে গেলো ফৈয়াজ চাচা। সে রাতে পুলিশ এলো গাঁয়ে। ফৈয়াজ চাচাকে তুলে নিয়ে চলে গেল। আর ফেরেনি। আস্ত মানুষটা উবে গেল কর্পূরের মত। জগবন্ধু মিত্র বললো, তাইতো ফৈয়াজ কোথায় গেলো! গল্পটা পুরনো। বেশ পুরনো। পথে ঘাটে হাটে বাটে সর্বত্র তখন জগবন্ধুবাবুদের রমরমা। রাস্তায় কান পাতলে সব-হারানো মানুষের দুর্দশার সব কথা শোনা যেত। জগবন্ধুবাবুরা গলার শিরা ফুলিয়ে, মুষ্টিবদ্ধ ডান হাত আকাশে ছুঁড়ে সবাইকে শোনাত সেই সব কথা। গল্পটা…

Read More

Posted in ছোটোগল্প Comments Off on ফৈয়াজ চাচা ও বাপুরামের গল্প – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য
কিচিরমিচির – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

কিচিরমিচির     (ছোটোদের গল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য রিন্টুদের বাড়ি থেকে ফিরেই খাঁচার সামনে এসে দাঁড়ায় টিপু। ভীষণ মন খারাপ। একমনে দেখতে থাকে পাখিগুলোকে। কেমন একটা ভয় ছায়া ফেলেছে টিপুর মনে। মুখেও। নানা রঙের ছোটো ছোটো পাখি। ছয়টা। সেদিন খাঁচায় পাখি নিয়ে বিক্রি করতে এসেছিল একজন লোক। সেই দেখে শুরু হয় টিপুর বায়না, তারও পাখি চাই। কান্নাকাটি করেছিল খুব। মা-বাবা দুজনেই বলেছিল টিপুকে, পাখি খাঁচাতে ভীষণ কষ্ট পায়। ওদের আনন্দ আকাশে। কথা শোনেনি টিপু। বরং কান্নার তোড় বেড়েছিল আরো। বাধ্য…

Read More

Posted in হিজিবিজি Comments Off on কিচিরমিচির – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
সদানন্দ সিংহের ছড়া

ব্যাটার বৌ সদানন্দ সিংহ বেচারাম ব্যাটা নেশাখোর, খেয়ে বৌয়ের ঝাঁটা মাইশূর, চলে আসে দুঃখে ব্যাঙ্গালোর। তৈল্যরাম ব্যাটা ওজনদার, ঝটপট চটপট কিন্তু মালদার, বৌ নেই তাই দুঃখের ভাণ্ডার। বলরাম ব্যাটা সন্দেহপ্রবণ, বাড়ির নাম যদিও দুর্গাসখী ভবন, বৌকে চোখে রাখে শুধু সারাক্ষণ। সুখুরাম ব্যাটা বদরাগী, এক-দু টাকার চুলচেরা হিসেবি, বৌকে বৌ বলে না, বলে মাগি। সাধুরাম ব্যাটা হারামজাদা, ফস্টিনস্টির মহাগুরু, আছে অনেক পেয়াদা, বৌ পিটিয়ে শেষে, পেল জেলের সাজা।

Read More

Posted in ছড়া Comments Off on সদানন্দ সিংহের ছড়া
গোবর্ধনের চাল – সদানন্দ সিংহ

গোবর্ধনের চাল     (ছোটোদের গল্প) সদানন্দ সিংহ আজ এপ্রিলের পাঁচ তারিখ। সামনে জংলিমামাকে এগিয়ে আসতে দেখে মাথায় একটা দুষ্টবুদ্ধি খেলে গেল। ভাবলাম একটা এপ্রিল ফুল করে দিই। হলই বা আজ এপ্রিলের পাঁচ তারিখ, কিন্তু এপ্রিলই তো, মে মাস তো আর হয়নি। যেই ভাবা সেই কাজ। জংলিমামাকে ডাক দিলাম, জটুমামা। জংলিমামা পাশে এসে বলল, আজ দেখি জংলিমামা না বলে জটুমামা বলে ডাকছিস? কোন কু-মতলব আছে নাকি? আমি হেসে বললাম, আরে না না। তোমাকে একটা খবর দেব বলেই ডাকছি। কথাটা বলেই…

Read More

Posted in হিজিবিজি Comments Off on গোবর্ধনের চাল – সদানন্দ সিংহ
মেস মেসবাড়ি মেসজীবন – সদানন্দ সিংহ

মেস মেসবাড়ি মেসজীবন সদানন্দ সিংহ মেস হল এমনই একটা ব্যবস্থা যেখানে একের বেশি পরিবারের বাইরের সম কিংবা অসম বয়সের বা বিভিন্ন পেশার বা শিক্ষার্থী লোক মিলে জীবনের তাগিদে একসঙ্গে মাসের পর মাস খাওয়া-দাওয়া করে থাকেন নিজেদের দায়িত্বে এবং সেই খাওয়া-দাওয়ার ব্যয়ভার নিজেদের মধ্যে সমান ভাগে বন্টন করে নেন। একসঙ্গে একই ঘরে থেকে বা একই বাড়িতে ভিন্ন ভিন্ন ঘরে থেকে বা ভিন্ন ভিন্ন বাড়িতে থেকেও মেস করা যায়। সাধারণত মেসের খরচ দু রকমের হয় — ফিক্সড এবং রেকারিং। ফিক্সড খরচের…

Read More

খোদাই – এভজেন গাতসালো

খোদাই         (ছোটোগল্প) এভজেন গাতসালো (রাশিয়ান গল্প, ইংরেজি থেকে অনুবাদঃ সদানন্দ সিংহ) উদ্যানগুলি ধীরে ধীরে শরতের রঙ ধারণ করেছিল, গাছগুলি হলুদ এবং লাল রঙের আভায় ফুটে উঠতে শুরু করেছিল, যা প্রথমে গাছের একটি বা দুটি পাতায়, তারপর তা সমস্ত গাছের উপরে গভীরভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। আর এখন তারা পরিপূর্ণ এক রক্তিম আভায় জ্বলে উঠার পর নীরবতায় নিম্মজিত হয়ে পড়েছে আর তাদের ডাল থেকে রক্তক্ষরণের মতো শুকনো পাতা ঝরে পড়ছে। গ্রীষ্মের এই সকালে প্রথমে এক শান্ত, যেন এক উষ্ণ…

Read More